سوانا (ف আমর, অামাদের সংকীর্ণ সংস্কারবশতঃ যে সকল বস্তুকে মামুষের খাদ্য বলিয়া কল্পনাও করিতে পারি না, এমনও কোনও কোনও দ্রব্য ইংরেজ অতি আগ্ৰছ সহকারে থাইয়। থাকেন, এ কথাটাও অস্বীকার করিতে পারি না। সে কথা পরে বলিব । माँछ्-प्रॉ१ण যুরোপীয়ের প্রধান খাদ্য মাংস—এ কথাটা পূর্বেই বলিয়াছি। আমাদের যেমন ভাত, ইংরেজ প্রভৃতি যুরোপীয় জাতির লোকের সেইরূপ মাংসই প্রধান খাদ্য। ইহাই उiझांtनद्र सौरनक्षtब्रt१ब्र थशांन श्रवण१न । আর মাংসের মধ্যে গোমাংসই প্রধান । তবে মেঘের মাংসও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ছাগমাংসের সন্ধান সে দেশে কখনও পাই নাই। মৃগমাংস কখনও কখনও বাজারে উঠে। এ ছাড়া হাগ, পায়র, মুরগী প্রভৃতি গৃহপালিত পাণী এবং কেজেণ্ট, বালিহঁাস, পারটীজ, প্রভৃতি বনচর পাৰীও সৰ্ব্বদাই মিলে। পাখীর মাংসের দাম বেশী। আর আমাদের পক্ষে বিলাতী পার্থীর মাংস খাওয়া সময়ে সময়ে অত্যন্ত কষ্টকর হইয়৷ ੇ | - ইহার কারণ এই যে, নিতান্ত পল্লীগ্রামে মা গেলে, সে দেশে টাটুক। পার্থীর মাংস পাওয়া যায় না। পার্থীগুলোকে মারিয়া, ছাল ছাড়াইয়া, নাড়ীভূড়ি বাছির করিয়া, প্রথমে কিছুদিন গুদামজাত করিরা রাখা হয়, এরূপ শুনিয়াছি । তার পর যখন এগুলি সম্বরে আসে, তখনও মাংসবিক্রেতার দোকানের জানালীয় কত দিন যে ঝুলয় থাকে, তাও ঠিক করা সৰ্ব্বদা সহজ হয় না। বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ শীতপ্রধান দেশে কোনও বস্তুই সহজে পচিয়৷ উঠে না। স্বতরাং এগুলো অনেকদিন এই ভাবে থাকিলেও, একেবারে অখাদ্য হইয়৷ যায় না । কিন্তু কেমন একটা ভেপষে গন্ধ জন্মিয় থাকে অনেক মস্লাতেও এই গন্ধটাকে ঢাকা কঠিন হইয়া পড়ে। এইজন্ত অন্ততঃ আমাদের বর্বর রসনায় বিলাতী পার্থীর মাংস সহজে রোচে না । কিন্তু কেবল পাখীর মাংস কেন, বিলাতে প্রায় কোনও মাংসই টাটকা পাওয়া যায় না। তবে পার্থীর মাংসে যে গন্ধটা পাইয়াছি, অগু মাংসে সে গন্ধ পাওয়া যায় না । কিন্তু মাংস সবই সেখানে বাসি। ইংরেজ যতই কেন আপনার স্বাধীনতার স্পৰ্দ্ধ করুন না, ফলতঃ তার মত এমন পরমুখাপেক্ষী লোক জগতে অতি বিরল । প্রতিদিনের অtহারের জন্য ইংরেজকে বিদেশের মুখাপেক্ষী হইয় থাকিতে হয়। যে মাংস না হইলে ইংরেজের দিন চলে না, সে মাংস জৰ্ম্মণী, ফরাসীস, হল্যাও, মার্কিণ প্রভৃতি স্থান হইতে বিলাতে আমদানী হয় । বিলাতে গো-মেঘাদি যে একেবারে নাই, তাহা নয়। কিন্তু স্বদেশী श्रृंङ्ग, भूकम्र, cमय 2ङ्गठि श्रृं७ब्र गोभ cन५प्न বিদেশী পশুর দাম অপেক্ষ বেণী । সুতরাং গরিব লোকের তে কথাই নাই, অনেক মধ্যবিত্ত লোকেও দিশি গো-শূকরাদির মাংস সৰ্ব্বদা থাইতে পান না । দেশের অধিVাংশ লোকেই আমদানী মাংস খাইয়া জীবনধারণ করেন । আর আমদানী মাংসের মধ্যে অষ্ট্রেলিয়া হইতে যে মাংস যায়, তাহাই লোকে বেশী পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞ না হইলে সকল সময়ে বিলাতী গো-মেঘাদির
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।