❖ዋw) প্রথমে মহর্ষি এবং তারপরে কেশবচন্দ্রও আপনার প্রথম ধেীবনে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ও ব্রাহ্ম - সমাজকে যে পথে পরিচালিত করেন, ত{হাতে এরূপ বিরোধ একরূপ অনিবার্য হইরা উঠে। মহৰ্ষির সময় হইতে ব্রাহ্মসমাজ অষ্টাদশ ও উনবিংশ খৃষ্ট শতাব্দীর যুরোপীয় যুক্তিবাদের উপরেই গড়িয় উঠে। আর বস্তুতঃ সেই জন্তই কেশবচন্দ্রকে শেষজীবনে “নববিধানের” প্রতিষ্ঠা করতে হয়। কারণ এই যুক্তিবাদ ৰ| Rationalism, প্রাকৃত বুদ্ধির প্রেরণায়, লৌকিক ন্যায়ের প্রত্যক্ষ ও অনুমান এই প্রমাণদ্বয়কে আশ্রর করিয়া যে পরমতত্বের প্রতিষ্ঠা করে, তাহাকে স্বচ্ছনে ইংরাজিতে Deism বলা যাইতে পারে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে Theism qe qfą for RÍ HÚFf5 1 Deism আর Theism এ পার্থক্য এই যে, একেতে ঈশ্বরতত্ত্বকে বিশ্ব-শক্তি বা বিশ্ববিধানরূপে এবং অপরে শক্তিমান পরমপুরুষ বা বিশ্ববিধাতা ভগবান রূপে প্রতিষ্ঠিত করে । শিবনাথ বাবুর কথায়, Deism এর ঈশ্বর শক্তি, Theism এর ঈশ্বর ব্যক্তি। আর প্রকৃতপক্ষে যুরোপীয় যুক্তিবাদ ঈশ্বরকে শক্তিরূপেই প্রতিষ্ঠিত করে. ব্যক্তি বা বিধাতারূপে প্রক্তি ষ্ঠিত করিতে পারে না । মছর্ষির ঈশ্বর কেবল শক্তি মাত্র ছিলেন না, সত্য। কিন্তু মহর্বির ঈশ্বরানুভূতি প্রকৃতপক্ষে তার ব্রহ্মতত্ত্বের উপরে গড়িয় উঠে নাই । ইহা তার ভাবাঙ্গ-সাধনেরই ফল। এই ভাবাঙ্গসাধনে মহর্ষি হাফেজ প্রভৃতি মোহম্মদীয় ভক্তগণেরই পন্থী অবলম্বন করিয়াছিলেন, লৌকিক দ্যায়ও যুরোপীয়-যুক্তিবাদ-প্রতিষ্ঠিত মামুলী ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পন্থীর অনুসরণ করেন নাই। এই বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ গভীর ভাবাঙ্গসাধনের গুণেই মহর্ষির ব্রাহ্ম ধৰ্ম্ম Deism হয় মাই, কিন্তু অতি উচ্চদরের Theismātost šlā stāta s sfets ফুটিয়া উঠিয়াছিল। কেশবচন্ত্রের ঈশ্বরও শক্তিমাত্র ছিলেন না । কারণ কেশবচন্ত্রের প্রখর সংজ্ঞানের বা conscienceএর প্রেরণায় প্রথম হইতেই তার ঈশ্বরতত্ত্বে একটা উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠা হয়। মহর্ষি ভ:বাঙ্গসাধনের ভিতর দিয়া, মোহম্মদীয় ভক্তগণের দৃষ্টান্ত ও অভিজ্ঞতার সাহাধ্যে, তাহার নিজের জীবনের প্রত্যক্ষ ঈশ্বরতত্ত্বের প্রতিষ্ঠা করেন। কেশবচন্দ্র প্রথম যৌবনে, তার “Ré: "it"-Cotto at Ethical Consciousnessga fs sa fwal, #iata nt**. গণের দৃষ্টান্তে, ও শিক্ষায় আপনার প্রত্যক্ষ ঈশ্বরতত্বের প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রাহ্মসমাজে ইহারা উভয়েই যে তত্ত্ব-সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করেন, তাহার উপরে Deism এরই প্রতিষ্ঠা হর ; Theism এর প্রতিষ্ঠা হয় না। কিন্তু এ সত্ত্বেও মহৰ্ষির এবং কেশবচন্দ্রের নিজেদের প্রত্যক্ষ ঈশ্বরতত্ত্ব যে Theism হইয় উঠে, ইহঁদের প্রকৃতির ও সাধনার বিশেষ্ণু ইহার প্রধান ও একমাত্র কারণ। ফলতঃ শুদ্ধ যুক্তিবাদের উপরে কোনও প্রকারের গভীর ধৰ্ম্মতত্ত্ব ও ধৰ্ম্মসাধনকে গড়িয়া তুলা যে অসম্ভব, মহর্ষি এবং কেশধ कठ उडरग्रई हेश ऊरम অনুভব করিয়াছিলেন। এইজন্ত ইহারা জীবনের শেখ পর্যন্ত এই যুক্তিবাদকে "ধরিরা থাকিতে পারেন নাই। ঈশ্বরামু প্রাণিত হইয়া সাধক অনুকূল অবস্থাধীনে সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করিরা থাকেন এবং ধৰ্ম্মবস্তু প্রকৃতপক্ষে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।