পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলাতী বাড়ীওয়ালী দিলতের বাড়ীওয়ালী এক অতি थडूठ बख । श्रुनिप्रांत আর কোথাও এ বস্তু মিলে কি না, জানি না। এ বস্তু আধুনিক সত্যতার স্বষ্টি। কিন্তু এই সভ্যতারও সকল স্থানে ইহা পাওয়া যায় না। আমেরিকায় এ বস্তুর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই । সেখানে বড় বড় হোটেলের প্রভাবে ছোট ছোট বোডিং লোপ পাইয়াছে। আর বাসা বাড়ী আমেরিকায় ৭ খণো ছিল কি না, তাও জানি না। বোর্ডিং এবং ছোট ছোট বাসাবাড়ী বা ইংরেজিতে যাকে appartments বলে, 히 বাড়ী ওয়ালীদের রাজত্ব । আমেরিকায় এ রাজত্ব এখন লুপ্তপ্রায় হইয়াছে। সেখানে অনেক লোক সপরিবারে হোটেলেই সৰ্ব্বদা বসবাস করে । হোটেলবাসের কতকগুলি বিশেষ সুবিধ আছে । প্রথমতঃ গৃহিণীদিগকে আর চব্বিশ ঘণ্ট। ঘরকন্ন লইয়। ব্যস্ত থাকিতে হয় না । চাকরবীকরের জঞ্জলও “আর পোহাইতে হয় না। হোটেলের বন্দোবস্তমত ঘরের সকল কাজ অপেন হইতেই চলিয়া যায় । সপ্তাহান্তে বিল্টা চুকাইয়া দিলেই হয়। নিউইয়র্ক সহরের কোন কোন হোটেলে, দশ পুনের বছর ধরিয়া একীক্লমে বাস করিতেছেন, এমন মার্কিন প রবার দেখিয়াছি। হোটেলে থাকিলে গৃহকার্যের বিক্ষেপ হইতে রক্ষা পাইয় গৃহস্বামী আপনার সমগ্র সময় ও শক্তি নিৰ্ব্বিঘ্নে শর্যোপার্জনে নিয়োগ করিতে পারেন, 8 গৃহিণীও রান্নাবান্নার হেঙ্গম হইতে একান্ত অবসর লাভ কুরিয়া যথেচ্ছভাবে আপনার শিক্ষায় বা সৌখিন তায় দিনক্ষয় করতে পারেন। আমেরিকার আধুনিক সভ্যতা ও সমাজ-জীবন এ পথেই ফুটিয়া উঠিতেছে। পারিবারিক জীবনের স্বাতন্ত্র্য ও সঙ্কীর্ণত নষ্ট হইয়া, এক প্রকারের ‘বিশ্ব-জীবনের অকণর ধারণ করিতেছে। আর হোটেল গুলোই এই অতুল বিশ্বজীবনের আশ্রয় হইয়। উঠিতেছে। সুতরাং সেখানে, বড় বড় সহরে, হোটেলকৰ্ত্তাগণ পুরাতন বাড়ীওয়ালীর ব্যবসায়ী একেবারেই আত্মসাং করিয়া বসিয়াছেন। ফরাসীতে বা জৰ্ম্মীণীতে বিলাতের বাড়ীওয়ালীর মত কোনো বস্তু আছে কি ন, জানি না। এ সকল দেশের সঙ্গে চক্ষুষ পরিচয় অতি সামান্ত, ভিতরকার কথা কিছুই জানি না। তবে সাহিত্যেও ইহাদের কোনো বিশেষ খবরাখবর পাই নাই । আর বিলাতেও, লণ্ডন সহরেই বাড়ীওয়ালীর প্রকোপ সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী। লণ্ডন একট। “বিশ্ব-সহর” ইংরেজিতে #8to cosmopolitan city &Co. ভৌগোলিক সম্পর্কে লণ্ডন ইংলণ্ডের, সত্য , কিন্তু জাতি-বর্ণের হিসাবে, লগুন ইংরেজের নহে, সমগ্র বিশ্বের। এখানে সকল দেশের লোকের বাস। আর যেখানে নানা দিগদেশ হইতে নানা লোকে আসিয়া বাদ করে, সেখানেই সরাই, মুছাফেরধানী,