পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] রক্ষণশীলতার অন্তরালে এই বিপ্লবের ভয়ই • জাগিয়া আছে। বর্তমান সময়ে রক্ষণশীল হিন্দু বলিয়া অনেকেই পরিচিত। কিন্তু ইহার অনেকেই প্রাচীন সমাজের জীর্ণদেহকে রক্ষা করিবার জন্য যত ব্যস্ত, তার ভিতরকার সনাতনু প্রাণবস্তুকে রাখিবার জন্য তত ব্যস্ত নহেন। হিন্দুয়ানীর বাহ ঠাটটা বজায় থাকিলেই, হিন্দুর সব রহিল, সেই ঠাটের ভিতরকার প্রাণটা হিন্দু কি অহিন্দু, ভারতীয় কি বিলাতী হইয়া যাইতেছে এ চিন্ত তাহাদিগকে স্পর্শ করে না। এক গুরুদাস বাবুই বোধ হয়, আধুনিকশিক্ষাপ্রাপ্ত হিন্দুদের মধ্যে, হিন্দুর সনাতন প্রাণবস্তুকে অক্ষত ও অক্ষয় রাথিবীর জন্য ব্যগ্র হইরা আছেন। আর এই ব্যগ্রতার জন্যই হিন্দুসমাজের সনাতন প্রাণবস্তু সাময়িক-আলোচনা ૨૪ এবং ধৰ্ম্মবস্তুও, আজ তাহকে ও র্তাহারই মতন ধৰ্ম্মনিষ্ঠ ও কৰ্ম্মনিষ্ঠ, সংযত ও সম্যকদর্শী’ সুধীজনকে আশ্রয় করিয়া, আসন্ন বিপ্লবমুখে আত্মরক্ষা করিবার চেষ্টা করিতেছে। প্রত্যেক बलुबई हिडिव्र छूमि शंश, उांच्च अलि निधूळू ভাবে, চক্ষের অন্তরালে, বসিয়া থাকে। তাহার গতির কারণ যাহা তাহাই বাহিরে ফুটিয়া উঠে। গুরুদাস বাবুর মত লোকনায়কগণ সমাজের স্থিতির সহায় বলিয়া, তাহাঁদের প্রভাব সৰ্ব্বদা প্রত্যক্ষ হয় না ; নতুবা তাঙ্গদের শক্তি ও মাহাত্ম্য যে সামান্ত, তাহ নহে। ইহারা আছেন বলিয়াই হিন্দুর সমাজের সমাজত্ব, ও হিন্দুর ধৰ্ম্মের ধৰ্ম্মত্বটুকু এখনো আমাদের মধ্যে র্বাচিয়া রহিয়াছে । ঐবিপিনচন্দ্র পাল ৷ கது সাময়িক-আলোচনা ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকায় আর একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইবে, এ কথা শুনিয়া দেশের লোক যে প্রথমে কতকটা বিচলিত হইয়া উঠিয়ছিলেন, ইহা কিছুই বিচিত্র নহে। তখন অনেকেই ভাবিয়াছিলেন যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন আর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হইবে, আর তার সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের স্কুল ও কলেজগুলি কলিকাতার অধীন ও পূর্ববঙ্গের স্কুল ও কলেজগুলি ঢাকার অধীন হইবে । এইরূপভাবে লোকশিক্ষা লইয়া বাংলাদেশকে আবার নূতন করিয়া দ্বিধা বিভক্ত করা হইবে । সম্রাটু স্বয়ং আসিয়া বঙ্গভঙ্গের কার্জনী কুস্বপ্নটা ভাঙ্গিয়া দিয়া গেলেন সত্য ;কিন্তু তার অববাহিত পরেই, এই নূতন বঙ্গভঙ্গের আশঙ্কায় লোকমন সহজেই বিচলিত হইয় উঠে। কিন্তু বড়লাট যখন সরলভাবে এই বিষয়ে আপনার মনোভাব প্রকাশ করিয়া বলিয়াছেন যে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আর একটা নূতন পরীক্ষার যন্ত্র ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হইবে না, কিন্তু একটা প্রকৃত বিহার বা টিচিং ইউনিভারসিটি সেখানে স্থাপিত হুইবে, তখন আর এরূপ ভয়ভাবনার কোনো কারণ রহিল কৈ ? কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ভিন্ন ভিন্ন স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা • লইয়াই ক্ষান্ত রহেন; এবং এই পরীক্ষা লইবার জন্য যতটা পরিমাণে ও যেরূপভাবে তাদের পড়াশুনার তত্তবাবধান করা আবশ্বক ততটা তত্তবাবধানও করিয়া থাকেন। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ভিন্ন ভিন্ন স্কুলকলেজের মধ্যে কোনো প্রকারের ঘনিষ্ঠত নাই, জন্মানোও অসম্ভব। এই কারণে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বিদ্যালয়সমূহের মধ্যে একটা সত্য ও সঙ্গীব একতা বা কোনো প্রকারের অঙ্গাজী সম্বন্ধ