পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(էՏՀ “প্রবাসী"তে ত্রযুক্ত অজিতকুমার চক্রবর্তী আমার রবীন্দ্র-চরিত-চিত্রের সমালোচনা করিতে যাইয়া,“আমি-সাহিত্য সমালোচনার বিশুদ্ধ রীতানুসারে" এই চরিত-চিত্র লিখি নাই, এ অভূিযোগ কেন করিয়াছেন, বুঝিলাম না। সাহিত্য যে জীবন ছাড়া নয়, এ কথা লেখক নিজেও স্বীকার করেন । ভরে “সাহিত্য-রচয়িতার জীবনের -ভাল-মন্দের সহিত তাহার সাহিত্য-সৃষ্টর একান্ত সম্বন্ধ নাই” ইহাই অজিত বাবু মনে করেন। অতএব কোনও সাহিত্যিকের সাহিত্য-সৃষ্টির সমালোচনাকালে এ ভালমন্দকে উপেক্ষা করিয়াই চলা আবশ্বক, নতুবা সে সমালোচনা ঠিক সাহিত্যআগোচনার বিশুদ্ধ রীতি-সন্মত হয় না। অজিত বাবু সাহিত্য সমালোচনার যে বিধান (canon ) প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, তাহার আলোচনা এখানে অসম্ভব এবং অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক । মাসিকের ক্ষুদ্র কলেবরে এ আলোচনার স্থান এবং আমার দৈনন্দিন কর্মের ব্যস্ত তার মধ্যে ইহার সময় করিয়া উঠা সম্ভব নহে। এ আলোচনার পক্ষে যে পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন, সে পাণ্ডিত্যও যে আমার নাই, অপরে জানুন বা না জামুন, আমার অন্তরঙ্গ বন্ধুবান্ধবেরা ইহা জানেন। কিন্তু রবীন্দ্রমাখের চরিত-চিত্রান্ধনে প্রবৃত্ত হইয়া, আমি দশ-আজ্ঞার ফুট-ফিতা লইয়া যে রবীন্দ্রনাথের জীবনের ভাল-মন্দের মাপ করিতে যাই নাই, ইহা তো অস্বীকার করা সম্ভব নয়! আমার নিকটে ভাল-মন্দট बiशिनिद्म दत् , मघ्रं, ভিতরে । বিধান । বঙ্গদর্শন [ ১২ বর্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ cवैकठिtङtग, चरश्ttउtü, चषिकांब्राउएम ভাল-মন্দের আদর্শ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিতে ও একই ব্যক্তিতে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন আকার ধরিয়া থাকে। ব্রহ্মচারীর পক্ষে রমণীমুখদর্শন কেন, স্ত্রীলোকের ছায়াম্পর্শ পৰ্য্যন্ত অপরাধের কথ। যে চিত্রকর গ্ৰ ভাস্কর চিত্রপটে বা মৰ্ম্মরখণ্ডে রমণী-রূপের অশরীরা মূৰ্ত্তিটি ফুটাইয়। তুলিয়, তাহারই ভিতর দিয়া মনুঞ্জ মণ্ডলী মধ্যে “সুন্দরের" সংবাদ প্রণর করিবেন, তার পক্ষে জীবন্ত রূপসীকে সম্মুখে করিয়া, তার মুখ ধ্যান করিতে করিতে, সেরূপে তন্ময় হইবার জন্য সৰ্ব্বপ্রকারের সাধন অবলম্বন না করাই অধৰ্ম্ম । খৃষ্টীয় জগতের ধৰ্ম্মনীতিও এখন প্রাচীন ইহুদীর দশাঞ্জার মাপকাটিকে ছাড়াইয়া উঠিয়াছে। আধুনিক যুরোপের ধৰ্ম্মনীতি বা এথিকসও ( Ethics) «qqa vafq5fizioefsi (Self-realisation ) লাভকেই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বা ভালমন্দ বিচারের একমাত্র কষ্টি-পাথর বলিয়া গ্রহণ করিতেছে \), সনাতন সাধনা "ধৰ্ম্ম” বলিতে চিরদিনই একরূপ এই বস্তুকে বুঝিয়া আসিয়াছে। এই জন্যই ধৰ্ম্মকে “সৰ্ব্বেষাং ভূতানাং মধু" বলা হইয়াছে। আযাদের সাধনায় প্রত্যেক বস্তুর,নিজৰ প্রকৃতিকে ফুটা য়া তুলিয়া, সেই প্রকৃতির পরম পরিণতি ও চরম চরিতার্থতালাভকেই ধৰ্ম্ম বলিয়া চিনি 到51弧 করিয়াছে। সুতরাং কবির পক্ষে আপনার \ಧಿ পরম পরিণতি ও চরম চরিতার্থতালাভই শ্রেষ্ঠতম ধৰ্ম্ম। কোনও