Ꮌby ভগবান নিত্যলীলপর হইয় আছেন, শঙ্করসিদ্ধান্তে এই তত্বের কোনোই স্থান ও সঙ্গতি নাই। সুতরাং ভগবল্লীলীলারস্পর বৈষ্ণবসিদ্ধান্তে যে ভাবে ও যে অর্থে মহাজনপন্থী আশ্রয় করিয়া, সমাজের গতি-শক্তি ও স্থিতিশক্তির মধ্যে একটা সুন্দর সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, শঙ্কর সিদ্ধান্তে তাহ হয় নাই, হওয় সম্ভব নহে। এখানে লৌকিকচারের পন্থ অবলম্বন করিয়াই এই প্রতিদ্বন্দী শক্তিদ্বয়ের স্বাভাবিক বিরোধ"ভঞ্জনের চেষ্টা করিতে হয়। তাহার আর অন্তপথ নাই। সংসার মায়ামাত্ৰ। সমাজসম্বন্ধ সকল, মায়িক । মামুষের মেহমমতা, প্রেয়-ওশ্ৰেয়বোধ, ভালমন্দজ্ঞান, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মবিচার, সকলই অবিদ্যাবদ্বিষয়ানী। সুতরাং নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে কর্ঘ্যের যে একটা সঙ্গতি রাথিতেই হইবে, এখানে এমন কোনো কথা নাই। আমাদের এ সকল মতামত যখন মিথ্যা, কাৰ্য্যাকাৰ্য্য যখন মিথ্যা, মতের সঙ্গে কার্ধ্যের মিলন-বিরোধও মূখন মিথ্যা ; তখন বিশ্বাসের সঙ্গে কাজের মিল হইল কি না হইল, তাহাও মিথ্যা। এ সকলের ব্যবহারিক,সত্য থাকিলেও পারমর্থিক মৰ্য্যাদা নাই। এ সকল ব্যবহারিক দৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় হইলেও, পারমার্থিক দৃষ্টিতে অলীক। প্রচলিচ্চ শঙ্করসিদ্ধান্তে সংসারধর্থের কোনই পারমর্থিক সত্য ও মধ্যাদা নাই। চিত্তশুদ্ধি করিয়া ক্রমে সৰ্ব্বदि५ ६षङादांश्च नछे कब्राहे, শঙ্কর-বেদান্তমতে, সমাজধৰ্ম্ম ও সমাজবন্ধনের একমাত্র লক্ষ্য हरेय *प्फ़ । नमांक्षतकन ७ गाभाविक সমৃদ্ধ সকল জীবের বহিমুখীন ও বহুমুখী প্রবৃত্তি সকলকে সংঘত ও নিবৃত্তিমুখী করিয়া দিয়াই, বঙ্গদর্শন , এই পারমার্থিক উন্ধেশ্বাসাধনের সহায়ত [ ১২শ বৰ্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ করে। আর একমাত্র সংঘম ও নিবৃত্তিসাধনই যখন সমাজধর্শের মুখ্য উদ্দেগ্ধ হয়, তখন লৌকিকাচারের বশ্যতা অস্বীকার করিয়া যে কোনে উদেখে ও যে কোনে আকারেই সমাজের বিরুদ্ধে দ্রোহীভাব অবলম্বন করা হউক না কেন, তাহীতেই সমাজবন্ধনের এই মুখ্য উদ্বেখসিদ্ধির বিষম ব্যাঘাত জন্মিয়৷ থাকে। সমাজের বিরুদ্ধে দাড়াইতে গেলেই কোনে না কোনো আকারে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত কৰিতেই হয়। এরূপ আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রয়াসের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ জনগণের পক্ষে আপনার ইচ্ছা ও প্রবৃত্তিকে সংযত করিয়া রাখা একান্তই কঠিন হইয়৷ পড়ে। আর সর্ববিধ আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রয়াসের মধ্যেই যে কলহবিরোধ জাগিয়া থাকে, • তাহীতে অন্তরের দ্বৈতভাব ও ভেদবুদ্ধিকে জাগাইয়াই রাখে, নষ্ট করিবার সাহায্য করে । না। স্বতরাং লৌকিকাচারকে অগ্রাহ কবিয়া সমাজ-সংস্কার করিবার চেষ্টা করিলে, সে চেষ্টা মোক্ষপথের অন্তরায় হইয় উঠে। এই জন্ত শঙ্করমতাবলম্বী সাধুসন্ন্যাসীসমাজে একদিকে প্রচণ্ড জ্ঞানালোচনা ও জ্ঞানপন্থার প্রতি ঐকাস্তিক পক্ষপাতিত্ব, অন্যদিকে তামসপ্রকৃতিস্বলভ নিশ্চেষ্টতা ও লৌকিকাচারের আত্যন্তিক আমুগত্য, এ দুই দেখা গিয়াথাকে। একদিকে— বিচারে, চিস্তার, সাধনায় ও সিদ্ধাস্তেএ সকলে সৰ্ব্ববিধ দ্বৈতভাবও ভেদবুদ্ধির নিন্ম করিয়াও, কাৰ্য্যকালে ইহারা :প্রায় সৰ্ব্বদাই সমাজ-প্রচলিতুসৰ্ব্বপ্রকারের ভেদ ও বৈষম্যের সম্পূর্ণ মর্য্যাদা রাখিয়া চলিবার জন্ত ব্যগ্র হন। *कद्र थइ५७ ऐशत्र अछषाऽह१ क्tब्रन नाहे ।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।