را برای দেবেন্দ্রনাথ গ্রিন্স, দ্বারকানাথের পুত্র। পিতৃবিয়োগের পরে কিছুকাল দেবেন্ত্রনাথ অপেক্ষাকৃত দারিদ্র্যের ভিতরে পড়িয়াছিলেন সভ্য ; কিন্তু তাহার সংযম ও সততাগুণে কালক্রমে পৈতৃক জমিদারী ঋণমুক্ত হইলে তিনি পুনরায় কলিকাতার ধনসমাজের অগ্রণীদলভুক্ত হইয় উঠেন এবং তখন হইতে তাহার অর্থেই ব্রাহ্মসমাজের যাবতীয় ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইতে আরম্ভ করে । তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাই সে সময়ে ব্রাহ্মসমাজের একমাত্র মুখপত্র ছিল। তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সাহায্যেই ব্রাহ্মসমাজের তদানীন্তন মত ও पञांग्रं★ ७ीरमt*ग्न *िक्रिड नटjण|८ग्रन्न प्ररथा প্রচারিত হয়। বাংলা সাহিত্যের এবং আধুনিক বাঙালী সমাজের সাধনার ইতিহাসে তত্ত্ববোধিনী অক্ষয়কীৰ্ত্তি অর্জন করিয়াছেন। এই তত্ত্ববোধিনী মহর্ষির অর্থেই স্থাপিত ও পরিপুষ্ট হয়। তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদকগণ, ব্রাহ্মসমাজের উপাচার্য্য ও কৰ্ম্মচারিগণ সকলেই তখন মহর্ষির অর্থামুকুল্যে ব্রাহ্মসমাজের বেতনভোগী বা বৃত্তিভোগী হইয়াছিলেন। আর এই ধনবল না থাকিলে, শুদ্ধ আপনার চরিত্রের বা সাধনার বলে সে সময়ে মহর্ষি কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজকে এতটা বাড়াইয়া তুলিভে পারিতেন না। আর ব্রাহ্মসমাজে কালক্রমে মহৰ্ষির যে একতন্ত্র প্রভুত্বের প্রতিষ্ঠা হয়, র্তাহার অর্থবলই ইহারও একটা প্রধান কারণ ছিল সন্দেহ নাই । কেশবচন্দ্র মহর্ষির মত ধনী ছিলেন না বটে ; কিন্তু রামকমল সেনের পৌত্র বলিয়া কলিকাতা-সমাজে তাহারও একটা বিশেষ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ আভিজাত্যমর্যাদা ছিল। ফলতঃ সামাজিক হিসাবে, কলুটোলার সেনের, বৈদ্য হইয়াও, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরদিগের অপেক্ষ কোন অংশে হীন ছিলেন না। অন্ত দিকে ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিতে না করিতেই, কেশবচন্দ্রের দৈবীশক্তিশালিনী বাগীপ্রতিভা দেশের উৰ্দ্ধন্তন ইংরাজ রাজপুরুষদিগের শুভদৃষ্টি লাভ করে। এখন যেমন, সেকালেও সেইরূপষ্ট, ইংরেজ রাজপুরুষগণ র্যাহাদিগকে বাড়াইয়। তুলিতেন, স্বদেশী সমাজেও, আপন হইতেই, তাহাদের প্রভাব বাড়িয়া যাইত। এই সকল বাহ যোগাযোগ কেশবচন্দ্রের অলোকসামান্ত প্রতিভাও এত সহজে ও এত অল্পকাল মধ্যে দেশের শিক্ষিত সমাজে এমন অনঙ্গ-প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপত্তি লাভ করিতে পারিত না । পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর কেবল যে মহর্ষির সাধননিষ্ঠ বা কেশবচন্দ্রের দৈবীপ্রতিভাই নাই তাহা নহে। যে সকল বাহঘটন ও অবস্থার যোগাযোগের সাহায্যে মহর্ষি এবং কেশবচন্দ্র আপনাদিগের কৰ্ম্মজীবনকে গড়িয়া তুলেন, শিবনাথ শাস্ত্রীর ভাগ্যে সেইরূপ কোনো যোগাযোগও ঘটে নাই। শিবনাথ" দরিদ্রের সন্তান। একরূপ পরান্নে প্রতিপালিত হইয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষালাভ করেন। মহর্ষির ধন, কেশবচন্দ্রের বংশমর্যাদা —এ সকলের কিছুই তার ছিল না। " আর এ সকল ছিল না বলিয়াই ব্রাহ্মসমাজের বিকাশ সাধনে মহর্ষি এবং কেশবচন্দ্র যে কাজটা করিতে পারেন নাই, শিবনাথ শাস্ত্রা उॉश रुब्रिग्नttछ्न । ইংরেজি শিক্ষা, ইংরেজের শাসন, আধুনিক ব্যতীত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।