৪র্থ সংখ্যা ] পুরুত্ব হইতে জনমেজয় পৰ্য্যন্ত গৌকিক। লৌকিককে আবার দুইভাগ করা যাইতে পারে প্রাচীন ও সমসাময়িক । পুরুরবা হইতে প্রতীপ পর্যন্ত প্রাচীন। শান্তনু হইতে জনমেজয় পর্য্যন্ত সমসাময়িক । প্রাচীনাংশকে আবার লৌকিকালৌকিক ও গুস্থলৌকিক এই দুই শাখায় বিভাগ কর যাইতে পfরে। দার্শনিক অশ দার্শনিক অংশ এই প পন্ধের প্রাসঙ্গিক নহে বলিয়া তৎসম্বন্ধে আলোচনার আবখ্যক নাই । কিন্তু ইহা না বলিয়! থাকিতে পারি ন যে, উহা উপকথা নহে, উহাতে গভীর সৃষ্টতত্ত্ব নিহিত | ব্ৰহ্মাই দার্শনিকের অহঙ্কার তত্ত্ব ; সনক, সনাতন, সনন্দ, সনৎকুমার প্রভৃতি সেই তত্ত্বের পুত্রীভূত মনস্তত্ত্বের ইচ্ছোপসজ্জনজ্ঞানের ভিন্ন ভিন্ন মূৰ্ত্তি, মরীচ্যাদী মনের জ্ঞানোপসজ্জনইচ্ছাশক্তির বিকাশ । কণ্ঠপ মনোধৰ্ম্মসংকল্পের পরিচালক। দক্ষ স্থষ্টিকৌশল, ব্ৰহ্মার জ্ঞানেচ্ছেপেসজ্জন কৰ্ম্মের ফল । তাহার পত্নী প্রস্থতি ক্রিয়াশক্তি । র্তাহার • পঞ্চাশটা কণ্ঠ সেই ক্রিয়াশক্তির ভিন্ন ভিন্ন প্রস্থানভেদ। চতুর্দশ ক্রিয়াশক্তির সহিত মিলিত হইয়৷ কণ্ঠপ সূক্ষ্ম সাত্ত্বিক দেবসর্গ, সুক্ষরাজসিক গন্ধৰ্ব্বাদি-দেবযোনিসর্গ, স্বগ্নতমসিক অসুরসর্গ, স্থূলতামসিক পশুপক্ষিসৰ্গ করেন। ব্ৰহ্মার ইচ্ছাশক্তির বিকাশ অত্রি হইতে ইচ্ছাশক্তির বাসনারূপ অংশই চঞ্জ। কামনামগুলই চন্দ্রের অধিকার । জীব যত দিন কামী, ততদিনই কামনামণ্ডলে ঘুর্ণায়মান। তাই গীতায় বল৷ মহাভারতের ঐতিহাসিকতা RᎸ☾ হইয়াছে “তত্ৰ চন্দ্ৰমসং জ্যোতির্যোগী প্রাপ্য নিবৰ্ত্ততে।” সেই চন্দ্রের পুত্র বুদ্ধ কামকামীর বুদ্ধি। এদিকে মন্ত্র অষ্টার মনীষা । তাহার কন্য। ইগাই পৃথিবী বা পার্থিবভাব। তিনি ঘ ন বুধের সহিত মিলিত তখনই কামকামী মানববংশ পৃথিবীতে প্রবর্হিত। লৌকিক লৌকিক অংশ পুরূরব। মৰ্ত্তাধাগে চন্দ্রবংশের আদিপুরুধ । অবশু মানুববংশের পূৰ্ণপরিচয় দিতে গেলে এরূপ একস্থলে না একস্থলে দাড়াইতৃেষ্ট হইবে বাহার পূৰ্ব্বে আর যাওয়া চলে না । ধৰ্ম্ম প্রাণ পাচ্যলেখক দেবতা হইতে সেই আদিপুরুষের জন্ম বলেন । প্রতীচ্যগণ র্তাহাকে ব্যাঘ্রাদির দুগ্ধে পাষিত বলেন। চন্দ্রবংশীয় নৃপগণের বংশ পুরূরবার পূৰ্ব্বে আর লইয়া যাওয়া যায় না, এইভাবে গ্রহণ করিতে চান গ্ৰহণ করুন, আর পুরূরবীকে দেবতার পুত্রই বলুন উভয়ের কোনটাতেই পুকুরবার অস্তিত্ব লোপ হয় না। তিনি একরূপ আদিমকুষ্য, তাহাতে অনেক অমানুষভাব আরোপিত হইয়াছে । অপুর উৰ্ব্বশ তাহার রূপে মুগ্ধ হইয়। তাহাকে বরণ করেন এবং সেই অপারার গর্ভে র্তাহার আয়ু, ধীমান, অমাবস্তু, দৃঢ়ায়ু, বলায়ু, ও শতায়ূ নামে ঘটুপুত্র জন্মে। এই ব্যাপারের যদি এরূপ ব্যাখ্যা করেন যে উৰ্ব্বণীসদৃশ উৰ্ব্বশী নায়ী কোন রূপবতী তাহার কণ্ঠে বরমাল্য দেন, তাহ হইলে ইতিবৃত্তের আলোঁকিকতা যায়। পিতার চরিত্রে অলৌকিকতা থাকিলেও পুত্র আয়ু মানুষ ভিন্ন আর কিছুই নহে। স্বর্ভানবীর গর্ভে তাহার নহ্য, বৃদ্ধশৰ্ম্ম, অতএব
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।