৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কিংবা তদ্বিষয়িণী কবিতা কিংবা সংহিতাদর্শনাদির অর্থ প্রবেশ করা কিরূপ কষ্টসাধা, স্তত্ব বলিতে হইবে কি ? কিন্তু বিশ্বপ্রকৃতি’, ‘পরমাত্মা’, ‘জীবাত্ম ’ প্রভৃতি কথার এত বিস্তার হইয় পড়িয়াছে যে, তাহার ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করিতে স্বতঃই ইচ্ছা হয়। গ্ৰীক দার্শনিক প্লেটো সৰ্ব্ব প্রথমে প্রতীচ্য জগতে ইহা প্রচার করেন। বুদ্ধদেবের জন্মের শতাধিক বৎসর পরে গ্রীস দেশে প্লেটোর জন্ম হয়। ভারতবর্মীয় দর্শনশাস্ত্র তখন পুরাতন হইয়া গিয়াছে। প্লেটোর পূৰ্ব্বে গ্ৰীসদেশীয় দার্শনিকগণ প্রকৃতির সহিত জীবাত্মা ও পরমাত্মার কোন বিশেষ সম্বন্ধ স্থাপন করিতে যত্নবান হয়েন নাট। প্লেটোর মতে Psyche ( জীবাত্ম ) fastāIt ( world soul ) gās fr o Ffso ( Nature ) মিলনের ফল। উভয়ের ঘাতপ্রতিঘাতে জীবাত্মার উদ্ধে (মুক্ত ও আনন্দময় অবস্থা ) এবং রসাতলে ( বদ্ধ এবং নিরানন্দময় অবস্থা ) ক্রমান্বয়ে গতি হয়। কামনাবজ্জিত হইয়| সেীনার্য্যের উপভোগ ধৰ্ম্মষ্ট্ৰীবনের (spiritual life) equoi? I of: উপাসনার মূল । লক্ষ্য পরমাত্মা । প্লেটে। কিছুই নুতন কহেন নাই উপনিষদোক্ত বুক্ষস্থিত দুইটি পক্ষীর কথা দর্শনের ভাযে প্রকটিত করিয়াছিলেন মাত্র। কিন্তু ইহা দ্রষ্টব্য যে, সখ্য ও প্রেম এবং তজনিত আনন্দের আভাসু প্রতীচ্য দর্শনশাস্ত্রে আমরা প্লেটোর নিকট প্রথমে প্রাপ্ত হই। প্লেটোর প্রেম দার্শনিক প্রেম, তাহার republic ঠিক সাধারণতন্ত্র নহে। প্রেমের রাজা এবং ইক্ষদশী দার্শনিক কৰ্ম্মবীরগণ সেই রাজ্যের প্রেমিক রবি S86. নেতা। এমন কি, সঙ্গীত, চিত্র ও কাব্যেও জ্ঞান ও ভক্তি ছাড়া অন্ত কিছুর লেশ থাকিবে না। ভারতবর্ষেরও তাঁহাই আদর্শ ছিল । তাহার পর সহস্রাধিক বৎসরের মধ্যে আমরা কোন দেশে প্রকৃতি-পুরুষের সম্বন্ধজনিত পরম আনন্দের কথা দর্শনশাস্ত্রে কিংবা কাব্যে দেখিতে পাই না । এই তমিশ্ৰীপূর্ণ মহাযুগ নূতন জাতি-সংগঠনে কাটিয়া গিয়াছিল । খৃঃ পূঃ ৩০ বৎসর কালে গ্রীস দার্শনিক এপিকুরুস আনন্দের চরম উপভোগ সম্বন্ধে একখানি অপূৰ্ব্ব সংহিতার স্বষ্টি করিয়া দর্শনশাস্ত্রের উদ্ধগতি নিবৃত্তি করিয়া দিয়াছিলেন। সেই উপভোগের ইতিহাস মহম্মদীয় ধৰ্ম্মাবলম্বী রাজন্তবর্গের মধ্যে সমধিক ভাবে প্রতিভাত হইয়াছিল। কামিনী কাঞ্চনলাভ এবং ইঞ্জিয়ের উপভোগই তখন Psyche এর আদর্শস্থল । রণ মদির, প্রেমমদির, এবং ‘সিরাজী', কৰ্ম্ম, ভক্তি ও জ্ঞানের তামসিক প্রতিবিম্ব । তদানীন্তন সাহিত্য, কাব্য এবং ইতিহাস তাহতেই পরিপূর্ণ। ভারতবর্ষে তন্ত্রের এবং ভাগবত ধৰ্ম্মের ব্যভিচারও সেই পথের দৃপ্ত। এই বীভৎস দৃষ্ঠের মধ্যে পরাপ্রকৃতি (Holy Spirit ) je ase se zēni প্রতীচ্য জগতে যে অভিনব ধৰ্ম্মের সৃষ্টি করিয়াছিলেন, তাহার ফলে স্পিনোজা, কাণ্ট, ফিক্তে এবং সেলিং। যীশুখৃষ্ট সেই ধৰ্ম্মের প্রবর্তক। কিন্তু পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, সে ধর্শ্বের প্রথম উন্মেযের কালে প্রকৃতি প্রচ্ছন্নভাবে অন্তরালে স্থিত । ঈশ্বর এবং মানব, পাপ এবং পুণ্য, ধৰ্ম্ম এবং অধৰ্ম্ম, কৰ্ম্ম এবং অকৰ্ম্ম
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।