كلاركي কৰ্ম্মাকৰ্ম্মেল আসন্ন ফল লক্ষ্য করিয়া চলে। ভাবময়ী বুদ্ধি সত্যসন্ধিৎসু , কৰ্ম্মাকর্মের প্রত্যক্ষ ফলাফলকে অগ্রাহ করিয়া ভাবরাজ্যে ও তত্ত্বাঙ্গে তাহার কি পরিণাম ঘটবে, তাহাই কেবল দেখে। কার্যকরী বুদ্ধি আদর্শকে উপেক্ষা করিয়া বাস্তবকে ধরিতে চাহে ; ভাবময়ী বুদ্ধি বাস্তাকে উপেক্ষা করিয়া আদর্শেতেই আত্মসমর্পণ করে । দেশচর্য্যায় কার্যকরী বুদ্ধির প্রেরণ। প্রাদেশিকতাকে বাড়াইয়। তোলে এবং স্বদেশ-ভক্তিকে সঙ্কীর্ণ ও সাম্প্রদায়িক করিয়া ফেলে। ভাবময়ী বুদ্ধি দেশচর্য্যা ও দেশভক্তিকে সৰ্ব্ব প্রকারের প্রাদেশিকত ও সাম্প্রদায়িকত হইতে যথাসম্ভব মুক্ত করিয়৷ উদার ও সাৰ্ব্বজনীন করিতে চাহে। রাষ্ট্ৰীয় জীবনে কার্যকরী বুদ্ধি আসন্নফলসন্ধিংমু politicianএর বা রাজনীতিকের স্বষ্টি করে। আর ভাবমগ্নী বুদ্ধি দূরদর্শী ও সম্যক্দৰ্শী নীতিজ্ঞ বা Statesmanoğ সৃষ্টি করিয়া থাকে। মহারাষ্ট্রের ও বাংলার কৰ্ম্মজীবনের তুলনায় এই দুই জাতীয় মানববুদ্ধির ভেদাভেদের বিলক্ষণ পরিচয় পাওয়া যায়। আর বাঙালীর প্রকৃতির গুণে এবং আধুনিক বাংলার ইতিহাসের কোনো বিশেষ রাষ্ট্ৰীয় গৌরবন্থতির অভাবে, আমাদিগের বর্তমান স্বাদেশিকতা যেমন সমগ্র ভারতবর্ষকে আশ্রয় করিয়া ফুটিয়া উঠিয়াছে, সেইরূপ বাঙালী কৰ্ম্মনায়ক সুরেন্দ্রনাথের রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মজীবনও সমগ্র ভারতরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করিয়াই গড়িতে আরম্ভ করে। স্বরেন্দ্রনাথের পূৰ্ব্বে ভারতের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচেষ্টা প্রাদেশিক শাসনের ভালমন্দ লইয়াই বিব্রত এবং বঙ্গদর্শন শাথাভারতসভার প্রতিষ্ঠা [ ১২শ বৰ্ম, ভাদ্র, ১৩১৯ প্রাদেশিক জীবনের সঙ্কীর্ণ সীমার মপ্লেট আবদ্ধ ছিল। কবি-কল্পনাতে এবং সংবা পত্রেই কেবল ভারতের রাষ্ট্ৰীয় একত্ব বোধের কতকটা প্রমাণ পাওয়া যাইত, নতুবা এক প্রদেশের স্থখ-দুঃখ অন্য প্রদেশের চিত্বকে বিক্ষুদ্ধ করিত কি ন সন্দেহ । কলিকাতার ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান-সভা, পুনার সাৰ্ব্বজনিক সম্ভ ও মান্দ্রাজের মহাজন-সভা, এ সকলই প্রাদেশিক প্রতিষ্ঠান ছিল । স্বরেন্দ্রনাথের প্রেরণায় ও উদ্যোগে যে ভারতসভার বা Indian Associationestā GīHI RA, TIKË সৰ্ব্ব প্রথমে এই প্রাদেশিকতাকে অতিক্রম করিয়া, সমগ্ৰ ভারতের রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্ম ও চিন্তাকে এক স্থত্রে গাথিয়৷ তুলিতে চেষ্টা করে। সমগ্র ভারতবর্ষকে এক বিশাল কৰ্ম্মজালে আবদ্ধ করিবার আকাঙ্ক্ষা লইয়াই ভারতসভার জন্ম হয় এবং অল্প দিন মধ্যেই উত্তর ভারতের বড় বড় সহরে শাখ সভা সকল গঠিত হইতে আরম্ভ করে। এইরূপে প্রয়াগে, কাণপুরে, মীরাটে ও লাহোরে হয় । আজ ংগ্রেস সমগ্র ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ংহত করিবার জন্য যে চেষ্টা করিতেছে, চৌত্রিশ বংসর পূৰ্ব্বে স্বরেন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত ভারত-সভাই প্রকৃত পক্ষে সৰ্ব্ব প্রথমে সেই চেষ্টার সুত্রপাত করে। যে স্বদেশভিমানকে আশ্ৰয় করিয়া ভারত সভা দেশের রাষ্ট্রশক্তিকে বাড়াইয়া ও গড়ি তুলিতেছিল, কংগ্রেসের জন্ম নিবন্ধন ীি তাহা একান্ত বহির্মুখীন হইয়া না পড়িষ্ট তাছা হইলে আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে জা প্রজীশক্তি কতটা পরিমাণে যে সংস্থ5 *
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।