শ্ৰীজগন্নাথের রথযাত্র ছেলেবেলা অনেকবার রথ দেখিয়ছি। আর সে একট। পেশ আনন্দের ব্যাপারই ছিল। রথের দিনে স্কুলে যাইতে হইত না। বিক ল বেলা বাড়ীর সম্মুখে, সদর রাস্তার দু’ধারে মেলা বসিত। সে মেলায় আর কি কি বেচাকেন হইত মনে নাই । মনে আছে এই মেলার বাজারে যাইয়৷ ষ্ঠে পু কিনিয়া আনি তাম, আর সমবয়স্ক বালক লিকার মিলিয়। এই সকল ভেপু বাঙ্গাইয়। গুরু জনদিগের কর্ণপীঠ। উৎপাদন করিতাম । রথের সঙ্গ কলা-লেচার সম্বন্ধট; সাৰ্ব্বভৌমিক। কিন্তু কলার চাইতে আর একটা ফলে র কথা বেশি মনে আছে । মুসভ্য পশ্চিম বঙ্গে এ ফল পাওয়া যায় বলিয়া মনে হয় না। ইহার নাম লটকন। শ্ৰীহট্ট কুমিল্ল , প্রভৃতি পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলে ইহ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। অন্নমধুৰ বলিয়। এ ফল গোক ও বালকবালকদের বড়ই ঞ্জিয় । রথের কথ। মনে হইলেই ঐ ভেঁপুর কথা, আর থলো থলে লটকানের কথা মনে পড়ে তার সঙ্গে সঙ্গে আবার বালক হইয়। সে রপ-আ স্বাদনের জন্য রসনাটা যে একটুও नामांब्रि७ श्ध नl, এমনও, বলিতে পরি ন। আর মনে পড়ে, সম্মুখের রাজপথ দিয়া যখন সোঁকৈ কাৰ্বন করিতে করিতে আপনাদের রথ টানিয়া লইয়া যাইত, তথন আমরাও তাদ্যে' সঙ্গে সঙ্গে جأة وو হরি বোল, বোল হরি বোল, অৰ্জুনের রথের রথী নারায়ণ বলিয়া চীৎকার করিতাম। এ-ও এক আনন্দের ব্যাপার ছিল ; " এইরূপ ছেলেবেলা যে রথযাত্র। দেপিতাম, তার ছবি এখনও স্মৃতিপটে জাগিয়া আছে। ফলতঃ সেরূপ রথ বড় হইয়। আর কোথাও দেখি নাই। ললিতকলার হিসাবে শ্রীহট্ট কাছাড় প্রভৃতি বাংলার পূর্বতম অঞ্চলের রথের মতন এমন সুন্দর রথ আর কোথা ও হয় না। শ্রীহট্টে ও কাছাড়ে বিস্তর মণিপুরী বস } করে। আর মণিপুরীদের রথ একটা অপূৰ্ব্ব বস্তু। অনেকেই মণিপুরের লোককে নিতান্ত অসভ্য বলিয়া মনে করেন। কিন্তু শ্রেষ্ঠ তম কলাকুশলতা যদি সভ্যতার লক্ষণ হয়, তবে মণিপুরীদের মতন সুসভ্য জাতি আর একটও খুজিয়া পাওয়া যাইবে কি না সন্দেহ। এ জাতটা স্বভাব-কবি । , ইহাদের ঘরবাড়ী এমন পরিস্কার ও পরিপাটী যে দেখিণে ঠাকুরবাড়ী বলিয়া ভ্রম হয়। ইহাদের বাড়ীগুণে এক এক খানি ছবির মতন যেন সৰ্ব্বদা চারিদিকের লতাপাতাফুলের বাগানর ফ্রেমের মাঝখানে ফুটিয় থাকে । ইহাদের পূজাপাৰ্ব্বণে, এই সহজসিদ্ধ ললিতকলাকুশলতা, সামান্য লতাপাতাফুল দিয়া, চারিদিকে অপূৰ্ব্ব সৌন্দর্ঘ্যের হাট খুলিয়া দেয়। মণিপুরীগণ বৈষ্ণবধর্মাতৃগণ। ইযদের গুরুপাট
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।