পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পঞ্চ মানব-বুদ্ধ ; এই পঞ্চ মানব-বুদ্ধের মধ্যে চতুর্থ বৃদ্ধ শাক্যমুনি ; প্রত্যেক মহাপ্রলয়ের পর এক এক বুদ্ধ পৃথিবীতে আগমন করেন। ঈশ্বত্বের সহিত অৰ্হৎআত্মার যোগ হয়। এই সমস্ত কথা মিঃ সেনেটু বির ও করিয়াছেন। আমরা দেখিয়ছি, এই সমস্ত মতবাদ, “যোগাচৰ্য্য” শাস্ত্রে পরিব্যক্ত হইয়াছে । সিনেট যে বলিয়াছেন, অতি প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থাদিতেও আদিবুদ্ধের উল্লেখ আছে, আমরা শুধু তাহার সেই উক্তির প্রতিবাদ পরিব। Schmedt,Csomado Coros, Burnouf, Wilson, Hodgson & Schlaginweit সকলেই একবাক্যে এই কথা অস্বীকার করেন। র্তাহীদের মতে এই আদিবুদ্ধবাদ অপেক্ষাকৃত আধুনিক, ইহা আদিম বুদ্ধধৰ্ম্মের অন্তর্গত নহে। আর, যে ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্ম বুদ্ধধর্মের আরও পূৰ্ব্ববৰ্ত্তাঁ, এই মতবাদ সেই ব্রাহ্মণ্যধর্মের অন্তর্গত ত হইতেই 에 Fij | প্রথমে আমরা দেখাইব, বৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে গৃহীত এই মতবাদগুলি, যে দৰ্শন.শাস্ত্র হইতে নিঃস্থত হইয়াছে সেই দর্শনশাস্ত্র অমংযুগের দশম শতাব্দীতে তিব্বৎদেশে আবিভূত হয়। তাহার পর আমরা সপ্রমাণ করিতে চেষ্টা করিব যে, এই মতবাদগুলি প্লাচীনকালের যেকোন ধৰ্ম্মপদ্ধতি হইতে গৃহীত হইতে পারে। প্রথমতঃ সিনেট যে গুপ্ত মতবাদের কথা একটা গ্ৰহস্তের আবরণ দিয়া আমাদের নিকট উপস্থিত করিয়াছেন, উহ। অতীব প্রাচীন কালেও সমস্ত প্রাচ্যখণ্ডে বিদ্যমান ছিল । থিওসফি ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম ২৬৫ সভ্যতার পথে যাহারা সৰ্ব্বাস্ত্রগামী, সেই মিশরবাসীদিগের মধ্যে, দীক্ষিতদিগের মন্দিরাদি ছিল। চ্যান্ডীয়, হিন্দু, পারসীক, চীনীয়, ইহুদি—ইহাদের মধ্যেও ছিল। এই সকল জাতির মধ্যে প্রচলিত গুপ্ত মতবাদগুলি মূলতঃ অভিন্ন। Lao-Tsen-র Tao মতবাদ এবং ভারত ও মিশরের বিশ্বব্ৰহ্ম মতবাদ যে সিদ্ধান্তের উপর প্রতিষ্ঠিত, ইহুদীদিগের “কাবাল”-গ্রন্থদ্বয় ঐ একই সিদ্ধান্তের উপর প্রতিষ্ঠিত। " আর, স্বষ্টিপ্রকরণসম্বন্ধে, কি মিশরীয়, কি চালুডীয়, fক হিন্দু, কি ইহুদি, কি গ্রীস এই সকল জাতির মধ্যে যে সাদৃশু দেখা যায়, তাহাতে উহাদের সাধারণ উৎপত্তিই স প্রমাণ হয়। সিনেট নিজেই স্বীকার করিয়াছেন— “এই গ্রন্থে, অৰ্হং বৌদ্ধদিগের যে স্থষ্টিতত্ত্বের কথা আমরা বিবৃত করিয়াছি, উহা দীক্ষিত ব্রাহ্মণদিগেরই পদ্ধতি। বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করিবার বহুপূৰ্ব্বে ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে উহা প্রচলিত ছিল।” জীবপৰ্য্যায়ের পদ্ধতি, বৌদ্ধদিগের বিভিন্ন স্বর্গ, যাগর অনুরূপ-চিত্তশুদ্ধি ও ধানসxাধির বিভিন্ন অবস্থা,—এই সমস্ত বৌদ্ধের ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্ম হইতে গ্রহণ করিয়াছে ; অবং উহার কিছু কিছু পরিবর্তন ও করিয়াছে। অতএব, কিসে যে থিয়োসফি বিশেষরূপে বৌদ্ধধৰ্ম্মের সহিত সংশ্লিষ্ট তাহ৷ আমি বুঝিতে পারি না । “বৌদ্ধ গৌতম এই মতবাদের পুর্ণতাবিধান কল্পে এতটা করিয়াছেন ষে ইহা র্তাহারই নিজস্ব হইয়া পড়িয়াছে”—এই