8ર્શ ના অগুভব করিতে হয় । জামদাস কহিয়াছেন,-- রসের বেভার লুক না যায়। তাই সখীদের জানিতে বিলম্ব হয় ন৷ ষে রাধীর হৃদয়ে কোনও এক অভিনব ভাবের উদয় হইয়াছে; তাহদের সহ:সুভূতি. সম্পন্ন হৃদয় রাধার অন্তরের নূতন ভাব লুকান থাকিলেও ধৰিয়। ফেলে— ক্ষণে ধনী চমকায় ক্ষণে উঠে কাপ । কর পরশিলে নহে এত অঙ্গ তাপ ॥ মনের যুকতি কেহ লখিতে না পারে। মৃগমদ লেপই কাঞ্চন কলেবরে ॥ সবে এক দেখিয়া করএ পরতীত । কাল। নাম শুনিয়া চকিত হয় চিত ॥ কাল কাল বরণ দেখিয়া ভালবাসে । জ্ঞানদাসে বণে কালা কামুর ভাবে আছে। যাহার এমন মৰ্ম্মজ্ঞ, এমন অন্তরঙ্গ তাহদের কাছে মনের ভাব গোপন করিবার প্রয়াস বৃথা, তাই রাধার মুখ ফুটে, প্রাণের আবদ্ধ যাতনা আকাঙ্ক্ষী লৈরাং সল উন্মুক্ত পথে ছুটিয়া বাহির হয়। আগে মুঞি জানিলে যাইতাম না কদম্বের তলে । চিত হরিয়া নিলে ছলিয়৷ নাগর ছলে ॥ রূপের পাথরে আঁখি ডুবি সে রহিল। খেীবনের বনে মন হারাইয় গেল। ঘরে.যাইতে পথ মোর হইল অফুরাণ । অন্তরে বিদরে হিয়া কি জালি করে প্রাণ । চন্দন চাদের মাঝে মৃগমদে ধান্দা। " তার মাঝে হিয়ার পুতলি রইল রান্ধা । কটি পীত বসন রসনা তাহে জড় । বিধি নিরমিল কুলকলঙ্কের কোড়া ! প্রেমতত্ত্বজ্ঞ কবি জ্ঞানদাস SU(4 জাতি কুলশীল মোর হেন বুঝি গেল। ভুবন ভরিয়া মোর ঘোষণা রহিল। কুলবর্তী সতী হইয়া দুকুলে দিয় দুখ। জ্ঞানদাস কহে দঢ় করি থাক বুক । যে আপনার জন তাহার কাছে একবার মুখ খুলিলে সব প্রকাশ হইয় পড়ে, তাই রাধার মনের সকল কথা একে একে সখীর কাছে ব্যক্ত হইয়াছে— মনের মরম কথ। তোমারে কহিয়ে এথা শুন শুন পরাণের পুঁই । স্বপনে দেখিয় যে খ্যামল বরণ দে তাহা বিস্তু আর কার নই ৷ সমবেদনাময়ী সখী আর স্থির থাকিতে পারে না, তাই তাহাকে আমরা দূতীর কার্যে রত হইতে দেখি। যেমন নায়িকীর ভাব তেমনি নায়কেরও ভাব,—ইহাতেও দৈঙ্গিক মিলনের আনন্দ বৰ্জ্জিত হয় নাই, কিন্তু প্রাণও মিশিয়া আছে । চিত পুতলি সম দেহ। মরম না বুঝয়ে কেহ ॥ পুছিতে কহয়ে আধ ভাখি। নিঝরে ঝরয়ে দুন আঁখি ॥ নায়ক-নায়িকার এমন অবস্থায় মিলন অবশ্যম্ভাবী তাই কবি জ্ঞানদাস কহিয়াছেন— জ্ঞান কহয়ে তোহে সার । করহ গমন উপচার । এই মিলনে ষে রস উঠিয়াছে তাহ বর্ণনা করিতে করিতে কবি বিহবল হইয়াছেন— যে কয়ট পদ এই উল্লসিত অবস্থায় তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন সেগুলি কবিত্বের পরাকাষ্ঠা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। যদি স্থান থাকিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।