৬ষ্ঠ সংখ্যা | “ধে যে জীর্ণব্যক্তিকে তিনি স্পর্শ করিতেন সেই সেই ব্যক্তি স্বী হইত ও পুনরায় যুব ইষ্টত।” এজষ্ঠ তাহাকে শান্তনু বলিয়া লোকে জানিত। ইহা তাহার শান্তনু ত্বর কারণ। ইহা হইতে সুপ্রকাশ যে, ব্যাপদেল গাথাবলম্বনে শাস্তন্ত্রর চরিত্র লখেন । শাস্তনু- করম্পর্শে যৌবনলাভ, যিশুকর-স্পর্শে ব্যাধির উপশমদির ন্যায়। উহা বিশ্বাস করুন, আর উপহাস করুন, সেই দোষ-গুণ ব্যাসদেব লষ্টতে অনিচ্ছক ব'লয়াই বোধ হয় ঐ প্রবাদ উদ্ধৃত করিয়াছেন। শান্তমুর রাজ্যপালন, সত্যবতীর সহিত পরিণয় এবং সত্যবতীর গর্ভে পুত্রদ্বয়েtৎপাদন সম্পূর্ণ মামুখিক ব্যাপার। গঙ্গার সহিত র্তাহার বিবাহ অলৌকিক বলিয়া সাধারণের প্রতীতি আছে। কিন্তু তাহাও নিপুণ ভাবে দেখিলে অলৌকিক নহে ৷ মহাভারতে শাস্তমুর মৰ্ত্ত্যধামে আগমন-কথা এইরূপ দেওয়া হইয়াছে। একদা রাজর্ষিগণের সহিত মুরগণ ব্রহ্মলোকে গিয়াছিলেন । তন্মধ্যে রাজfধ ইক্ষাকুবংশীয় মহাভিষ ছিলেন। তৎকালে গঙ্গা তথায় আসেন। মারুতহিল্লোলে তাহার বসন 'বিচলিত হইলে দেবগণ অধোবদন হইলেন। কিন্তু মহাভিয় সেই দৃশু সকাম-নয়নে দেখিলেন । পিতামহ মহাভিষের ভোগবাসন বুঝিতে পারিয়া ভোগের জষ্ঠ ষ্ঠাহাকে মৰ্ত্তাধামে যাইতে আদেশ করিলেন। মহাভিধ তখন পৃথিবীতে কাহার, পুত্রত্ব স্বীকার করা উচিত বিচার করিয়া ধাৰ্মিক ক্ষত্ৰকুলাবতংস ভূরিতেজ: প্রতীপকেই পিতৃত্বে বরণ করিলেন । এই সময় প্রতীপও পুত্রার্থী হইয়া কঠোর তপস্তা করিতে মহা ভারতের ঐতিহাসিকতা Ꮼ©Ꮍ ছিলেন । মহাভিয তঁহীর পুত্র শাস্ত নামে অবতীর্ণ হইলেন। শান্তমুর এই পূৰ্ব্বজন্ম কথা বিশ্বাস করুন অীর নাই করুন, তিনি প্রতীপের পুত্ৰ—ইহ। বিশ্বাস করিতে কোন বাধা নাই । গঙ্গাও মহাভিধের প্রতি সকাম হন এবং ঐ সময়েই বন্ধগণকেও ধরণীতে জন্মগ্রহণ করিতে আসিতে হইবে বলিয়া বশিষ্ঠ অভিশাপ দেন। তাহার আসিয়া গঙ্গাকে অনুরোধ করেন যে,র্তfহার পুত্ররূপে জন্মিবেন ও জন্মমাত্র তিনি গঙ্গাজলে র্তাহ দিগকে একে একে ডুবাইয়া শীঘ্র তাহাদিগকে ধরাধাম হইতে বিদায় দিবেন। পরে শাস্তত্ব রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া একদিন গঙ্গাতীরে মৃগয়া নিমিত্ত পর্যটন করিতেছেন, এমন সময় একটা অনবদ্যাঙ্গী মুদতী পয়মা সুন্দরী স্ত্রীকে দেখিতে পাইলেন। রাজা অমনি স্মরণরে বিদ্ধ হইয়৷ র্তাহার ভজনা করিলেন । সেই ললনা বলিলেন ধে, আমি যাহা করিব, তাহাতে যদি আপনি কখন প্রতিবাদ ন করেন এবং আমার ইচ্ছার প্রতিরোধ করিলেই আমি श्रां★नांरक शक्लिग्नl शांझेद ७हे निग्नम शर्मि স্বীকার করেন, তাহা হইলে আমি আপনায় পত্নী হইতে পারি। রাজ। তখন রূপে মুগ্ধ। তাহাতেই স্বীকার। উভয়ের বিবাহ হইল । মহাভারতে আদিপর্বে ৯৮ অধ্যায়ে স্পষ্টই লেখা আছে যে, মামুখীরূপে অা বভূত গঙ্গার সহিত শান্তমুর বিবাহ হয়। দিব্যরূপ হি সা দেবী গঙ্গা ত্রিপথগামিনী । মানুষং বিগ্ৰহং কৃত্বা শ্ৰীমন্তং বরবর্ণিনী ॥ ভাগ্যোপনতকামস্ত ভাৰ্য্যা চোপনতাতৰৎ । শাস্তনোৰূপসিংহস্ত দেবরাজসমস্থাতেঃ ॥ অমুবাদ--সেই ত্রিপথগা গঙ্গাদেবী মামুত্ব
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।