পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○bゲ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ conformist Consciences: tafso প্রভাবই বিদ্যমান ছিল । এই Nonconformist Conscience to অস্তৃত বস্তু। আপনার ব্যক্তিগত স্বত্বস্বর্থের প্রতিষ্ঠায় ইঙ্গ সৰ্ব্বদাই অত্যুদার হইয় উঠে। কিন্তু অপরের ব্যক্তিগত স্বত্বস্বার্থের সঙ্গে বিরোধ উপস্থিত হইলে, এই বস্তুই অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ও অনুদার হইয়া পড়ে। ইহা ধৰ্ম্মের ও সত্যের দোহাই দিয়া একদিকে আপনাকে অপরের আনুগত্য হইতে মুক্ত করিতে চাহে । অন্যদিকে আপনার মতামতকে অপরের উপরে চাপাইয়া তাহাদের মুক্তিবিধানের জন্তই তাহীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাঁকে হরণও করে। এই wa, o Non-conformist Conscience যুগপৎ উদার ও রক্ষণশীল হয়। কেশবচন্দ্রের রক্ষণশীলতা এই ধান্তেরই ছিল। মহর্ষি এবং কেশবচন্দ্র উভয়েই অষ্টাদশ-ও-উনবিংশ-পৃষ্ট শতাব্দীর যুরোপীয় যুক্তিবাদের প্রভাবে ধৰ্ম্মংস্কার কার্য্যে ব্ৰতী হন । কিন্তু মহর্ষির ভিতরকার ভাব ও আদর্শ সৰ্ব্বদাই হিন্দু ছিল। কেশবচন্দ্রের ভিতরকার ভাব, বিশেষতঃ প্রথমজীবনে, বহুল পরিমাণে পিউfaÊita ĝsta (Puritran Christian ) আদর্শের দ্বারা অভিভূত হইয়াছিল। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজকেও তিনি এইভাবেই গড়িয়া তুলিভে চেষ্টা করিয়াছিলেন। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর মধ্যে এক সময়ে মহৰ্ষিয় হিন্দুভাবাপন্ন কিংবা কেশবচন্দ্রের পিউরিট্যানভাবাপন্ন রক্ষণশীলতা একেবারেই ছিল না বলিলেও চলে । খৃষ্টীয় জগতে পিউরিটানগণ সংসারের সর্ববিধ সম্বন্ধে একটা তীব্ৰ পবিত্রতার আদর্শের অনুসরণ করেন। কেশবচন্দ্রও ধেীবনাবটি এই আদর্শের অনুসরণ করিয়া চলিয়াছিলেন। আমাদের প্রাচীন ধৰ্ম্মে ও সাধনায় যাহরে শুদ্ধত বলে, এই খৃষ্টীয়ানী পবিত্রতা ঠিক সে বস্তু নর। আমাদের দেহশুদ্ধি বা ভুঞ্জ শুদ্ধি এবং চিত্তশুদ্ধির কথা আধুনিক খৃষ্ঠা সাধনায় পাওয়া যায় না । কেশবচন্দ্র যে পবিত্রত প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্ত বাস্ত ছিলেন, তাহ। ইংরেজি পিউরিটি, সংস্কৃন্ত শুদ্ধত্ত নহে । এই পিউরিটি রক্ষা করিলা আতাস্তিক আগ্ৰহ হইতেই কেশবচন্ত্রের রক্ষণশীলতার উৎপত্তি হয়। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনে ও চরিত্রে অতি কঠোর ংযমের পরিচয় পাওয়া গিয়াছে সত্য, কিন্তু র্তার অন্তঃপ্রকৃতির মধ্যে মহৰ্ষির স্বাভাবিক সমাজামুগত্য কিংবা কেশবচন্দ্রের পিউরিট প্রবণতা কখনই ছিল না । দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্র উভয়ের মধ্যেই একটা অতি প্রবল প্রকৃতিগত আস্তিক্য-বুদ্ধিও ছিল। আর নিজেদের প্রকৃতির এই আভ্যন্তী ধৰ্ম্ম-প্রবণতার বা বিশ্বাস-প্রবণতার গুণেই যুরোপীয় যুক্তিবাদ আশ্রয় করিয়ীও ইহার ংশয়বাদী হইয় উঠেন নাই । ইহুদিগের অটল ঈশ্বর-বিশ্বাস আপন অপেন প্রকৃতির অন্তঃস্থল হইতেই ফুটিয়া উঠিয়াছিল, যুক্তি তর্কের দ্বার স্থাপিত হয় নাই। ফলতঃ এই প্রকৃতিগত ঈশ্বর-বিশ্বাসকেই মঠধি আত্মপ্রত্যয় বলিয়াছেন। আপনার ধৰ্ম্মসিদ্ধান্তে কেশবচন্দ্র এই প্রকৃতিগত আস্তিক্য-বুদ্ধিকেই অষ্টাদশ-ও উনবিংশ-খুঃ-শতাব্দীর খৃষ্টীয়ান দর্শনের পরিভাষায় ইনটুইসন ( intution) নামে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন। মহৰ্ষির অ"ি