পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] a পড়িল। এইরূপে স্বরেন্দ্রনাথই সৰ্ব্ব aামে আমাদের নিকটে ভারতের আধুনিক চুরিসে এক নূতন প্রাণতার প্রতিষ্ঠা 不{孤1 যেমন ভারতের ইতিহাস পড়িয়াও আমরা এলবৎ কাল পর্যন্ত তাহা হইতে প্রকৃত পক্ষে কোনো প্রকারের সত্য স্বাদেশিকতার উদীপনা সংগ্ৰহ করিতে পারি নাই, সেইরূপ রোপীয় ইতিহাস পড়িয়াও তাহার ভিতরে যে রাষ্ট্ৰীয় স্বাধীনতার প্রেরণা আছে, তাহা ও ভাল করিয়া ধরিতে পারি নাই । সুরেন্দ্রনাথের বাগ্মী-প্রতিভাই আমাদের সমক্ষে আধুনিক যুরোপীয় ইতিহাসের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার আদর্শকেও উজ্জল করিয়া ধরে। ম্যাট সিনির দৈব প্রতিভা, গ্যারীবন্দ্রীর স্বদেশ-উদ্ধার4য়ে অস্তুত কৰ্ম্মচেষ্টা, যুন-ইতালী (Young Italy) সম্প্রদায়ের এবং নব্য আয়লণ্ডের(New Inluwl) আত্মোৎসর্গপূর্ণদেশচর্য্য, এ সকলের কথা সুরেন্দ্রনাথই সৰ্ব্ব প্রথমে এদেশে প্রচার করেন এবং তাহার এই সকল ঐতিহাসিক শিক্ষাকে আশ্রয় করিয়৷ পূৰ্ব্বে আমাদের যে দেশভিমান বহুল পরিমাণে কবি-কল্পনা ও পৌরাণিকী কাহিনী অবলম্বন করিয়াই ফুটিয়া উঠিতেছিল, তাহাই এখন স্বদেশের এবং বিদেশের ইতিহাসের দৃষ্টান্ত ও শিক্ষার দ্বারা অষ্ট্র প্রাণিত ভুইয়া, কিয়ৎ পরিমাণে সত্যোপেত ৪ বস্তুতন্ত্র হইয়া উঠিল । * স্বজেন্দ্রনাথের রাষ্ট্ৰীয় কৰ্ম্ম-জীবনের ব্যাপকতা · এইরূপে স্বরেন্দ্রনাথ যে স্বদেশ-গ্রীতিকে সাশ্রয় করিম্বা আপনার রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মজীবনের প্রতিষ্ঠা করেন, প্রথমাবধি সমগ্র ইlরতবৰ্ষই তাহার উপজীব্য ছিল। বাঙালীর চরিত-চিত্র 994 প্রকৃতির এবং বাংলার ইতিহাসের বিশেষত্ব হইতেই আমাদিগের স্বদেশপ্রতির এই অপূৰ্ব্ব উদারতার উৎপত্তি হইয়াছে এই আধুনিক স্বাদেশিকত এ পৰ্য্যন্ত বাংলা, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব, এই তিন প্রদেশেই বিশেষভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে। কিন্তু বাংলার স্বাদেশিকতার আদর্শ যতটা উদার ও উন্নত,মহারাষ্ট্রের কিম্বা পাঞ্জাবের স্বাদেশিকতার আদর্শ ততটা উদার ও উন্নত নহে। ইংরেজ এদেশে না আসিলে ভারতরাষ্ট্রে মারাঠা ও শিখ,ইসরাই সম্ভবতঃ মোগলেরউত্তরাধিকারী হইয়া দেশের শাসন-শক্তিকে অধিকার করিয়া বসিতেন। ব্রিটিশ-প্রভুশক্তির প্রতিষ্ঠায় র্তাহীদের সে আশা নিৰ্ম্মল হইলেও তাহার স্মৃতি শিখ বা মারাঠার চিত্ত হইতে একেবারে লুপ্ত হয় নাই। আর এই কারণে পাঞ্জাবের কিম্বা মহারাষ্ট্রের স্বাদেশিকতার মধ্যে একটা প্রাদেশিক পক্ষপাতিত্ব লুকাইয়া আছে। বাংলায় সেরূপ কোনো ঐতিহাসিক স্মৃতি নাই বলিয়াই, বাঙালীর স্বদেশিকতার কোনো প্রাদেশিক আশ্রয়ও নাই। অন্যদিকে বাঙালীর প্রকৃতিও শিখ বা মারাঠার প্রকৃতির মত নহে। শিখ,খালদা ভারতমাতার বাহুতেই বল সঞ্চার করিয়াছে, কিন্তু বিশেষ ভাবে তাহার বাণীশক্তি অধিকার করিতে পারে নাই। অন্যদিকে মারাঠা ও বাঙালী ইহাদের বুদ্ধি-বল ভারতের অপরাপর জাতির বুদ্ধি-বল হইতে শ্রেষ্ঠ হইলেও বাঙালীর বুদ্ধিতে ও মারাঠার বুদ্ধিতে প্রভেদও বিস্তর। মারাঠীর বুদ্ধি কাৰ্য্যকরী, ইংরাজিতে ইহাকে practical বলে । বাঙালীর বুদ্ধি ভাবময়ী, ইংরাজিতে ইহাকে idealistio বলা যায়। কার্যকরী বৃদ্ধি ফলসন্ধিৎসু ;