পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যl ] বলেই বুঝিয়াছিল । সুতরাং এ ক্ষেত্রে সে ব্যক্তিত্বাভিমঠুনকে নষ্ট করিবার জন্যই শত অন্ধিলন্ধি আঁটিয়াছে, তাহাকে বাড়াইয়। তুলিবার কোনও অবসরের স্বষ্টি করে নাই । অথচ মানুষের ব্যক্তিত্ব যে একটা অতি খাটি ও অতি উচ্চ বস্তু, হিন্দু ইহ{ও কখনও ভুলিয়া যায় নাই। বরঞ্চ এই ব্যক্তিত্বই যে প্রকৃত পক্ষে মানুষের মgষ্যত্ব, এ জ্ঞান তার খুবই ছিল। সুতরাং সামাজিক জীবনে এই ব্যক্তি হাভিমানকে সৰ্ব্বদা সৰ্ব্বপ্রযত্নে সংকুচিত ও সংযত করিবার চেষ্টা করিয়া, হিন্দু অতি-সামাজিক সন্ন্যাস • মে মামুধের এই ব্যক্তিত্ব-বস্তুর অবাধ প্রসারণেরও ব্যবস্থা করিয়া রাখিগছিল। কিন্তু য়ুরোপীয় সমাজ যে ব্যক্তিত্বের উপরে আপনাকে গড়িয়! তুলিতেছে, আর হিন্দু যাহাকে ব্যক্তিত্ব বলিয়া ধরিয়াছে, এই দুই বস্তু ঠিক এক নহে। সমাজ-জীবনে ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠা গেলেই সৰ্ব্ববিধ সামাজিক সম্বন্ধের মধ্যে যে একে-অষ্ঠের বগু তার ভাবটী রহিয়াছে, তাহাকে ক্ষণ করিতেই হইবে। এই জন্য যুরোপীয় সমাজে এই বখাতার বিধানটা বড়ই দুৰ্ব্বল হইয়া, সকলকে স্ব স্ব প্রধান করিয়া তুলিতেছে। ইহার ফলে বৰ্ত্তমান যুরোপীয় সমাজে একটা সংগ্রামের ভাব যেন দিবানিশি জাগিয়া রহিয়াছে। এই সামাজিক সমরসজ্জার নামই প্রতিযোগিতা বা competition যুরোপীয় সমাজ বহুকাল হইতে এই প্রতিযোগিতার পথ ধরিয়াই " চলিয়াছে। ইহার ফলে যেমন যুরোপে কতকগুলি লোকের ভিতরে করতে লোকশিক্ষা ও সমাজপ্রকৃতি (\లీన উচ্চাঙ্গের রাজসিক তা ফুটিয়া উঠিয়াছে, সেইরূপ আবার অধিকাংশ লোককেই এই নিৰ্ম্মম জীবন-সংগ্রামের নিষ্পেষণে একেবারে পশুর মতন ক রয়া তুলিতেছে। কিন্তু উচ্চাদের সাত্ত্বিকত৷ বিকাশের পথ পরিষ্কার করিতে পারিতেছে না। ফলতঃ এই প্রতিযোগিতার তীব্রতায় যুরোপীয় সমাজ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হইয়া যে পড়িতেছে, ইহাও অস্বীকার করা অসম্ভব । আমাদের সম{জ এ পর্য্যস্ত এ পথ ধরিয়া চলে নাই । আমাদের সমাজ আতি প্রাচীন কাল হইতেই সাহচর্য্যের পথ ধরিয়া চলিয়াছে। য়ুরোপের সমাজগঠনের ও সাম{{ঞ্জক বিবৰ্ত্তনের ं যেমন প্রতিযোগিত। ব৷ ভারতের সমাজগঠনের ও সামাজিক বিবৰ্ত্তনের মূলে এই সাহচৰ্য্য বা co-operation বিদ্যমান রহিয়াছে। এই সাহচৰ্য্য-প্রতিষ্ঠিত সমাজগঠনের গুণেই আমর। এত আঘাত সহিয়াও আজি পৰ্য্যন্ত নিজেদের সভ্যতা ও সাধনার বিশেষত্বটাকে বাচাইয়। রাখিতে পারিয়াছি। আমাদের দারিদ্র্য ইংলণ্ড প্রভূতির দারিদ্র্যের তুলনায় বেশি বই কম নহে । কিন্তু এমন নিস্ব হইয়াও, এ জাতিটা যে এখনও বাঢ়িয়া আছে, এই সাহচৰ্য্য-প্রতিষ্ঠিত সমাজগঠনই তার মুখ্য কারণ । আমাদের একান্নবৰ্ত্তাপরিবার-প্রথা এই সাহচর্য্য-নীতির ভিত্তি ও প্রমাণ। ব্যবসাবাণিজ্যের দিক দিয়া দেখিলে, আমাদের এক একট পরিবার এক একটা যৌথকারবারী-সম্প্রদায়েরই মতন। বিলাতি competetion, giësio.