পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੇ8 अझछण नहे श्हेप्त । कि विषम रुक्कन ! कि ভীষণ শাস্তি ! আজকাল সমাজ-শৃঙ্খলা না থাকায় এবং দেশে হিন্দু ভিন্ন অপরাপর জাতির বসতি ও আধিপত্য হওয়ায়, লোকের সমাজ-ভয় কমিয়া গিয়াছে। এখন কোন ধনী লোককে বয়কট করা বড়ই কঠিন কাৰ্য্য ; কেননা, সে গুরুপুরোহিতের কাঙ্গল নচে, সামাজিক অমুষ্ঠানের ধার ধারে না, পূজা-পাৰ্ব্বণশ্রাদ্ধাদিকে আপদ জ্ঞান করে, তাহার মিলিবার মিশিবার জন্য তাঁহারই ন্তায় উচ্ছখল-স্বভাব বন্ধুজনের অভাব নাই এবং আহারের জন্ত গ্রাও, ছোটেল কি গ্রেটু ইষ্টরণের দ্বার খোলা আছে। আর যদি ঘরে রান্না বাল্লা করিতে হয় তাহার জন্ত হিন্দু পাচক ঞ্চি হিন্দু চাকরের দরকার নাই ; তাই আমাদের স্বদেশী আন্দোলনের বয়কট-ব্যাপারে রাজধানী অপেক্ষ ক্ষুদ্র সহর, সছর অপেক্ষা মফঃস্বল এবং পশ্চিম বঙ্গ অপেক্ষা পূৰ্ব্বৰঙ্গ সমধিক জয়যুক্ত হইয়াছে, অর্থাৎ যেখানে যেখানে সমাজের বন্ধন যেমন দৃঢ়, সেইখানে সেইখানে বয়কট ততটা কৃতকাৰ্য্যত লাভ করিয়াছে । এক্ষণে এই প্রশ্ন উঠিতে পারে যে, পৃথিবীর যে সকল দেশে হিন্দু-জাতিভেদের ন্যায় জাতিভেদ-প্রথা নাই, অর্থাৎ যে সকল দেশে স্পৃষ্ট অন্নজল পরিত্যাগ করা সামাজিক শাসনের অঙ্গ নছে, সে সকল দেশে কি “বয়কট” হর মা ? "বয়কট” শব্দের উৎপত্তি ইউরোপেই হইয়াছে। এ কথার উত্তর এই যে, সে সকল দেশের বয়বটের প্রণালী স্বতন্ত্র, আমাদের দেশে যেখানে “কদয়ে পুণ্ডরীকক্ষ,” সেদেশে সেখানে ‘প্রহারেণ ধনঞ্জয়ঃ।” আসল কথা এই বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, ভাদ্র, ১৩১১ যে, সে দেশে যদি কাহাকেও বয়কট করা হয় এবং যদি কোন ব্যক্তি সেই বয়কট-ব্যক্তির সাহায্য করে, অথবা কোনরূপে তাহার প্রতি কিঞ্চিম্মাত্র সহানুভূতি দেখায়, তবে বয়কটকী জনমণ্ডলী সেই ব্যক্তির বাড়ী ঘর ঘেরাও করিবে, তাহার ঘরে আগুন দিবে এবং তাহাকে হস্তগত করিতে পারিলে হয় প্রাণে মারিবে, নতুবা তাহাকে বিকৃতাঙ্গ করিবে। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গগণ যখন ইংলণ্ডের “চ” বয়কট করিয়াছিল,তখন বয়কটকারিগণ তুলায় আলকাতরা মাথাইয়া সঙ্গে রাখিত এবং বয়কটের বিরুদ্ধবাদী কোনো ব্যক্তিকে রাস্তায় দেখিতে পাইলে, তাহার চোকে মুখে আচম্বিতে সেই আলকাতর-মাথাতুল চাপিয়া লাগাইয় দ্বিত ; সে সব দেশে বয়কটের সময় অষ্টান্ত যে সকল ঘটনা ঘটিয়াছে, সে সকলের তুলনায় এই প্রথাটিকে বিশেষ শিষ্টতা ও সভ্যতাব্যঞ্জকই বলিতে হইবে। আমি পাশ্চাত্য বয়কট প্রথার সমালোচনা করিতে চাছি না। আমি শুধু বলিতে চাই যে, আমাদের দেশে ও পাশ্চাত্যমণ্ডলে বয়কটের যে বিভিন্ন মূৰ্ত্তি প্রকাশিত হইয়াছে, এই উভয়ের মধ্যে আমাদের জন্ত কোষ্ট্ৰী বাঞ্ছনীয় ? পাশ্চাত্য বয়কটপ্রণালীতে বয়কট ব্যক্তি বিপক্ষের নিকট হইতে কোনো সাহায্য পায় না ; কিন্তু আমাদের দেশে যাহাকে একঘরে করা হয়, কেহ তাঁহা বাড়ীতে আহার করে না বটে, কিন্তু সে ব্যক্তি বিপন্ন কি বুভুকু হইয়া আসিলে, সকলেই তাঁহাকে যত্নের সহিত অন্নজল প্রদান করে। এদেশের একান্ত কঠোর শাসনও দয়াকে কখনই অতিক্রম করে নাই। কিন্তু পাশ্চাত্য সমাজ