পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩০০

৫ম সংখ্যা ] সংস্থানে সু প্রণালীক্রমে একঘ’রে করার উপার না থাকায় সে দেশের বয়কট-প্রথা একান্ত বাহুবলের উপর প্রতিষ্ঠিত ; সুতরাং উহ উীষণ সংস্থারক মুক্তি ধারণ করিয়া ধৰ্ম্ম ও রাজ-বিধি উভয়কেই লঙ্ঘন করে। ইহা পাশ্চাত্য মণ্ডলে নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা । আমাদের দেশের প্রাচীন গ্রাম পঞ্চায়েৎপ্রথাকে আজকাল অনেক চিন্তাশীল ইংরাজ ও প্রশংসা করিয়া থাকেন । যখন এদেশের গ্রাম্য পঞ্চায়েৎপ্রথা বর্তমান ছিল, তখন সামাজিক শাসনই সেই প্রথার মূল শক্তি ছিল এবং সেই শক্তির মূল-মন্ত্র ছিল সামাজিক বয়কট অর্থাৎ অপরাধী ব্যক্তির পৃষ্ট অল্পজল পরিত্যাগ করা। যদি বল যে জরিমান করার প্রথা ও প্রচলি ও ছিল, একটু ভাবিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে যে সামাজিক শাসনের ভয়েই লোকের জরিমাণ দিত, নতুবা দিবে কেন ? আমি এই প্রবন্ধে এই মাত্র দেখাইতেছি ধে, সমাজ-শাসনের জন্ত যদি বয়কট প্রথার জ্ঞানদাস ২৯৫ অfবশুক থাকে ( বাহার" উহ্য অস্বীকার করেন র্তাহাদিগকে কিছু বলিবার নাই ) তবে হিন্দুবয়কট-প্রথা অর্থাৎ অপরাধী ব্যক্তির পৃষ্ট অন্নজল পরিত্যাগ করাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট প্রথা। পৃথিবীর অন্যান্ত দেশের প্রচলিত প্রথা অপেক্ষা উহা শিষ্ট ও নিরীহ অথচ সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক শক্তি-সম্পন্ন । যদি কেহ এতদপেক্ষ উৎকৃষ্টতর প্রথার আবিষ্কার করিতে পারেন, আমরা অবশুষ্ট মাথা পাতির র্তাহার কথা গ্রহণ করিব । * শ্ৰীমনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা। * नूनांषिक २० বৎসর পূৰ্ব্বে বরিশালের भूछेॉन মিশনের অন্তর্গত বাগধা ও জাস্কর গ্রামের আলোক ও কালীচরণ নামক ব্যক্তিদ্বল্প ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিলে থষ্টানগণ তাহাদিগকে একঘরে করিল, কেবল যে তাছাদের অন্নজল পরিত্যাগ করিল এরূপ নহে,ত{হাঙ্গের ক্ষেতের ধান কাটিল না, তাছাদের জীর্ণঘর মেরামত করিল না, এই প্রবন্ধ লেখক কোন একজন স্বপ্রসিদ্ধ ইংরাজপত্নীকে এ কথা জানাইলে তিনি উত্তর করিলেম যে এরূপ শাসন-প্রণালী জৰলম্বন না করিলে তাহার। উহাদের মণ্ডলীর শৃঙ্খলা রক্ষা করিতে পরিবেন না। লেখক । জ্ঞানদাস বৈষ্ণবকবির মিলন-গীতিও কেবল ইঞ্জিয়ের চর্মমাত্র নহে, এ সকল গানেও ভাব-বাহুল্য বিশেষরূপে দৃষ্ট হইয়ছে। না পুছ না পুছ সখি পিয়ার পিরাতি । পরাণ নিছনি দিলে ন হয় উচতি ॥ হিয়ার উপর হইতে শেজে না শোয়ায় । বুকে বুকে মুখে মুখে রজনী গোঙায় ॥ vo) নিদ্রার আলসে যদি পাশ মোড়া দিয়ে। কি ভেল কি ভেল বলি চমকি উঠয়ে ॥ झिम्नांझ श्ब्रिांब्र ७द रघ्नांcन दग्नॉन । নাসিক নাসিকায় এক নয়নে নয়ান ॥ ইথে যদি মুঞি তেজিয়ে দীর্ঘ নিশ্বাসে । আকুল হইয়। পিয়া উঠয়ে তরাসে । এমতি বঞ্চিয়ে নিশি দুহে এক মেলি। জ্ঞানদাস কহে ঐছে নিতি নিতি কেলি ॥