পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] ব্ৰাহ্মণ" শঙ্করাচাৰ্য্যকে প্রমাণ মানিয়া এই সকল ভ্রমের অবতারণা করিয়াছেন । শঙ্করাচার্য্যের উল্লেখ করিয়া তিনি বলেন, শঙ্করাচার্য্য বুদ্ধেরই এক অবতার ; এবং তাহার মতে বুদ্ধের মৃত্যুর ৬০ বৎসর পরে, শঙ্করাচার্য্য জন্ম গ্রহণ করেন । আরও তিনি এই কথা বগেন—“শঙ্করাচাৰ্য্য—বেদান্ত দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা, যদিও তিনি গ্রন্থাদি হইতে ইহার পোষকতা প্রাপ্ত হইয়ছিলেন । বেদান্তের প্রকৃত অর্থ—স্থানের চূড়ান্ত অংশ। শঙ্করাচার্যাকে সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন ব্রাহ্মণ্যিক দর্শন বেদান্তের সংস্থাপক বলায়—এমন কি সাংখ্যেরও পূৰ্ব্বব । বলায় মিঃ সিনেটু একটা কুঞ্জটিকার স্বষ্টি করিয়াছেন। স্বয়ং ব্যাস যিনি দ্বিতীয় বেদান্তদর্শনের সংস্থাপক, প্রাচীন বেদান্ত-দর্শনকে সমর্থন করাই যাহার উদ্দেশ্য ছিল, সেই ব্যাস বৌদ্ধধর্মের বহুপূৰ্ব্ববর্তী। সেনেট, ষে শঙ্করাচাৰ্য্যকে বুদ্ধের অবতার বলিয়াছেন, র্তাহাকেই আবার এমন এক দর্শন-তন্ত্রের প্রধান প্রবর্তৃক বলিয়াছেন যাহ। বেদের উপর প্রতিষ্ঠিত। বস্তুত, কোল্‌ব্রুবের মতে, ব্যাস ব। বেদব্যাসের অর্থ "বেদের সঙ্কলন কৰ্ত্তা ।” বেদের উপর প্রতিষ্ঠিত বলিয়। এই দর্শনের নাম "বেদান্ত’ হইয়াছে। পক্ষান্তরে শাক্যমুনি, শুধু যে বেদের প্রমাণ অগ্রাহ করিয়াছেন তাহা নহে, তিনি বেদান্ত দর্শনের সেই বিযম শক্র কপিলের দর্শন হইতে র্তাহার দর্শনতন্ত্র গ্রহণ করিয়াছেন। প্রকৃত কথা —শঙ্করাচার্য্য, , বৈদান্তিক সম্প্রদায়ের একজন প্রসিদ্ধ দার্শনিক, ব্ৰহ্ম স্বরের একজন প্রখ্যাত ভাষাকার । সেত থিওসফি ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম هو يت ভাষ্যগ্রন্থে, তিনি বৌদ্ধদিগের মত খণ্ডন করিয়াছেন। ব্রহ্মস্থত্ৰ—যাহা বৌদ্ধদিগের তাদিম দর্শনগুলির পরবত্তী—সেই ব্ৰহ্মস্থত্রের উদ্দেশ্য, বিভিন্ন দর্শনগুলি ভ্রান্ত, ইহাই সপ্রমাণ করা । কেননা, তাহার মতে, ঈশ্বর পূর্ণরূপে এক ও অখণ্ড এবং জগৎ বাস্তবসত্য নহে । সুতরাং, ইহা শাক্যসিংহের প্রচারিত মতবাদের সম্পূর্ণ বিপরীত কথা। এই বেদান্তদর্শন যে বৌদ্ধদিগের প্রতিপক্ষ, তাহার প্রমাণ—লওঁমান ফালে ও বৈদান্তিক ব্রাহ্মণের, জৈন নামক হিন্দুসম্প্রদায়ের বিরোধী তাহারা বলেন, যে প্রকারেই ভৌতিক পদার্থের যোগাযোগ কর না কেন, তাহা হইতে জ্ঞানবস্তু কখনই উৎপন্ন হইতে পারে না ; এবং ভৌতিক পদার্থের দ্বার। মনোবৃত্তি ও মানসিক ব্যাপারেরও ব্যাথ হইতে পারে না। অতএব শঙ্করাচাৰ্য্য পোকদিগের প্রতিপক্ষ ; সুতরাং তিনি বুদ্ধের অবতার হইতে পারেন না । মিঃ সিনেট ব্রহ্মের যে উৎপত্তি দিয়াছেন তাহাতেও বড় একট। কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই ৩নি বলেন, "ব্রহ্ম শব্দ ‘র’ ধাতু হইতে উৎপন্ন হইয়াছে— যাহার অর্থ, প্রসারিত হওয়া, বৰ্দ্ধিত হওয়া, ফলপ্রস্থ হওয়া।” পক্ষান্তরে Eichhoff এর ব্যাকরণ অনুসারে ব্ৰহ্মশব্দ “ব-র-হ’ ধাতু হইতে উৎপন্ন হইয়াছে—যাহার অর্থ ধারণ করা । বস্তুত, ব্রহ্ম বিশ্ববিধরণ বলিয়। অভিহিত হইয়া থাকেন। এই ব্ৰহ্ম পরিপূর্ণ, নিজ স্বরূপে পূর্ণভাবে অবস্থিত। তিনি সেই