পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] কৃষ্ট করিয়াছেন, তিনি তাঁহাদের প্রেমামুলগে দোষারোপ করেন নাই ; ঘটনাক্রমে অবস্থাগতিকে, মামুধের বাহা হইয়া থাকে, সহাই তাহাঁদের ঘটিয়াছিল ; তাহারা মানুষ, মনুষ্যস্বভাবের অতীত ইষ্টতে পারেন নাই ; আর হৃদয়বৃত্তির স্বাভাবিক প্রসারণ র্তাহদিগকে না দেখাইলেও, তাহীদের স্বভাবসৌন্দর্য্য রক্ষিত হইত না । কিন্তু তিনি বুলিতেছেন, “নগেন্দ্র, তোমার ন্যায় মহাপুরুষও, তোমার ন্যায় সুশিক্ষিত ব্যক্তিও যদি সাধারণ মামুষের মত অবস্থা প্রভাবে পরাভূত হইল, তবে তোমার বিশেষত্ব, তোমার শিক্ষার গৌরব রহিল কোথায় ? মানুষ মাত্রেই স্বভাবতঃ দুৰ্ব্বল হইলেও, শিক্ষা 8 अउIांम छाँग्न भांशूस म११भो श्रउ ममर्श হয়। তোমা হইতে আশা করিয়াছিলাম, বিশেষতঃ তোমার যখন স্বৰ্য্যমুখী ঘরে ছিল, তথন তোমার পক্ষে ইহা সম্ভবপর মনে করিয়াছিলাম যে, তুমি চিত্তসংযমে অসাধারণ শক্তি প্রদর্শন করিবে। তাহা তুমি পারিলে না, তাহাঁতেই তোমার পক্ষে বিধবৃক্ষের স্বজন হইল। তোমার অদৃষ্টে বে মামান্য একরূপ লোকাতীত, অতিপবিত্র, অতিবিগুদ্ধ, অতিরমণীয় দুলভ দাম্পত্যমুখ বটুয়াছিল, তাহা তুমি অবিচ্ছিন্ন রাখিতে পারিলে ন, কেবল ইহাই তোমার ক্ষতি মহে, তুমি দেবতা হইবার যোগ্য হইয়াও, মামুষের নিম্নতলে রহিয়া গেলে, তাহাই আমার ইথ।”-“আর ভুমি কুন্দনলিনী, তুমি স্বৰ্গীয়, পবিত্র বিশুদ্ধ সৃষ্টি, তুমি তোমার সেই স্বৰ্গীর প্রকৃতির অনুসরণ করিয়া, অন্তের অমঙ্গল উtংনাস্থলে, অন্তের মুখের বিঘ্নপরিহার জন্ত, নগেন্দ্রনাথ ৩৬৫ তোমার আত্মত্যাগের, আত্মনিগ্রহের প্রকৃতি অক্ষুণ্ণ রাখিতে পারিলে না, জ্যোতিৰ্ম্ময় লোকের অধিবাসী হইয়াও তোমার মানবজন্মে তোমার মানবীত্বের প্রমাণ প্রদান করিলে।” এই অত্যুচ্চ স্বৰ্গীয় তুলাদণ্ডে মাপিলেই কেবল কুন-নগেন্দ্রের অভাব বুঝতে পারা যায় ; এবং কবি র্তাহার শিক্ষা মানুষের পক্ষে অধিকতর ফলপ্রদ করিবার জন্য ইহাদিগকে এই অভাব দিয়া স্বজন করিয়াছেন ; মামুষকে বলিতেছেন, “শিক্ষা ও অভ্যাস দ্বারা এই অভাব পুরণ করিয়া দেবত্ব লাভের চেষ্টা কর”, অমুকরণীয়েয় অনুকরণে কেবল সস্তুষ্ট ন হইয়া, অনুকরণীয়কে অতিক্রম করিতে উৎসাহিত করিতেছেন, এবং অশেষগুণসম্পন্ন হইয়াও সৰ্ব্বত্র, সৰ্ব্বাবস্থায় উচ্চ নীতি সংরক্ষণে অসমর্থ হইলে যে বিষময় ফলের উৎপত্তি হয়, কুন্দ-নগেন্ত্রের জীবনে তাই প্রতিফলিত করিয়া, সে উৎসাহের ঘটনাগত সমর্থন সংযোজিত করিয়াছেন। উচ্চ নীতিরক্ষণে অসমর্থতার জন্ত কুন-নগেন্দ্রের প্রায়শ্চিত্ত কবি কম করিয়া আঁকেন নাই। কুনা জীবনেও যারপরনাই মনোদুঃখ ভোগ করিয়াছিল, পরে জীবন দিয়া প্রায়শ্চিত্ত শেষ নগেন্দ্রনাথই কি কম কষ্ট পাইয়াছেন ? প্রবৃত্তির সহিত সংগ্রামেও তাহাকে ক্ষতবিক্ষত হইতে হইয়াছে । তৎপরে সকল মুখের সামগ্রী, সকল আরামের উপকরণ পরিত্যাগ করিয়া অশেষ ক্লেশপরম্পরায় জীবন শেষ করির, স্বৰ্য্যমুখীর প্রতি র্তাহার অন্তায়াচরণের প্রায়শ্চিত্ত করিতে উদ্যত হইয়াছিলেন, এবং কতক পরিমাণে কষ্টভোগও করিয়াছিলেন । তবে তাহার পাপ তত অধিক