পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ծՀ সকল দেবদেবীকে আশ্রয় করিয়াই শৈশবে আমার অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসের যথেষ্ট অনুশীলন হইয়াছিল ইহা অল্প সৌভাগ্যের কথা নহে। কারণ সে বয়সে, নিরাকার, চৈতন্যস্বরূপ-ঈশ্বরতত্ত্বের উপদেশ গ্রহণ করিবার শক্তি তো ছিল না । সেরূপ উপদেশ পাইলে, হয় সেই নিরাকারতত্ত্বকেই শৈশবের সহজ বুদ্ধি কোনও না কোনও রূপে একটা সাকার বস্তু করিয়া তুলিত, আর না হয়, অদৃশ্যে ভাবনা সস্তবে না বলিয়া, সে ঈশ্বরতত্ত্বকে একেবারেই শূন্তে উড়াইয়া দিয়া পরজীবনের নাস্তিক্য-বুদ্ধির ভিত্তিটাকে গড়িয়া তুলিত। কিন্তু শৈশবস্বভাবসুলভ সহজ কল্পনার সাহায্যে অতি প্রাকৃতে বিশ্বাসের যথাযোগ্য অঙ্কুশীলনের কোনওই সুচারু ব্যবস্থা করিতে পারিত না । খৃষ্টিয়ান্‌ ধৰ্ম্মে বা মুসলমান ধৰ্ম্মে আমাদের হিন্দুধৰ্ম্মের মতন দেবদেবীর স্থান নাই বলিয়া, সেখানে নিরাকার ঈশ্বরতত্ত্বের উপরেই শিশুদিগের ধৰ্ম্মবিশ্বাস ব৷ ধৰ্ম্মজীবন গড়িয়া উঠে ;–হঠাৎ এমন কল্পনাও করা যায় না । কারণ, খৃষ্টীয় ঈশ্বরতত্ত্ব যতই নিরাকার হউক না কেন, যিশুখৃষ্ট যে নিতান্ত “নিরাকার চৈতন্ত-স্বরূপ” নহেন, ইহা সকলেই জানেন। আর যিশুর ছ ব, যিশুর মূৰ্ত্তি, ধূপদীপাদি দ্বারা যিশু ও র্তাহার মাতা মেরীর আরতি—রোমান ক্যাথলিকৃ খৃষ্টীয়ান্‌ সম্প্রদায় মধ্যে সৰ্ব্বত্রই প্রচলিত রহিয়াছে। সুতরাং রোমান ক্যাথালিকৃ খৃষ্টীয়ানমণ্ডলীর; যিশুবাদের সঙ্গে হিন্দুর দেববাদের বড় বেশী পার্থক্য নাই। বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩১৯ আর প্রোটেষ্ট্যান্ট খৃষ্টয়ান সম্প্রদায় মৃত্ত্ব রচনা করিয়া যিশুর পূজা করেন না বটে ; কিন্তু প্রত্যেক ধৰ্ম্মবিদ্যালয়েই (ইংরেজিতে asfi(f Sunday School (to ) fisi জীবনের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার ও ঘটনার বহুবিধ চিত্ৰপট সাজান থাকে। আর এগুলিকে আশ্রয় করিয়াই, প্রোটেষ্টাণ্ট খৃষ্টীয়ান্‌সমাজের শিশুদিগের অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাসের যথেষ্ট অনুশীলন হইয়া থাকে। उ' झांझ श्रुथैग्नान् शtर्षीश्वरमठेों*१ भू९ মুখে ঈশ্বর ও শয়তান সম্বন্ধে যে সকল উপদেশ দিয়া থাকেন, তাহাকে আশ্রয় করিয়াও, খৃষ্টীয়া শিশুগণ অতি সহজেই আপনাদের শৈশব-স্বভাব-মুল ভ সহজ কল্পনার সাহায্যে একপ্রকারের দেববাদ গড়িয়া তুলিতে পারে ও সৰ্ব্বত্রই প্রায় গড়িয়া তুলে । মুসলমানের প্রায়ই কোনও মূৰ্ত্তি রচনা বা ঈশ্বরের কোনও প্রকারের শারীর ধৰ্ম্ম কল্পনাও করিতে চান ন সত্য। কিন্তু এখানেও পীর, পয়গম্বর, প্রভৃতির প্রতিষ্ঠা হইয়া, শৈশবের ধৰ্ম্মের একটা প্রত্যক্ষ আশ্রয়ের স্বাক্ট হইয়াছে। এগুলিকে অবলম্বন করিয়াই মুসলমান শিশুগণ সৰ্ব্বধৰ্ম্ম-মূল যে অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস তাহাং কতকটা অনুশীলন করিয়৷ থাকে। অতএব একটু তলাইয়া দেখিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে “নিরাকার চৈতন্মুস্বরূপ" ঈশ্বরতত্ত্বকে অtশ্রয় করিয়া,জগতের কোথাও মানুষের শৈশব-ধৰ্ম্ম গড়িয় উঠে না। এরূপ চেষ্টাতে কেবল বিপরীত ফগই উৎপন্ন হয়। এই জন্যই অতি শৈশবে যে এই