৩৬২ প্রভুত্বের জন্তও তিনি কখনই প্রতিজ্ঞাভঙ্গ করিতে পারিতেন না । তিনি বিমাতাকে বিনীতভাবে জানাইলেন যে,তিনি যে কৌমারব্ৰত গ্রহণ করিয়াছেন, তাহা জীবনের সহিত উদ্যাপন করিবেন, পিতৃরাজ্যও লইবেন না, বিবাহও করিবেন না । সত্যবতী চিন্তাকুল৷ হইয়া তখন স্বামীর বংশরক্ষার জন্ত বিচিত্রবীৰ্য্যের ক্ষেত্রে ভীষ্মকে পুত্র উৎপাদন করিতে বলিলেন। কিন্তু তাহাতে কৌমার ব্ৰত ভঙ্গ হয় বলিয়া ভীষ্ম তাহা করিতে চাহিলেন না । তখন সত্যবর্তী নিরুপায় হইয়া স্বীয় কানীন পুত্র বেদব্যাসকে স্মরণ করিলেন—ভাবিলেন, যে বেদব্যাসও র্তাহার সম্বন্ধে ত বিচিত্রবীৰ্য্যের ভ্রাতা বটে, ভ্রাতার দ্বারা ক্ষেত্ৰজপুত্রোৎপাদন শাস্ত্রসন্মত এবং কালোচিত প্রথার বিরোধী নহে । ব্যাসদেব কুরুবংশ রক্ষা করিতে সন্মত হইয়া অম্বিক ও অম্বালিকাতে যথাক্রমে ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডুর জন্ম দিলেন। ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডু ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ বলিয় রাজ্য পাইলেন না। পাণ্ডু রাজা হইলেন। নিজ ভুজবলে দিগবিজয় করিয়া সম্রাট হইলেন । কখনও বা হস্তিনাপুরে রাজকাৰ্য্যে ব্যাপৃত থাকিয়া, কখনও বা পরিজন-পরিবৃত হইয়f হিমালয়ে মৃগয়ামুখে তিনি দিনযাপন করিতে লাগিলেন। এপর্যন্ত কোন অলৌকিকতা নাই। দুর্ভাগ্যবশতঃ একদিন মৃগয়ায় একটি সঙ্গমরত মৃগকে বিদ্ধ করিলেন । সেই মৃগশাবক মৰ্ম্মাহত হইয়া মনুষ্যস্বরে আর্তনাদ করিয়া আত্মপরিচয় দিলেন যে, তিনি ব্রাহ্মণ,মৃগবেশে পত্নীকে মৃগী সাজাইয়ু বিহারমুখে রত ছিলেন । এই রন্থে তাৰাকে হত্য করায় পাণ্ডুর দোষ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ হইয়াছে, অতএব তিনি রাজীকে অভিসম্পান্ত করিলেন যে, যেমন নৃপতি র্তীহাকে রতিকালে অপুর্ণ কামাবস্থায় হত্যা করিলেন তেমনি रुltभन्न उत्ञ्जक इ३त्ण३ अभूकम श्डेश्। নৃপতিকে ইহুধাম পরিত্যাগ করিতে হইবে। পাণ্ডুর প্রতি শাপ এই শাপেই বিষম গোলযোগ । পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মহানুভৰগণ বলবেন, ইহাও কি সম্ভব, যে মানুষ মৃগের আকার ধরিতে পরে এবং মামুযের কথtয় লোকের ভোগশক্তি যায়। মামুষের মৃগবেশধারণ সম্বন্ধে আমরা বলিতে পার যে, খৃষ্টাবকাশে যখন কুকুটাদির বেশ মানুষ আজও সভ্য পতীচ্যজগতে ধরিতেছে, তখন সকাম প্রাচ্য মুনির মৃগণেশ ধরা এবং দূর হইতে রাজার তাঙ্গকে মৃগ ভ্রম হু ওয়া সম্ভবপর বটে । শাপের শক্তি সম্ব:ন্ধ আমাদের বক্তব্য এই যে, যদি কখনও অদৃষ্টে সিদ্ধ মহাপুরুষের সাক্ষাৎকার ঘটিয়া থাকে তবে ঋষীণাং পুনরাদ্যানাং বাচমর্থোংমুধtধতি ইহার অর্থ হৃদরঙ্গম হইতে পারে। সাধারণতঃ দেখিতে গেলে জীবমাত্রেরই মনস্তাপ দিলে মনস্তাপ পাইতে হয়। মনের সহিত শরীরের এরূপ সম্বন্ধ যে, মনস্তাপে শরীর পর্যন্ত নষ্ট হইতে পারে, ইন্দ্রিয়বিশেষের শক্তিহুদি হওয়া ত সামান্ত। ঐ ব্ৰহ্মহত্যার কথা ভাবিতে ভাবিতে ঘনবিষাদ-মেঘ পাণ্ডুর হৃদয়াকাশ ঘেরিয়া ফেলিল । তিনি সংসারে বীতস্পৃহ হইয়া রাজাভরণ উন্মোচন পূৰ্ব্বক রাজপরিজনবর্গকে বিদায় দিলেন । তাহার অশ্রুপূর্ণ নয়নে হস্তিনাপুয়ে চলিয়া গেলেন। কুন্তী ও মাদ্রী তাছাকে কিছুতেই ছাড়িগেন আর
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।