পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্য। ] “ওঁ ঋতঞ্চ সত্যঞ্চাঙ্গন্ধাত্তপদোহাঙ্গায়ত। ততো রাত্রাঙ্গায় ত ততঃ সমুদ্রোহণবঃ। সমুদ্রার্ণবাদধিসম্বংসরোইজারত। অহোর এাণি বিদধদ্বিধস্ত মিষতেীবণী । সুর্য্যাচ এমপেী ধাত। যথা পূর্বমকল্পয়ং দিবঞ্চ পৃথিবীঞ্চান্তরীক্ষমথে। স্বঃ ॥” ‘হে জল ! তোমরা অতি সুখদায়ী, অতএব আমাদিগের ইহকালে সুখ ও অল্প বিপান কর ; এবং পর কালে ( চিত্ত শুদ্ধি দ্বার। ) আমাদিগকে মহারমণীর পর ব্রহ্মের সহিত সংযোজিত করিয়া দিও। হে জল ! তোমরা হি তাতিলাঘিণী মা তার স্থায় ইহলোকে আমাদিগকে অতি কল্যাণদায়ী স্বীয় রসের ভাগী করি ও । তোমরা নে রসে নিখিল জগৎ পরিতৃপ্ত করিতেছ, আমরা তাহাতে লাভ করি ।” “মহা প্ৰলয় সময়ে জগৎ একমাত্র পরব্রহ্মে ধিলীন হইয়াছিল, তৎকালে কেবল রাত্রি ছিল অর্থাৎ . জগং অন্ধকারময় ছিল। পরে স্বঃ্যারম্ভ সময়ে অদৃষ্টবলে স্বল্পর মূলস্বরূপ জলপূর্ণ সমূদ্র উৎপন্ন হয়, সেই প্রায়পয়েধিঞ্জল হইতে বিধ প্রকটনকারী বিধাতা জন্মিলেন, তিনি দিব প্রকাশকু সূৰ্য্য এবং রজনীপ্র কাশক চন্দ্র স্থঃ করিয়৷ বৎসর কল্পনা করেন, তদবধি দিন, রাত্রি, ঋতু,অয়ন প্রভৃতি স্বর্ণেকাদি কল্পিত হইতে লাগল।’ e এখানে বিশ্বেংপত্তি ও তৎকালীন অবস্থ। অতি মুদয়ভাবে প্রকটত হইয়াছে। যখন স্বষ্টি আরম্ভ হয় নাই, তখন একমাত্র পরব্রহ্মের সত্ত্বাই বিরাজিত ছিল, কিন্তু ८५ *कय । বেদে বৈজ্ঞানিক স্বঠতত্ত্ব (£84 তাহা জড়পত্ত্বা নহে, চৈতষ্ঠ্যময় সত্ত্বা । চিন্তাতেই ( তপস্যাতে ) আবার এই চৈতন্তে বিচাশ (কাৰ্য্য ) হইতেছিল— তখন অন্ধকার ব্যাপ্ত থাকিয়। রাত্রির মত দেধাইতেছিল। স্বঠর ইচ্ছা হইতে প্রথম ঋত ( নিয়ম = laws ) ও সদ্বস্তু (সত্য নিসোপাদান substance) উদ্ভূত হইল। এই নিত্যেপদানের প্রথম পরিণামেই বাপময় সমুদ্র উৎপন্ন হইল ও তৎ সঙ্গে সঙ্গে কাল প্ৰবৰ্ত্তিত হইল। এক্ষণে পর-ব্রহ্মের ইচ্ছাসস্থত শক্তি আবিভূর্ত হইয়া স্বৰ্ঘ্য ও চন্দ্র স্বঠ করিয়। কালের অহোরাত্র বিভাগ এবং আকাশ, পৃথিবী, শূন্ত ও স্বৰ্গ দিলোক রচিত করিলেন। এই শক্তিই ধাত| বিধাত। অর্থাৎ স্রষ্টা ) নামে অভিহিত হইয়াছেন। চিদ্রপী পর-ব্রহ্মের ইচ্ছা হইতে স্বস্ট প্রস্থত হয়, স্বাক্টর নিয়মশৃঙ্খলা ও উপাদান এই ইচ্ছারই ফল। এই দুইটাকে অবলম্বন করিয়৷ বিধাতাকর্তৃক স্বঠকাৰ্য্য পরিনিম্পন্ন হয় । এই স্বাষ্ট-প্রক্রিয়ায় পর-ব্রহ্মের নির্মিকার নিণি গু ভাব সংরক্ষিত করিয়৷ কিরূপ আশ্চৰ্য্যভাবে স্বল্পবৈচিত্র্যব্যাখ্যার উপায় উদ্ভাবিত হইয়াছে ! এইরূপে স্বল্পব্যাখ্যার মুলপত্তন বেদেই হইয়াছে এবং বাপন্থত জলই স্থইর মূলপদার্থ বলিয়৷ কীৰ্ত্তত হইয়াছে । পূৰ্ব্বোক্ত বৈদিক মন্ত্রটাকে মার্জনমন্ত্র বলে। দৈনিক সন্ধ্যার সময় এই মন্ত্রোচচারণ করতঃ মাথায় জলসেক করিয়া নিজেকে মজ্জিত পরিষ্কৃত ) অর্থাৎ পবি এ করিতে হয়। দৈনিক খ্রিসন্ধ্যাতে তিনবার এই মন্ত্র পাঠ ಇಳ স্বষ্টিতত্বের আলোচনা করিবার