8શ મશિI1] ঘোঘে, চামচে, চাচ, চাfচ, চোচ, চোচা, চোচালি, জঞ্জাল, জবরজঙ্গ, জবাব, জরুরী, জাজিম, জাহাবাজ, জুজু, জেরবার, ঝঙ্কাট, টাটক, টোটকা, টুট, টোটা, টাট, টাট, ট্যাটা, ঠাট্টা ঠুটো, ঠোট, ডাও, ঢেটর, তফাত,তরিবতষ্ঠাত তুতে দফারফা, দরদ দাদ, দামামা, দা লাল, দিগদারি, দেদার, দোদ, নন, নাস্তানাবদ, নেয়ান, পাপস, পাপর, পাপড়ী, মখমল, মলমল,মলম,মরসুম, মহরম, মামদে, মামলা, মামূলি, মালামে, মালুম, মুসলমান, রড়, রগড়, রোকড়, রোবকারী, রোজগার, বন্দোবস্ত, বরাবর, বিলকুল, বোম্বেটে, সরফরাজী, সরগরম, সরকার, সরবরাহ, সরেস, সালস, সমসার, সাড়াশী, হরকরা, হামেহলি, হিমসিম । ইহার মধ্যে অনেকগুলি আরব পারসী হইতে গৃহীত । ( J•) ইংরাজী হইতে গৃহীত-কেক, কোক, কোকেন, কোকো, কুইনাইন, টিকিট, ডিসমিস, লণ্ঠন, রবার। ২। খাটি সংস্কৃত বীপাত্মক শব্দদ্বৈতে অকুপ্রাস সপ্রকাশ। যথা অগ্রহঃ, পুনঃপুনঃ, মুহুমুহুঃ, শনৈঃ শনৈঃ ভূরিভূরি, তন্নउग्न, शूक्षू शूकू, झेऊाणि । ७७लेि बांश्नालांञ्च চলিত আছে। আবার সংস্কৃত বারংবারং, মন্দং মন্দং, প্রভৃতির অপভ্রংশ বারবার, মন্দমন্দু, ঘনঘন, লাখে লাখে, বা কে ঝাঁকে, কাগোকালে শাদা শাদ, দুষ্ট দুই, প্রভৃতিও অনুপ্রাসের উদাহরণ। পড়পড়, মরমর, হাজাহাঙ্গা, গলাগল। ধরাধরা (গন্ধ), বাধবাধ, ছাড়ছাড়, ইত্যাদিও আর এক শ্রেণীর শব্দ। বাঙ্গালা-থাকিয়া অনুপ্রাসের অধিকারবিচার ২৬ , থাকিয়া, রহিয়৷ রহিয়া, পড়িয়া পড়িয়া, প্রভৃতি বোধ হয় সংস্কৃত পীত্ব পীত্ব, স্তু রং স্মারং, প্রভৃতির অনুরূপ। ঘরে ঘরে, পথে পথে, জলে জলে, জন্ম জন্ম (সপ্তমী বিভক্তির লোপ ), ঝোপে ঝোপে, হাতে হাতে, গায়ে গায়ে, সঙ্গে সঙ্গে, আগে আগে, পাশে পাশে, কোলে কোলে, বুকে বুকে, মকুৰে মামুষে, প্রভৃতি রকম রকমের বহুতর উদাহরণ ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ বাবুর বাংলা শদদ্বৈত প্রবন্ধে আছে। এ সকল স্থলেই অকুপ্রাস অধিকার বিস্তার করিয়া রহিয়াছে ! সারাৎসার, পরাৎপর, গয়ংগচ্ছ, সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা, সচরাচর, ইত্যাদিতে অসুপ্রামের রেশ৷ ৩ । এক্ষণে অনুপ্রাসাত্মক কয়েকশ্রেণীর শব্দের কথা বলিব। ইহার মধ্যে অনেকগুলি ধ্বষ্ঠাত্মক ; কতকগুলির এক অংশ অর্থযুক্ত হইলেও অপর অংশ অর্থশূন্য, কথার মাত্র হিসাবে ব্যবহৃত । ( /০ ) একটি শব্দেরই অবিকল দ্বিরুক্তি। সংস্কৃত মকমক, কলকল ইহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত । চাকচক্যও বোধ হয় এই শ্রেণীর। বাঙ্গালায় কন কন্, কড় কড়, ঝন ঝন্, চকু চকু, চিক্ চিক্, তাই তাই, ধেই ধেই টে। টো, প্রভৃতি ইহার উদাহরণ। রবীন্দ্র বাবুর শব্দতত্ত্বে বহুতর দৃষ্টান্ত সঙ্কলিত হইয়াছে। এখানে আর পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নাই। এগুলি সবই ধ্বস্তাত্মক । ( /- ) এই সকল শব্দের দ্বিতীয়ভাগের শেষে একারযোগে বিশেষণ গঠিত হয়, যথা চটচটে, তুলতুলে, গুড়গুড়ে ইত্যাদি। এবং আনি যোগ করিয়া বিশেষ্য গঠিত হয় যথা টনটনানি, ফরফরানি ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।