8 o বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আউর হাসিয়া তহসিলদার বলিলেন, “জমি স্থ সেলাম ?” তহসিলদার হাস্ত করিয়া আমার নিজের নহে। মালিক যে দর বাধিয় বলিলেন “সে তে আপ কে বাখুবি মালুম হোগা । সেলামি সমজিয়ে কুছ ভি নছি। মালিক কে হোমি ১-২ রোপের বিঘা, .আউর হামারা তো জাতেই হোঙ্গে উদিকে श्रां५ ॥” * সেলামি ও খাজানার বিপুল তালিকা खनिब्र। डिथांद्रौ नंकिङ श्हेब्रl खेलििब्रांछ्णि । সে গোপনে হেরিলকে এ কথা জানাইল । হোরিল অপাঙ্গে একটু চতুর হাসি হাসিয়া ইসরায় তাহtকে জানাইল যে, এ জন্ত তাহার কোন চিন্তা নাই, সে সমস্তই ঠিক করিয়া দিবে। গেরিল তহসিলদার সাহেবকে জিজ্ঞাসা করিল, “কোন জমিন তহসিলদার সাহেব ?” হাসিয়া তহসিলদার বলিলেন, “সে জন্ত চিন্তা নাই। জমি সকলের সেরা। আসল জমি যার নাম । তোমাদের গ্রামের সেই ভাত্ত, কাহারের জমি। বেট গত বৎসর হইতে ফেরার। অনেকে সে জমির জন্য উমেদ্বার হইয়ছিল। কিন্তু কাহাকেও দিই নাই । জেরাবর অনেক দিনের পুরাতন প্রজা ছিল বলিয়াই, তাহার পুত্রের উপর এতটা অনুগ্রহ করিতেছি।” মুন্সী দাম্ড়িলাল গম্ভীর ভাবে ঘাড় নড়িয়া বলিলেন, “ই আলবৎ। জমি তে। নেহাইত, উমদা !” ভিখারী আবার গোপনে হেরিলকে বলিল, “খাজান আর কিছু कमाहेब्रा निtण उाशव्र छभि गहेष्ठ ८कांनई আপত্তি নাই ।” হেরিল বিনীতভাবে এ কথা তহসিলদার সাহেবকে জানাইল । দিয়াছেন, সে ত আর আমার কমাইবার সাধা নাই। তবে এক কাজ কর না কেন? “বাটাইয়া” লও না কেন ? যে বৎসর যেমন ফসল হইবে, সে বৎসর তেমনি খাজান।। অৰ্দ্ধেক ফসল তোমার, অদ্ধৈক জমিদারের। ইহাতে ত আর লোকসান নাই।” কথাট ভিখারীর মন্দ লাগিল না। ভিখারী “বাট ইয়া” লইতেই সন্মত হইল । মুন্সী দাম্ড়িলাল কাগজপত্র সঙ্গে আনিয়াছিলেন ; তখনি কবুলিয়ৎ লিখিত হইল এবং কবুলিয়তের উপর ভিখারীর অঙ্গুঠার ছাপ লওয়া লইল । অপরাষ্ট্র কবুলিয়ং রেজিষ্টারি করিয়া দিয়া এবং মাণিক ও তহসিলদার সাহেবের সেলামি, মুন্সী দাম্ড়ি লালের তহরির, হিতৈষী বন্ধুবর্গের পানভোজন ব্যয়, রেজিষ্টারী অফিসের খরচ। প্রভৃতিতে বহুদিনের কষ্টসঞ্চিত থলিয়টির ভর যথেষ্ট গধু করিয়া সফল-মনোরথ ভিখারী পাট্ট লইয় হৃষ্টচিত্তে বাট ফিরিয়া আসিল । R ভিখারীর হৃদয়ে রোম্যাটিক কাব্যরস না থাকিলেও, সে তাহার সুন্দরী যুবতী পত্নীকে ভালবাসিতে আরম্ভ করিয়াছিল। তাংরি মুথ চাহিয়া ভিখারী কৃষিকার্য্যে প্লাণপণ পরি শ্ৰম করিল, পরিশ্রমের ফলে ভিখারীর মুদীর্ঘ পরিপুষ্ট শস্তগুচ্ছ তালুর গ্রতিবেশগণের ঈর্ধার কারণ হইয়া উঠিল। স্বমধুর প্রভাত বায়ু-তাড়িত সেই হরিৎশশু-সিন্ধুর আন্দোলিত তরঙ্গরাজি দেখিতে দেখিতে নিরক্ষর ভিখারীর সরল হৃদর আশার ও আনন্দে ভরিয়া উঠিত।
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।