পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WO88 ( २ ) भांग्रl ७ ♚कृउि ७९ई,-भग्नां९ তু প্রকৃতিং বিদ্যাৎ—শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ । ( ২ ) গুণত্রয়ের সাম্যাবস্থার নাম প্রকৃতি । ইছ দুষ্ট ভাগে বিভক্ত। মায়া ও অবিদ্যা । শুদ্ধসত্ত্বপ্রধান প্রকৃতি ( পরা প্রকৃতি--গীত ) ‘মায়া’ এবং মলিনসত্ত্বা প্রকৃতি ( মন, ইন্দ্রিয়াদি—অপর প্রকৃতি— গীত ) অবিদ্যা। মায়া যtহার অধীন, এবং ধিনি মায়াতে অধিষ্ঠিত,সেই পরমপুরুষ ঈশ্বর। g (পঞ্চদশী ) (৩) আত্মা ও প্রকৃতির সম্বন্ধ, যেমন স্পন্দন ও পবন । ( কুৰ্ম্মপুরাণ) ( 8 ) প্রকৃতি ও পুরুষের সংযোগে বিশ্বজগৎ । মছদাদি সপ্ততত্ত্ব বিষ্ণুর একদেশবৰ্ত্তী, এই জন্ত "অৰ্দ্ধগর্ভা" নামধেয় । ( ঋগ্বেদ-সংহিত। ২।২১৬৪ ) ( ৫ ) কিন্তু অৰ্দ্ধগর্ভা" প্রকৃতিতে অধিষ্ঠিত হইরাও যিনি মুক্ত, তিনিই সত্য, পূর্ণ অমৃতময় পুরুষ । ( বৃহদারণ্যক উপনিষৎ ) (৬) প্র+ক+ক্তিন প্রত্যয় করিয়া প্রকৃতি। প্রকৃষ্ট প্রকারে কৰ্ম্মসম্পাদনের ভাব । ( ) প্র+ক+ক্তিচ, প্রত্যয়, অর্থাৎ যাহা প্রকৃষ্ট প্রকারে কার্য্য সম্পাদন করে। ( তত্ত্বকৌমুদী ) (৮) প্রকৃতি, শক্তি, অজ, প্রধান, অব্যক্ত, মায়া, অবিদ্যা সকলেই ‘প্রকৃতি’র পৰ্য্যার। ( বাচস্পতি মিশ্র—বৈদিক অর্থ ) (৯) প্রকৃতি উপাদান-কারণ, পঞ্চমী । ( পাণিনি—১৪৩০ ) বঙ্গদর্শন ( নিরুক্ত ) |১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ ( , , ) পরমেশ্বরের অদৃষ্টরূপ प्रिश्कोप्लिশক্তি মায়াই প্রকৃতি, অবিদ্যা প্রভৃতি। ( উদয়নাচার্য্যের ন্যায়-কুসুমাঞ্জলি ) ( ১১ ) বিষয় এবং তদগ্রহণকারী ইন্দ্ৰিয়বর্গের মধ্যে স্ত্রীপুরুষের ভেদ নাই, ক্রান্তদর্শী কবিগণ তাহা বুঝতে পারেন। ( ঋগ্বেদ-সংহিতা—২৩১৭।১) ( ১২ } শিবাই এক অদ্বিতীয় ‘শক্তি’, শক্তিমান হইতে শক্তির ভেদ নাই । ( কুৰ্ম্মপুরাণ ) (১৩) প্রকৃতি সৰ্ব্বব্যাপী। জগৎ প্রকৃতি হইতেই নিষ্ক্রান্ত হইয়া পুনরায় তাহাতেই লীন হয় । ( পাতঞ্জল মহাভাষ্য) ( ১৪ ) 'সৰ্ব্বেপাদানম্ । ( সাংখ্য ) এই শঙ্কার্থের মধ্যে প্রেমের স্থান কোথায়, তাহা প্রেমিকগণই বুঝতে পারবেন। শ্ৰীমদ্ভাগবতে ভগবান বলিয়াছেন, ‘প্রকৃতি’ পুরুষ’ ও ‘কাল’ আমারই ত্রিমূৰ্ত্তি। বিজ্ঞান ভিক্ষু কণাদকে অবলম্বন করিয়া পরমাণুর মধ্যে প্রকৃতিকে দেখিতেছেন। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ইহার পরিপোষক । কিন্তু মোট কথা প্রকৃতি অজ্ঞেয় । এহেন অজ্ঞেয় এবং অর্থহীন পদার্থের সহিত প্রেমের সম্বন্ধ স্থাপনা করা কিরূপ গুরুতর এবং ভয়ঙ্কর ব্যাপার, তাহা বলা বাহুল্য। কিন্তু কবিগণ তাহা করিতে ছাড়েন নাই। রবীন্দ্রনাথ তাহার Çጻ፪ሽ ! 4. তিনটী অবস্থার কথা শুনা যায়। জাগ্রত, স্বযুপ্তি এবং স্বপ্ন। প্রেম কোন অবস্থা, তাহা বলা সহজ নহে ; কেবল কবি জানেন। অতএব আমাদিগের মত সাধারণ লোকের মাথায় ‘প্রকৃতি’, এবং ‘প্রকৃতি’র প্রেম