পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ঠিক নহে, লেখা উচিত ‘এই...শিক্ষা প্রণীত', তাহা হইলেই ‘শিষ্য’ পদের স্থায় 'জনৈক’ পদেরও ‘প্রণীত’ পদের সহিত সম্বন্ধ সুচিত হইতে পারে। ‘সত্য সত্যই’, ‘প্রধান প্রধান ইত্যাদি পদগুলিকে সংযুক্ত করিয়া অথবা স্থানবিশেষে হাইফেন দিয়া লেখা উচিত। যথা, ‘সত্যসত্যই’, ‘প্রধানপ্রধান, অথবা সত্যসত্যই, প্রধান-প্রধান; এক-এক,আর-আর', জন্য অন্য ; ইত্যাদি। মুসলমান অধিকার প্রবর্তনের পর না লিখিয়া 'মুসলমান-অধিকারপ্রবর্তনের পর লেখা সঙ্গত । ‘দ্বারবর্তী অভিমুখে না লিখিয়া দ্বারবর্তী-অভিমুখে লেখা উচিত। “যে যে রাজ্যে রেশম, পশম, কাপাসাদিজাত বস্ব স্থলে যে যে রাজ্যে রেশম-পশম-কাপাসাদি-জাত' অথবা ‘ষে যে রাজ্যে রেশম-, পশম- ও কাপাসাদিজাত লেখা সঙ্গত । ‘এই কৰ্ম্ম বহুল আয়াসসাধ্য না লিথিয় ‘এই কৰ্ম্ম বহুল-আয়াস-সাধ্য লেখা উচিত। এইরূপ উচ্ছ স্বলতা ও যথেচ্ছাচারপ্রভৃতিনিবারণ, উচ্চ স্বলতা ও যথেচ্ছাচার প্রভৃতি নিবারণ নহে’, ‘শারীরিকসুখলাভই পুরুষাৰ্থ, শারীরিক সুখলাভই পুরুষাৰ্থ নহে। ‘ব। ত’, ‘ধে সে’, ‘কোন না কোন? বাঙাল-লেথার রীতি w)3X ইত্যাদি বাক্যখণ্ডকে হাইফেন দিয়া যোগ করিয়া, লিপিলেই ভাল হয় ; যথ, ‘যাত। ‘যে-সে’, ‘কোন-না-কোন । ইহা ছাড়া মুদ্রিত পুস্তকসমূহে মুদ্ৰণসম্বন্ধে সামান্ত-সামান্ত এত ক্রটি পরিলক্ষিত হয় যে, সাধারণ পাঠকও একটু আহুধাবন করিলে বুঝিতে পারেন। কিন্তু কোনো সমালোচক ও ইঙ্গার সংশোধনের দিকে সাহিত্যিকগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন না। যে সকল সম্পাদক নিজ নিজ মাসিকপত্রকে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া প্রচার করিতে কুণ্ঠ বোধ করেন না, দুঃখের বিষয়, তাহারাও এ সম্বন্ধে কোনোরূপ মনোযোগ করেন নাই। গুরুত্ব প্রভৃতি সুচনার জন্য ইংরাজীতে ইটালিক অক্ষর ব্যবহৃত হয়। দেবনাগর তদনুসরণে স্বতন্ত্র অক্ষর করিয়া লইয়াছে। বাংলা এ বিষয়ে এখনো পশ্চাৎপদ । আমি এ অভাব অমুভব করিয়া সেই সেই শব্দের অক্ষরগুলিকে ফাক-ফাক করিয়া লিখিবার প্রস্তাব করি। যেমন বৈ দা স্তি ক । রোমান অক্ষরে মুদ্রিত বহু পালিগ্রন্থে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণকে এই নিয়ম অনুসরণ করিতে e দেখা যায়। উীবিধুশেখর ভট্টাচার্য ।