পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] করা যায় না। আর শাস্ত্রগুরু বর্জন করিয়া oদ্ধ যুক্তি মার্গ অবলম্বন করিলে এই তথাকথিত আত্মপ্রত্যয় বা স্বাস্ত্রভূতিই সত্যের ও প্রামীণ্যের একমাত্র আশ্রয় হইয়া দাড়ায় । সংধিও এই স্বানুভূতিকে অবলম্বন করিয়া, ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে পুনরায় জাগাইয়া তুলেন । এদেশে তখন এরূপভাবে লোকের স্বামুভূতিকে জাগাইয়া তোলা অত্যন্ত আবশ্বক ছিল। কেবল শাস্ত্রাবলম্বনে ধৰ্ম্মসাধন করিবে না, শাস্ত্রযুক্তি মিলাইয়া ধৰ্ম্ম প্রতিষ্ঠা করিবে,— লোকে এই প্রাচীন ও সমীচিন উপদেশ তথন একেবারেই ভুলিয়া গিয়াছিল। শাস্ত্রজ্ঞানও একরূপ লোপ পাইয়াছিল। তাহা ন হইলে মহর্ষি যেভাবে চারিজন ব্রাহ্মণকে কাশীতে বেদ পড়িবার জন্ত পাঠাইয়া, তাহাদের সাক্ষ্যে বেদের প্রামাণ্য-মৰ্য্যাদা নষ্ট করেন, তাহ মাধে সম্ভব হইত না । ইহার কেবল ব্যাকরণের সাহায্যে বেদার্থ নির্ণয় করিতে গিয়াছিলেন, প্রাচীন মীমাংসার পথ অবলম্বন করেন নাই। রাজা এই মীমাংসার পথ ধরিয়া শাস্ত্রার্থ নিৰ্দ্ধারণ করিতে চেষ্টা कब्रिब्राझ्णिन दगिब्रl, भशवंद्र छांब ॐांशप्त ভ্রান্ত বলিয়ু প্রাচীন শ্রতিপ্রামাণ্য পরিত্যাগ করিতে;হয় নাই। প্রাকৃত জনে যে চক্ষে বেদকে দেখে, লোকসংগ্রহার্থে পণ্ডিতেরাও যে ভাৰে,বেদের অতিপ্রাকৃত মৰ্য্যাদা প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা করেন,—ভারতের প্রাচীন মীমাংসকগণ সেন্ধপ করেন নাই। রাজা এ সকল কথা জানিতেন । সুতরাং তাহাকে মহর্ষির ন্যায় শাস্ত্র প্রামাণ্য বর্জন করিতে হয় নাই। কিন্তু তখনও এ সকল প্রাচীন সিদ্ধাস্তের পুনরুদ্ধারের ও পুনঃ প্রতিষ্ঠার সময় হয় নাই । চরিত-চিত্র Sル"> দেশের লোক তখনও এ সমীচিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার অধিকারী হয় নাই । সে সময়ে এ সকল সিদ্ধান্তের কথা বলিলেও, লোকে ভাল করিয়া তাই বুঝিত না, অথচ ন৷ বুঝিয়াও তাঁহারই মধ্যে নিজেদের নিশ্চেষ্টতা ও তামসিকতার সমর্থন করিবার যুক্তাভাস পাইয়া,সেই নির্জীব অবস্থাতেই পড়িয়া থাকিত । তখনকার প্রধান কৰ্ম্ম ছিল, সত্য প্রতিষ্ঠা করা নয়, কিন্তু সংস্কার নাশ করা। সাধুমীমাংসা মাত্রেই সম্যগদশী। আর সম্যগ দর্শন নিম্নাধিকারী লোকের পক্ষে কৰ্ম্ম চেষ্টার ও আত্মপ্রতিষ্ঠার একান্ত অন্তরীয় श्ब्रां ५ों८क । cय 'cनॅी”4ब्ल डिङद्र भि ब्र! রজোগুণ বৰ্দ্ধিত হইয়া প্রবল তমোগুণকে অভিভূত করিয়া থাকে, অসময়ে সম্যগদূষ্টি লাভ করিলে সে ‘গে’ জন্মাইতে পারে না ; সুতরাং তামসিকতাও নষ্ট হয় না। আধুনিক ভারতের নূতন সাধনার প্রয়োজনেই রাজার তত্ত্ব-সিদ্ধাস্তে যে সমাগদর্শনের পরিচয় পাই, মহর্ষির প্রথম জীবনের ধৰ্ম্মমীমাংসায় সে সম্যগাষ্টি ফুটিয় উঠে নাই ; উঠিলে তাহার দ্বারা বিধাতা যে কাজ করাইয়াছেন, তাহার গুরুতর ব্যাঘাত উৎপন্ন হইত। tणtबडग्ननां५ ७ ८क*राफ़ल রাজ রামমোহন প্রচলিত ক্রিয়াকাণ্ডের প্রতিবাদ করিয়াও, প্রকৃতপক্ষে একটা নুতন ধৰ্ম্মেয় বা সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠা করিতে যান নাই । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথই “ব্রহ্মসভার” ভজন-সাধনকে একটা স্বতন্ত্র ধৰ্ম্মরূপে গড়িতে আয়ম্ভ করেন । কিন্তু দেবেন্দ্রনাথের কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজে এই নূতন ধৰ্ম্মের স্বাতন্ত্র্য ও সাম্প্রদায়িক লক্ষণ যতটা পরিস্ফুট