পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.3l 21く*川' ক্ষীণতর হইবে, ইহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? এ পথ দৈবী সম্পদের পথ নহে–আস্তরী সম্পদেরই প্রশস্ত পথ। শ্রেণী-ভেণে এই আত্মঘাতী পন্থীকে কি প্রশস্ত করিয়া তুলে ন ? "এই জঙ্গই মনে হয় আমাদের জাতিভেদ যতই কেন নিন্দনীয় হউক না, বিলাত ও আমেরিকার শ্রেণীতে অপেক্ষ কিছুতেই হীনতর এ কথা বলা যায় না। তবে জাতিভেদ যে আকারে এখন আমাদের সমাজে আছে তাহাও কোনো মতেই মঙ্গলজনক নহে। বিলাতি শ্রেণীভেদও তথৈবচ কিম্বা ততোধিক। ইয়ের •কোনটাই সামাজিক কল্যাণের সহায় নহে । ফলতঃ আমার মনে হয় জাতিভেদ কথাটা আমাদিগের সভ্যতা ও সাধনার কথা নহে। শাস্ত্রেও এ কথা আছে কি ন৷ , জানি না। ঐকান্তিক অভেদজ্ঞান-লাভ যে সাধনার চিরন্তন লক্ষ্য, তাহাতে এরূপ ভেদের কথা থাকা সম্ভব নহে। বৰ্ণাশ্রমধৰ্ম্ম শাস্ত্রীয় কথা, এই ধৰ্ম্মের উপরে হিন্দুর সভ্যতা ও সাধন প্রতিষ্ঠিত, ইহাও সত্য। এই বর্ণাশ্রম-ধৰ্ম্মের সাহায্যেই ভারতের অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক আর্য্যেরা আপনাদিগের সাধনা ও সভ্যতাকে এই বিশাল ভূখণ্ডে বিবিধ জাতির অসংখ্য জনগণমধ্যে সুশ্চির্য্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারিয়াছিলেন। এই বর্ণাশ্ৰম-ধৰ্ম্ম-অবলম্বনেই প্রাচীন ভারতৃে অনেক জাতি এক বহুমুখী সাধনার অন্তর্গত হইয়৷ এই বিশাল ও বহুশাখ হিন্দুসমাজের প্রতিষ্ঠা ' হইয়াছিল। খৃষ্টীয়ান বা মুসলমানধৰ্ম্মেয় ন্যায়, ভারতের ‘સર્વાણમ-ક્ષનું vყჯა আর্য্যধৰ্ম্ম একটা মতবদ্ধ ধৰ্ম্ম নহে। মতবদ্ধ ধৰ্ম্ম সকলকে প্রগরক ধৰ্ম্ম বলা দায় । ভাব ও ভাষা এখানে দুই বিদেশী । মতবদ্ধ *** stataiis crcdal Religion বলে । কতকগুলি বিশেষ মতেই এ সকল ধৰ্ম্মের পুচ্ছ-প্রতিষ্ঠ। এ সকল ধৰ্ম্মের স্থিতি যে মতের উপরে এমন কথা বল। ঠিক নহে। অপর ধর্মের যেমন, সেইরূপ এ সকল ধৰ্ম্মেরও স্থিতি আচারে ও চরিত্রে, শুদ্ধ লতে নহে। কিন্তু ইহাদের গতির মূল মত, আচার নহে। মত-প্রচারের দ্বারাই এ সকল ধৰ্ম্ম প্রথমে আপনাকে প্রসারিত করে। এই জন্যই ইহাদিগকে প্রচারক ধৰ্ম্ম, বা ইংরেজীতে Missionary Religion «ă এ সকল ধৰ্ম্মে মতের প্রচার আগে, আচারেব প্রতিষ্ঠা পরে । ভারতের আর্য্যধৰ্ম্ম এই শ্রেণীর ধৰ্ম্ম নহে। খৃষ্টীয় বা মহম্মদীয় তন্ত্র যেরূপে আপনাদিগের বিশেষ বিশেষ মত প্রচার করিয়া, আপনাদিগকে জগতে ছড়াইয়াছে, আৰ্য্যধৰ্ম্ম সেরূপভাবে জগতে আপনাকে ছড়ায় নাই। তথাপি খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম যেমন অধৃষ্টীয়ানকে খৃষ্টীয়ান্‌ করিয়াছে, কিম্ব ইলসাম ধৰ্ম্ম যেমন কাফেরকে কলুম। পড়াইয়া মুসলমান করিয়াছে, ভারতের প্রাচীন আয্যেরাওঁ সেইরূপ অসংখ্য অনাৰ্য্যকে আর্য্য করিয়াছিলেন। অহিন্দু যে কখনও হিন্দু হইতে পারে না, কথাটা নিতান্তই আধুনিক। হুন, শক প্রভৃতি অনেক প্রাচীন জাতি আদিংে হিন্দু ছিলেন না, এখন শ্রেষ্ঠ হিন্দু বলিয়া পরিগণিত। বিরাট দ্রাবিড়সমাজ আৰ্য্যতন্ত্রের বহিভূত ছিল। কিন্তু আজ সেই সমাজে হিন্দুয়ানীর প্রভাব