পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oや জগন্নাথের জগতে এ সকল ভেদ-বিরোধের স্থান হয় না। তিনি সকলের নাথ, তার নিকটে সকলেই সমান, সকলের সঙ্গে তার একই সম্বন্ধ, সুতরাং কেহ অfর কাছাকেও হীন বা হেল্প ভাবিতে পারে না । খৃষ্টীয় সাধন ঈশ্বরকে পিত৷ বলিয়া, মানবসমাজে যে সাম্যের প্রতিষ্ঠা করিতে চেষ্টা করিয়াছে, হিন্দু ভগবানকে শ্ৰীজগন্নাথ বলিয়, এই পুণ্যতীর্থ শ্ৰীক্ষেত্রে তদপেক্ষা গভীরতর, উন্নততর, উদারভর, বিশালতর, সাম্য সাধনেয় আয়োজন করিয়াছেন । এইজন্তই শ্ৰীক্ষেত্রে জাতি-বর্ণের কোনও বিচার নাই। শ্রীজগন্নাথের মন্দিরে ব্রাহ্মণ চওীল সকলেরই প্রবেশাধিকার আছে । আর জগন্নাথের মহাপ্রসাদ ব্রাহ্মণ চণ্ডাল সকলে মিলিয়া কীড়াকড়ি করিয়া একে অন্তের হাত ও মুখ হইতে লইয়ু অবাধে গ্রহণ করিতে পারে । জগন্নাথের ভোগের প্রসাদী অল্প ব্যঞ্জন যেখানে বিক্ৰী হয়,সে স্থানকে"আনন্দবাজার” কহে । এই “ আনন্দ-বাজারে’ ব্ৰাক্ষ্মণের সকল প্রকারের কুণ্ঠ পরিহার করিয়া, সমাজে যাহাদিগকে নীচ, অস্ত্যজজাতি বলেন, তাহীদের হাত হইতেই এ সকল অল্পব্যঞ্জন কিনিয়া অtহার করেন । ৮ এ বাজারে জাতিবর্ণের বিচারের গন্ধও নাই। এমন কি, এখানে উচ্ছিষ্ট-বিচার পর্য্যন্ত নাই। একজন যে হাড়ী হইতেই নিজের হাতে ব্যঞ্জনাদি তুলিয়, তাছ চাকিয় অবশিষ্ট তাগ আবার সেই হাড়ীতেই ফেলিয়া যাইতেছে, অপরে, ভিন্ন ও উচ্চ বর্ণের লোক হইরাও, আবার সেই হাড়ী হইতেই সেই উচ্ছিষ্ট ভক্ষ্য গ্রহণ করির স্বচ্ছদে চাকিয়া দেখিতেছেন । হিন্দুর সমাজে, হিন্দুর সাধনায়, হিন্দুর চক্ষে যাহ। অকথ্য অনাচার, এই “আনন্দ বাজারে”, তাছাই সদাচার বলিয়া পরিগণিত। এ কেবল জগন্নাথেরই মহিমা ! জগন্নাথের শ্ৰীমন্দিরের প্রাঙ্গণের এই প্রিন্টার-হীৰোগেশচত্র অধিকারী, মেটুকাফ, প্রেস, ৭৬ নং বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, আশ্বিন, ১৩১৯ বাজারকে কে কবে , আনন্দবাজার বলিয়া ডাকিয়াছিল, জানি না । এ স্থানকে আনন. বাজার ধে কেন বলা হইয়াছে, ইহা অনুমান করা একান্ত কঠিন কথা নহে। হিন্দুসমাজে যে জাতিবর্ণের ভেদাভেদ প্রতিষ্ঠিত হইয়াচে, তাহা যে বস্তুতঃ মানুষের পরস্পরের সঙ্গে সহজ সথ্যের লম্বন্ধের আনন্দের স্বল্পবিস্তর ব্যাঘাত জন্মাইয়া থাকে, ইহা অনুভব করিয়া, এখানে ७ नकल ८ङनांcउन नाई बलिब्रां ॐ cरुन, জগন্নাথের কোন ও বিশ্ব েপ্রমিক ভক্ত শ্ৰীক্ষেত্রের এই বাজারকে আনন্দবাজার নাম দিয়াছিলেন বলিয়। মনে হয়। এ বাজার সহজ মামুষের সহজ প্রেমের বাজার । এ প্রেমের ংস্পশগ্রাভ যে করে নাই, তার এ পুণ্যতীর্থে যাইবার অধিকার আছে কি ? এইজন্য বস্তুতঃ মনে হয়, ঐক্ষেত্রে ধাইবার অধিকারী সকলে নয় । যে ব্রাহ্মণ অভিজাত্যের অভিমান এখনও প্রাণে প্রাণে পোষণ করিতেছেন, তার শ্রীজগন্নাথক্ষেত্রে যা ওয়া বিড়ম্বন মাত্র। যে চণ্ডাল আপনার জাতিবর্ণগত হীনতার ভারে পীড়িত ও সেই হীনতাবোধে সৰ্ব্বদাই যার আত্মাভিমানে আঘাত লাগিয়া থাকে, তারও এখানে ষাইবার প্রকৃত অধিকার নাই । ভগবৎ, কৃপায়, ইষ্টনাম জপ করিতে করিতে ঘার সৰ্ব্বজীবে হয়, ॐऋख्ttसांप्रम्ल, চিদানন্দ জেগে উঠে সেই জগন্নাথক্ষেত্রে বাইবার প্রকৃত অধিকারী । সেই শ্রীমন্দিরের এই *আননবাজারের” প্রকৃত মৰ্ম্ম বুঝিয়া থাকে। আর এইজন্সই সকল সম্প্রদায়ের হিন্দুসাধকের, জীবনের শেষ দশায়, সাধনার চরমীবস্থায়, সৰ্ব্বপ্রকার দ্বন্বাতীত হইয়া, জীবন্মুক্তিলাভ করিয়া বা লাত করিবার প্রকালে এই পুরাধামে "আসিয়া, হিন্দুর সনাতন ধর্মের শ্ৰেষ্ঠতম আদর্শকে লোকচক্ষে ফুটাইয়া তুলিতে ८5टे क८ब्रन । हेशहे टैौtऋtबव्र शिt*ष६ ।। এখানেই এই পুণ্যতীর্ষের ಕ್ಹ್ಲಿ༔ ཨཱ།རྩྭ་ཨཱ། ། 、どイ°リエ Εμπütü 霹