পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to আপন অধিকারে, নিজের স্বরূপে, এ বস্তু অতি সত্য ও খাটি । বস্তুতন্ত্র আর অকপট uश्रु किंi नश्च । অতএব রবীন্দ্রনাথের ধৰ্ম্ম-বিধয়ক বা স্বাদেশিকতা-সম্বন্ধীয় অনেক কবিতা ঠিক বস্তুত*ি নয়, এ কথা লিলে রবীন্দ্রনাথ অধাৰ্ম্মিক হইয়া ধর্মের ভান করিয়াছেন বা স্বদেশভক্তি না থাকিলেও তাহ cनश३वींद्र চেষ্টা করিয়াছেন, এমন কিছুই বোঝায় না। এমন কি ঠিক বস্তুতন্ত্র নয় বলিয়া কোনও ভাব বা রস যে একেবারে মিশন হয়, এমনও নয়। রাজুতে সর্পভ্রম হইলে প্রাণে যে ত্রীসের সঞ্চার হয়, তাহা বস্তুতন্ত্র নয় । কিন্তু সর্পজ্ঞানটা মির্থ। বলিয়া, এই ভ্রান্তজ্ঞানকে আশ্রয় করিখ যে ভথের সঞ্চার হয়, তাহাও মিথ্যা, এমন কথা কেহ বলে না। তবে সত্য সর্পদর্শনে যে ভয়ের উদ্রেক হয়, তাহা যেরূপ স্থায়িত্ব লাভ করে, রজুতে সর্পভ্রমে যে ভয় জাগিয়া উঠে, তাহ সে স্থায়িত্ব প্রাপ্ত হয় না। বস্তুতন্ত্র রস বস্তুকে আশ্রয় করিয়া ফুটিয় থাকে, বস্তুতন্ত্রতাহীন রস বস্তুকে আশ্রয় না করিয়া শুদ্ধ মানস কল্পনাকে আশ্রয় করিয়া প্রকাশিত হয় । যথাযোগ্য বস্তুকে আশ্রয় করিয়া যখন আমাদের চিত্ত্বে কোনও রসের সঞ্চার হয়, তখন সে রসের বিকাশের ও পরিণতির একটা স্বাভাবিক ও সাৰ্ব্বভৌমিক ক্রমও প্রকাশিত হইয় থাকে । যে রস বস্তুকে আশ্রয় করিয়া উঠে না, কেবল মানসকল্পনাকে অবলম্বন করিয়া জাগিয়! উঠে, তাহাতে এই সকল স্বাভাবিক ও বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ এই জন্ত বস্তুতন্ত্রতাবিহীন রসকে ব্যতিচারী ब्रन बरन । दाडि5ादौ ब्रह्मञ्च शब्रिश् १itक না। একটা রস ফুটিতে না ফুটিতেই তার মধ্যে অপর বিপরীত রসের আবির্ভাব হইয়া থাকে। আর এই রস ভঙ্গের দ্বাগঃ কোন রস ব্যভিচারী ও বস্তু তন্ত্রতাহীন এবং কোন রস অব্যভিচারী ও বস্তুতন্ত্র, ইহা অতি সুন্দররাপে ধরিতে পারা যায় । সাহিত্যের বিষয় দুই শ্রেণীর। এক বাহিরের অবস্থা ও ব্যবস্থাদি, fতীয় অন্তরের অনুভূতি ও রসাদি। আর এই দুই শ্রেণীর সাহি ত্য স্ব ঠগ সাহিত্যিকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞ জ্ঞার অপেক্ষা রাখে। যে কখনও সমুদ্র দেখে নাই সে অপরের রচনায় সমূদ্রের যে সকল বর্ণনা পড়িয়াছে, তাহাকে অবলম্বন করিয়া, আপনার কল্পনার সাহায্যে একটা সমুদ্রের ছবি যে আঁকিয়া তুলিতে পারে না, তাহা নয়। সেই অপার নীলাম্বুরাশি দেধি৷ মানুষের প্রাণে যে সকল ভাব অপনি জাগিয়া উঠে, কল্পনাবলে যে সে ব্যক্তি সে সকল ভাবকেও জীবন্ত করিয়া তুলিতে পারে না, এমনওঁ নয়। কিন্তু এ সত্ত্বেও তার সমুদ্রের ছবি যে কল্পিত, সত্য নয়, অধ্যাগপ্রতিষ্ঠিত, বস্তুতন্ত্র নয়, এ কথা মানিতেই হইবে। সকলে ইহার এই মায়িকতা ও বস্তু তন্ত্রহীনতা লক্ষ্য নাও বা করিতে পারে । যারা কখনও সমুদ্র দেখে নাই, তাদের পক্ষে ইহা লক্ষ্য করা অনেক সময় অসম্ভবঃ হইয় উঠতে পারে। কিন্তু যারা সমুদ্র স্বচক্ষে দেখিয়াছে, তাহদের নিকটে এ’ \; যে আসল নহে ইহা ধরা পড়িবেই সাৰ্ব্বভৌমিক বিকাশক্রমট पूष बाबना। পড়িবে।