8२ै8 এক ঠেঙ্গা লষ্টয়া চালের উপর প্রহার করিতে লাগিলেন, জীর্ণ চাল ভাঙ্গিয়া পড়িল, তখন নিমাই হস্তস্থিত যষ্টিদ্বারা এক গাছের উপর ও তৎপরে ভূমিতলে প্রহার করিতে আরম্ভ করিলেন। ভয়াৰ্ত্ত শচী পুত্রের ভীষণ মূৰ্ত্তি দেখিয়া পলায়ন করিলেন, কিন্তু ক্রোধে অন্ধ হইয়া শত অত্যাচার করিলেও নিমাই জননীর গারে হস্তপর্শ করিতেন না। সমস্ত ভাঙ্গিয়া চুরিয়া নিমাই অঙ্গনে গড়াগড়ি দিতে লাগিলেন এবং অবশেষে ক্লান্ত হইয়া নিদ্রাভিভূত হইয়া পড়িলেন। ইত্যৰসরে মালা আনিয়া শচী পুত্রকে জাগরিত করিলেন এবং মালা প্রদান করতঃ নানারূপে র্তাহাকে প্রবোধ দিতে লাগিলেন । ততক্ষণে ক্রোধ শান্ত হইয়াছে । নিমাই জননীর প্রদত্ত মালা লইয়া গঙ্গাস্বানে গমন করিলেন। ভোজনের সময় শচী মিষ্ট বচনে নিমাইকৃত অপচয়ের উল্লেখ করিয়া কছিলেন, “তুমি ত এখনি পড়িতে যাইবে, কিন্তু ঘরের সম্বল যে সকলই নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছ, কালি খাইবার যে কিছুই নাই । “কৃষ্ণ সব মিলাইয়া দিবেন" বলিয়া পুস্তক হন্তে নিমাই গৃহত্যাগ করিলেন । সন্ধাকালে যখন গৃহে প্রত্যাগত হইলেন, তখন দুষ্ট । তোলা স্বর্ণ বাহির করিয়৷ নিমাই কহিলেন “এই দেখ মা, কৃষ্ণ ইহা মিলাইয়া দিয়াছেন । ইহাদ্বারা স্বাহী যাহা দরকার কিনিয়া লও।” বিদ্যালয়ে নিমাইর প্রতিভা ক্রমশঃই ক্ষুধিলাভ করিতে লাগিল। তৎকুত दाषा ७नेिग्रो अक्षा”क मिठोस्र क्ष8 হইতেন। নিমাষ্ট্রর প্রশ্নের উত্তর কোন বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, কাৰ্ত্তিক, ১৩১৯ ছাত্রই দিতে পারিত না। তিনি নিজেই স্বত্রের স্থাপনা করিতেন, এবং আপনার ব্যাখ্যা আপনিই খণ্ডন করিতেন, আর কাহারও ক্ষমতা হইত না যে তাছার খণ্ডন করে। স্নান, ভোজন, পর্য্যটন সৰ্ব্বদা নিমাই শাস্ত্ৰ-চিন্তায় মগ্ন থাকিতেন । গঙ্গাদাস পণ্ডিতের টোগে অধ্যয়ন কালে নিমাই একখানি টিপ্পনি রচনা করেন, তাহ। “বিদ্যাসাগরী টীকা" নামে সৰ্ব্বত্র সমাদৃত হইয়াছিল। নিমাইর প্রতিভায় মুগ্ধ হইয়া অধ্যাপক গঙ্গাদাস স্বীয় ছাত্রদের পড়াইবার ভার তাহার উপর দিলেন। মুরারী গুপ্ত নিমাই অপেক্ষ বয়সে বড় ছিলেন বলিয় তাহার নিকট হইতে পাঠ লইতে লজ্জা বোধ করিতেন, তজ্জন্ত নিমাই তাহাকে পরিহাস ক'রয় বলিতেন “বৈদ্যরাজ, ব্যাকরণ শাস্ত্র বড় বিষম, ইহাতে কফ-পিত্ত-অঙ্গীর্ণের ব্যবস্থা নাই, তুমি ইহা ছাড়িয়া লতা-পাত লইয়া রোগীর চিকিৎসা কর গিয় " কিছুদিন পরে নিমাইঃ প্রতিভার নিকট অবনতমস্তক হইয়া মুরারী তাহার নিকট পাঠ-স্বীকার করিয়া ছিলেন । 等 ব্যাকরণের পাঠ শেষ হইলে বিশ্বম্ভর ন্যায়-শাস্ত্রের অধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন । এই সময়ে "ভট্টদীfধতি” প্রণেতা সুবিখ্যাত রঘুনাথ শিরোমণিও ন্যায়-শাস্ত্র পাঠ কুবিতে ছিলেন। রঘুনাথ অদ্বিতীয় প্রতিতা-সম্পন্ন ছিলেন। অতি শৈশল অবস্থাতেই তাহার অনন্যসাধারণ বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া সকলে বিস্থিত হইরাছিলেন এবং পরিণত বয়সে র্তাহার যশ দেশদেশান্তরে ব্যাপ্ত হইয়া
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।