চরিত্র-চিত্র निकण cफ़ठे क८ब्रन, छांश ७ नरश् ॥ ७कनिएक যেমন কেশবচন্দ্র, অন্যদিকে সেরূপ দয়ানন্দ স্বামীর আর্য্যসমাজ, অলকটু-ব্লাভ্যাটস্কার থিওলফী সমাজ এবং পণ্ডিত শশধর তর্কচূড়ামণি-প্রমুখ তথাকথিত হিন্দু পুনরুথানকারিগণ ইহারা সকলেই আধুনিক যুরোপীয় যুক্তিবাদ-প্রতিষ্ঠিত “সামামৈত্রীস্বাধীনতার” আদর্শে আমাদের নব্যশিক্ষিত সমাজে এবং তাহাদের শিক্ষাদীক্ষায় ও আচার আচরণে কিল্পৎপরিমাণে সাধারণ জনগণের ভিতরেও যে যথেচ্ছাচার ও উচ্ছঙ্খলতা আনিয়া ফেলিতেছিল, তাহ দেখিয়া আতঙ্কগ্ৰস্ত হইয়া পড়েন এবং আপিন আপন সিদ্ধান্ত ও শক্তি অনুসারে এই অভিনব বিপ্লবস্রোতের প্রতিরোধ করিতে প্রবৃত্ত হন । আর বিগত পয়ত্রিশ বৎসরের ইতিহাস এই সমুদায় চেষ্টারই নিষ্ফলতার সাক্ষ্যদান করিতেছে। আর এই নিষ্ফলতার প্রধান কারণ এই যে, একদিকে “আধুনিক যুরোপীয় সাধনার এবং অদ্যদিকে অমাদিগের সনাতন ধৰ্ম্মের ও প্রাচীন সমাজের মূল প্রকৃতি যে কি, এ জ্ঞান ইছাদের কাহারই ভাল করিয়া পরিস্ফুট হয় নাই। কি কেশবচন্দ্র, কি অলকট, ব্রাভ্যাট স্বী, কি শশধর তর্কচূড়ামণি প্রভৃতি,—ইংদের কেহই দেশের লোকপ্রকৃতি, সমাজ প্রকৃতি কিংবা পুরাগত সভ্যতা ও সাধনার প্রকৃতির উপরে, অথবা আমাণের প্রাচীন ঐতিহাসিক বিবৰ্ত্তন-প্ৰণালীর সঙ্গে মিলাইয়া, নিজেদের মীমাংসার প্রতিষ্ঠা করিতে পারেন নাই । ফলতঃ র্তাহারা যে পথে আমাদের বর্তমান যুগসমস্তার মীমাংসা করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, তাছাকে মীমাংসা 88。 বলা যায় কি না, সন্দেহ। মীমাংসার প্রথমে কতক গুলি প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত মত, সিদ্ধান্ত বা সংস্কার বা প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান থাকে। কোনও কারণে এ সকলে সত্য বা কল্যাণগুড়ি সম্বন্ধে লোকের মনে সন্দেহের উদয় হয়। কোনও নুতন মত বা সিদ্ধান্ত, ভাব বা আদর্শকে আশ্রয় করিয়া, তারই প্রেরণায় এ সন্দেহের উৎপত্তি হয়। এই সন্দেহ নিরসনের জন্ত বিচারের বা যথাযোগ্য-প্রমাণ প্রতিষ্ঠা-সমালোচনার বা criticismএর আবগুক হয়। এই বিচার ক্রমে নূতন সিদ্ধাস্তের সাহায্যে প্রাচীনের সঙ্গে নুতনের বিরোধ-নিম্পত্তির পথ দেখাইয়। দেয়। এই পথে ধাইয়াই পরিণামে চূড়ান্ত মীমাংসার প্রতিষ্ঠা হয়। এরূপ মীমাংসার জন্য বাদী প্রতিবাদী উভয় পক্ষেরই সম্যক জ্ঞানলাভ অত্যাবশ্যক। কিন্তু কি কেশবচন্দ্র, কি থিওসফী সমাজের নেতৃবর্গ,কি তর্কচূড়ামণি প্রভৃতি তথাকথিত হিন্দু পুনরুখানকারিগণ, ইহাদের কেহই এ জ্ঞানলাভ করেন নাই । কেশবচঞ্জের স্বদেশের মূল প্রকৃতির এবং বিশেষতঃ স্বজাতির ঐতিহাসিক বিবর্তনের কোনও বিশেষ জ্ঞান ছিল না। থাকিলে তিনি খৃষ্টীয়ানী সিদ্ধান্ত ও খৃষ্টান ইতিহাসের দৃষ্টান্ত আশ্রয় করিয়া, বর্তমান যুগসমস্যার মীমাংসা করিতে যাইতেন না, হিন্দু যুগে যুগে, স্বানুভূতি ও শাস্ত্রের মধ্যে যে সামঞ্জস্ত প্রতিষ্ঠা করিয়া সমাজের গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তির নিত্য বিরোধকে মিটাইয়াছেন এবং এইরূপে বেদের ক্রিয়াকাও ও দেববাদ হইতে ক্রমে উপনিষদের জ্ঞানকাও ও ব্রহ্মতত্ত্ব ; উপনিষদের জ্ঞানকাগু হইতে আধ্যাত্মিক
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।