(శ్రీని ব্যাঙ, অতি নিরীহ প্রাণী, ইহাদের শিং নাই, ধারালে দাত বা হুল নাই, কিন্তু ইহার লম্ব। লম্বা লাফ দিতে পারে, তাহাই আত্মরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট হয়। গেছে এবং মেপে ব্যাঙের লাফ ও খুব বড় এবং সঙ্গে আবার ইহাদের দেহ হইতে এক প্রকার বিষও বাহির হয়, এই বিষের একটু পরিচয় পাইলেই কোন শক্র ইহাদের নিকটবৰ্ত্তী হয় না। কয়েক জাতীয় গিরগিটিও এই পকারে দেহ হইতে বিষ নির্গত করিয়া আত্মরক্ষ। করে। সুতরাং দেখা যা তেছে প্রকৃতি দেবী ঠার এই অল্পবুদ্ধি ও দুৰ্ব্বল সন্তানগুলিকে এই সকল অস্ত্রে সজ্জিত করিয়া ভূতলে ছাড়িয়া দিয়াছেন, অপর বলবান প্রাণীদের সহিত সংগ্রাম করিয়া নিজেদের অস্তিত্ব অক্ষুণ্ণ রাখুক্ ইহাই উহার অতিপ্রায় । উদ্ভিদৃগণ ইতরপ্রাণী অপেক্ষ। আরো দুর্দল ও নিঃসহায়, ব্যাঙ বা হরিণের মত লম্বা লম্বা লাফ দিয়া যে শক্রর আক্রমণ ব্যর্থ করিবে তাহার সাধ্য ইহাদের নাই । কাজেই একস্থানে দাড়াইয়া যাহাতে আ - রক্ষা করিতে পারে তাহার ব্যবস্থা ইহাদের দেহে রাখিতে হইয়াছে । এই জষ্ঠ ই কাহারো গায়ে কাটা, কাহারে পাতায় ময়ে, কাহারো ফলে, ফুলে, মূলে ও পাতায় বিষ। প্রবল ইতর প্রাণীর। এই সকলের ভয়ে উদ্ভিদের অনিষ্ট করিতে পারে না, অতি বুদ্ধিমান মানুষও ইহাদের নিকট হীর মানিয়া যায়। নিম, নিসিন্দা, মাথাল ফল তাহীদের দেহকে অতি বিস্বাদ রসে পূর্ণ রাখিয়া কেমন আত্মরক্ষা করে! যাম্বুব কোন দিন যে এগুলির দ্বারা রসনাতৃপ্তি বঙ্গদর্শন . আত্মরক্ষ। [ ১২শ বৰ্ম, পৌষ, ১২১৯ কর ব্যঞ্জন রণধিতে পারিবে, তাহার সস্তাবনা আজও দেখা যাইতেছে না। যাহা হউক, দুৰ্ব্বল জীব কি প্রকারে করে তাহ৷ বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের আলোচ্য নয় । আী রক্ষার জন্য কোন কোন প্রাণী ও উদ্ভিদের শরীরে যে বিষ সঞ্চিত থাকে, এই প্রবন্ধে আমরা তাহার কিঞ্চিৎ পরিচয় দিব । প্রথমে উদ্ভিদের বিষের কথাই আলোচনা করা যাউক । খেজুর বা কুলের কাট৷ গায়ে লাগিলে আমরা বেদনা পাই, কিন্তু সে বেদন স্থায়ী হয় না। বিছুটি ব৷ আল কুণর ময়ে গায়ে ঠেকিলে যে জালাযন্ত্রণ হয়, তাহ৷ সত্যই বিষের জ্বালা । উদ্ভিদের বিষের ইহ। একটি সুপরিচিত উদাহরণ । ছোটখাটো অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়া পরীক্ষা করিলে বিছুটির সুয়োকে নিরেট দেখয়ে না। এগু লর আগাগোড়া নলের মত ফাপা । ভাল করিয়া পরীক্ষ। করিলে এই শূণ্ঠস্থানে একপ্রকার জলবং স্বচ্ছ রসও দেখা যায়। এই রসই বিছুটির পিয। নলাকার সুয়োগুলি প্রাণীর দেহে প্রবিষ্ট হইলে, আপন হইতেই ভাঙ্গিয়া যায়, এবং নলের ভিতরকার রস শরীরে প্রবেশ ফরিয়া বিষের কার্য্য দেখাইতে আরস্ত করে। বিছুটির বিধ লইয়া বৈজ্ঞানিকগণ অনেক পরীক্ষা করিতেছেন। পিপীলিকার পিষে যে ফরমিক এসিড ( Formic Acid ) নামক দ্রাবক মিশানে থাকে, বিছুটির রসের অধিকাশই সেই দ্রাবকে গঠিত। তা ছাড়া সাপের বিষের মত এক প্রকার রসও অল্পমাত্রায় উহাতে মিশ্রিত
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।