৫ম সংখ্যl ] তোমায় আমায়। একই পরাণ ভালে সে জানিয়ে আমি । চিয়ার হৈতে বাহির হইয়া কিরূপে আছিল তুমি ॥ যে ছিল আমার মরমের কুখ সকল করিমু ভোগ । আীর না করিব আঁখির আড় রহিব একই যোগ ॥ থাইতে গুইতে তিলেক পলকে আর না যাইব ঘর। কলঙ্কিনী করি খেয়াতি হৈয়াছে আর কি কাহীকে ডর। এতহু কহিতে বিভোর হইয়। পড়িল শ্যামের কোরে । জ্ঞানদাস কহে রসিক নগর ভাগিল নয়ান লোরে ॥ শ্ৰীৰাধা এখন বুঝিয়াছেন যে র্তাহার নিজস্ব কিছুই নাই ; তাহার গৰ্ব্ব এখন নিজেকে লইয়া নয়, সে গৰ্ব্বে আর অহমিকা নাই। তাই যিনি বলিয়াছিলেন— আমার আঙ্গের रुद्ां लi*िध्र। পীতবাস পরে শ্যাম। গ্রাণের অধিক করের মূরলী লইতে আমার নাম । তিনি এখন বলিতেছেন— বঁধু তোহারি গরবে গল্পৰিণী আমি রূপসী তোহারি রূপে। হেন মনে লয় চরণ যুগল te সদা ধ’রে রাখি বুকে i এই যে বঁধুর গর্কে গৰ্ব্ব, বঁধুর রূপে রূপ, এই ষে চরণযুগল সদা বুকে ধরিয়া রাখিবার প্রবৃত্তি—ইহাই আত্মসমর্পণ ; জ্ঞানদাস ૨૪ જે আধখান নছে, সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। এই গৰ্ব্বে, এই রূপানুভূতিতে, এই আকাঙ্ক্ষার আধ্যাত্মিক উন্নতির চূড়ান্ত দেখা যাইতেছে ; কারণ, ইহা কোনও ইন্দ্রিয়ময় জীবের ক্লেদময় গৰ্ব্ব নহে, জলাময়ী আত্মতৃপ্তির আকাঙ্ক্ষা নহে ; ইহা যেমন প্রেমিকার সৰ্ব্বস্বৰ্পণ, তেমনি আর এক দিকে ভক্তের আত্মনিবেদন । ভক্তের ভগবান্ ভিন্ন আর কেহই নাই ; তাছার কাছে ভূগৰীনের তুলনায় অকিঞ্চিৎকর-- অন্তের আছয়ে অনেক জন আমার কেবল তুমি । পরাণ হইতে শত শত গুণে প্রিয় গুম বলি মানি ॥ নয়নের অঞ্জন অঙ্গের ভূষণ তুমি হে কালিয়া চাদ । জ্ঞানদাসে কহে তোমারি পিরীতি অস্তরে অস্তরে বান্ধা ॥ এই আত্ম-বিলোপন কত মুনার ! ধরিয়া লইলাম, জ্ঞানদাসের কোনও আধ্যাত্মিক ভিত্তি নাই ; তাহা হইলেও কি এই অত্যন্ত আত্মত্যাগ, এই নিবিড় আত্মসমর্পণ, এই একান্ত নির্ভরশীলতা, গভীর প্রেমের পরিচায়ক নহে ?—ভাবের বিকাশ করিতে সক্ষম নহে? এ আত্মত্যাগে চুক্তি নাই, দেনা-পাওনার হিসাব नांझे, लांडांलांtउद्र थtऊन मांहे, ७ उJांश যথার্থই মূৰ্ব্বস্ব-ত্যাগ ; জাতিত্যাগ, কুলত্যাগ, এমন কি, ধৰ্ম্ম পর্যন্ত ত্যাগ। তোমার জুলিয়টই ভালবাসার খাতিরে প্রাণ পৰ্য্যন্ত ত্যাগ করিয়াছিল সত্য, কিন্তু চুক্তি ছাড়িতে পারে নাই ; প্রথমেই সে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।