পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা ] পোৱাইলাম। টেনের কষ্টে যখন আমার উংপ্লুহের লেশমাত্র আ শিষ্ট ছিল না, গুশ্বন ও কিশোরীর হাতে আমার নিস্তার নাই । আমি অন্তত এক সপ্তাহ কাল বিশ্রামের প্রস্তাব করিব মাত্র কিশোরী কুতব-মিনার দেখিতে যাইবার গাড়ী ঠিক করিয়া ফেলিল। এমনি করিয়া স্থিতি ও গতির সংঘাতে গতিই জয়লাভ করিল। আমরা একে একে দিগ্গার যাব তীয় দ্রষ্টব্য ও অদ্রষ্টপ্য সমস্তই দেখিয় শেষ করিলাম। তারপর আমি যখন গরী বিশ্রাম-মুখের কল্পনায় মগ্ন, তখন কিশোরীমোহন বলিয়। বসিল “চল এখন আমরা দিল্লীর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়৷ বেড়াই। এতদিন আমরা যাহ। দেখলাম তাহ বিদেশী টুরিষ্টে’র মত দেখা কিন্তু ইহা ত বাস্তবিক দেখা নয়। কোন সহর দেখিতে হইলে সেখানকার লোকের সঙ্গে মিশিয়া তার হাট-বাজার তার রাস্তা-গলি,তার ভাল-মন্দ, সেখানকার আনন-উৎসব সবই দেখিতে হইবে।” ই দি ইত্যাদি । আমি বন্ধুর এ তত্ত্বের যাথার্থ স্বীকার করিয়া লইয়। শারীরিক অসুস্থ তার ক্ষীণ আপত্তি করিলাম মাত্র । কিন্তু তাহ টিকল না, বাহির হইতে श्ल । (R) এমনি করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে একদিন ৭াতে আমরা চাদনাচকের রাস্তায় w ヴ 舅》 o স্ববিখ্যাত “র্দোনের মসজিদের” সামনে ফোয়ারার ধারে বসিয়া আছি, এমন সময় একটা প্রকাও গাড়ী, আসিয়া উপস্থিত। & খোদ মালিক স্থায় פ9\8 তfগতে কয়েদী ভর, উপরে, পাশে, পিছনে ‘হাতিয়ার-বন্দ সিপাহী। গাড়ীট যখন মোড়ের কাছে আসিল, তখন কোথা হইতে একটি বুদ্ধা ও একটি যুবতী দৌড়িয়া আসিয়া একজন কয়েদীর সঙ্গে কথা কহিতে কহিতে গাড়ীর পিছনে পিছনে ছুটতে লাগিল। তাহাদের কি কথা হইল শুনিতে পাইলাম না, কিন্তু গাড়ীখানা যখন কুইন্স গার্ডেনের দরজায় তখন বৃদ্ধ ও যুবতী নামিয়া গেল এবং কয়েদা চিৎকার করিয়া বলিল “তোময়৷ ভয় করে। ন. বাড়ী ফিরিয়া যাও, রামজী অবগুই দয়া করিবেন।" কথাটা শুনিয়া আমাদের ঔৎসুক্য বাড়িয়া গেল। কিশোরী বলিল, “ব্যাপারটা কি জানিতে হইবে।” তারপর দু তিন দিন আমরা ঠিক সময়ে ফোয়ারার ধারে বসিয়া থাকি তাম এবং দেখিতাম বৃদ্ধ৷ যুবতীর হাত ধরিয়া মোড়ের কাছে দাড়াইয়া আছে । গাড়ী পানি আসিলে আবার তাদের সেই কয়েদীর সঙ্গে কথা হইত। চতুর্থ দিনে কিশোরী বলিল, “আজ যেমন করিয়া হউক, ইহাদের বৃত্তাত্ত ,জানিতে হইবে।” বুদ্ধা ও যুবতী তখন পরেটাওয়ালী’র দোকানে গিয়া বসিয়াছে, কিছুক্ষণ পরে তাহার কয়েকখাম মোট রুটি লইয় বাগানের মধ্যে গেল। তাহদের আহারাদি হইয়া গেলে কিশোরী ধীরে ধীরে তার কাছে গেল—আমিও তাহার অন্ত্রগমন করিলাম। বৃদ্ধার সহিত কিশোরী যখন কথা কহিতে গেল, তখন প্রথমে সে