পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qbb জগতের সঙ্গে গ৷ ঘোষীঘেষি করিয়া আসিয়া দাড়াইতে হয়। বাহুতে বাহু ঠেকুক, নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাস মিশুক, ঘামে ঘামে মাখামাখি হউক ;-মামুষের বাহু অপে * কোমল কিছু যে আর দুনিয়ায় নাই, মানুষের নিঃশ্বাসের মতন এমন শীতল মলয় যে আর বিশ্বে নাই, মানুষের খেদের মতন এমন মধুর রস যে আর জগতে মিলে Al,— এই ঠেকাঠেকি, মেশামিশি, মাপামাখিতে এই দিব্যজ্ঞান জন্মুক, তবে বুঝিব জগন্নাথের রথযাত্রা দেখ। সার্থক হইল। ঐ রথারূঢ় দারুমূৰ্ত্তি তো তার চিহ্নমাত্র। জগন্নাথের নিজস্ব রূপ এই বিশাল জনসংঘট্টের মধ্যেই ফুটিয়া আছে। রথযাত্রার দিনে, রথারূঢ় শ্ৰীমূৰ্ত্তির দিকে চাহিতে চাহিতে র্যাদের প্রাণের বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ অন্তস্তল হইতে এই ভগবদ্বাণী ধ্বনি হইতে থাকে ঃ – পঙ্গ যে পার্থ রূপাণি সতশোহথ সহস্রশ: নানাবিধানি দিব্যানি নানাবর্ণীকৃতীনি চ | এবং তারই সঙ্গে সঙ্গে চক্ষু দুটো একবার রথারূঢ় দেব-মূৰ্ত্তিকে দেখিয়া আবার ং থের সম্মুখস্থ লোকসংঘট্ট্যের উপরে আসিয়া পড়ে এবং এই আকুল ভক্তমণ্ডলীর জনতা হইতে পুনরায় শ্ৰীজগন্নাথের দিকে ধাবিত হয়, আর এইরূপে রথে যিনি তাকেই পথে, পথে র্যারা তাগদিগকেষ্ট রথে দেখিয় ধারা আত্মহাখা হইয়া যায়, তাহদেরই রথ দেখ সফল হয়। আর পুরিধামে যাইয়ু, একবীর শ্রীজগন্নাথের রথযাত্র। যে প্রত্যক্ষ না করিয়াছে, সে কখনও এ স্তাবটি উপলব্ধি করিতে পারিয়াছে কি না সন্দেহ । শ্রীবিপিনচন্দ্র পাল । সাহিত্যে বস্তুতন্ত্রতা । রবীন্দ্রনাথ চৈত্রের "বঙ্গদর্শনে” রবীন্দ্রনাথের হইয়াছে; আধুনিক বাংলা সাহিত্য কোনও চরিতালেখ্য লিপিয়াছিলাম। ইহাতে কোনও দিকে বিশ্ব সাহিত্যের সমাজে অতি কোনও কোনও দিক্ দিয়া রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-স্থষ্টিতে বস্তুতন্ত্র তার বিশেষ অভাব দেখিতে পাওয়া যায়, এই কথা বলি। এ জন্য রবীন্দ্রনাথের আসন্ন ভক্তগণের কেহ কেহ বড় ক্ষুণ্ণ হইয়াছেন দেখিয়া আমিও দুঃখিত হইয়াছি। কারণ রবীন্দ্রনাথকে কোনও দিকে খাট কয়৷ কিছুতেই বাঞ্ছনীয় বলিয়া মনে করি না। রব ন্দ্রনাথের অলোকসামান্ত উচ্চ স্থানে ধাইয়া বসিবার অধিকার পাই: "ছে। রবীন্দ্রনাথকে খাট করিলে, ভারত য় সাধনা ও বাঙালী জাতিকে খাট করা হয় । কিন্তু সত্যের দ্বারা কেহ ষে কখনও খাট হয়, বা হইতে পারে, অপরে যাই বুলুন না কেন, রবীন্দ্রনাথ নিজে কখনওই এমন কথা বলবেন না৯.আর রবীন্দ্র মাথের সাহিত্য-সৃষ্টি সৰ্ব্বদা যদি বৰ্ত্তত কবি প্রতিভার দ্বারা বাংলার মুখ উজ্জ্বল, না-ই হইয়া থাকে, ইহাতে রবীন্দ্রনা"