পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা ] সকল, অপরদিকে অধ্যাপক ম্যাক্স ধুলারের বিখ্যাত লেক্চারগুলি পাঠ করিয়া স্পষ্ট উচ্চারিত ( বর্ণাত্মক ) ভাষার মুল সম্বন্ধে আমার বিবেচনা হয় যে নানাবিধ প্রাকৃতিক ধ্বনির ও অপরাপর জন্তুগণের ধ্বনির এবং মানবের সহজাত ধ্বনির অতুকরণে ও পরিবর্তনে, ইঙ্গিত ও অঙ্গভঙ্গীর সঙ্গয়তায় ভাষা গঠিত হইয়াছে। * ইহাতে সন্দেহ করিতে পারি না। “দাম্পত্য নিৰ্ব্বাচন” আলোচনা করা কালে আমরা দেখিব যে প্রাথমিক মানব অথবা মানবের আদিম পূৰ্ব্বপুরুষ সম্ভবতঃ সঙ্গীতের স্বর উৎপাদন করিতে গিয়াই প্রথমে কণ্ঠস্বর ব্যবহার করিয়াছিল ; এখনও কতিপয় জিবন বানর যমন করিয়া থাকে, তেমনই গান করিতেই প্রথমে কণ্ঠস্বর ব্যবহৃত হয়। জীবজগতের বহু স্থলের मूहे? অকুসারে সিদ্ধাস্ত করিতে হয় যে স্ত্রীপুরুষের মিলন চেষ্টাতেই প্রথমে সঙ্গীত ব্যবহৃত হইয়াছিল, এবং তদ্বারা প্রণয়, ঈর্ষা, বিজয়-গৌরব, অথবা প্রতিদ্বন্দ্বিগণকে যুদ্ধে অtহবান কর। প্রভৃতি নানাবিধ ভাব প্রকাশ করা হই । সুতরাং সঙ্গীতের স্বর অন্ধ করণ করিয়াই বর্ণাত্মক শব্দ হইয়াছে ও তদ্বারা বিবিধ জটিল ভাব ব্যক্ত করা হইয়াছে, ইহাই সস্তব বোধ হয়। অমুকরণে সম্বন্ধে উল্লেখ যোগ্য ব থ৷ এই যে, আমাদিগের নিকট

  • মৎপ্রণীত “ভাষা ও আদিরস এবং পরবশত নামক গ্রন্থে ভাষার মূল আদিরস অর্থৎ কালভাব, ইহাই প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিয়ছি। সমস্ত জীবরাজা পৰ্য্যালোচনা করিলে এই সিদ্ধান্তই সঙ্গত বোধ

হয় । অনুবাদক। মানবের জন্মকথা 《(敎속 কুটুম্ব বানরগণ, আজন্মজড়ভাবাপন্ন অবোধগণ এবং অসত্য মানবগণ যাহা শুনে তাহাই অনুকরণ করিবার প্রবল প্রবৃত্তি দেখাইয়। থ কে । মানুষ যাহা বলে বানর তাহার অনেক ভাগ নিশ্চয়ই বুঝিতে পারে ; বন্য বানর বিপদকালে ইঙ্গিতসূচক ধ্বনি করিয়া অপর বানরস্ট্রে বিপদের কথা জানাইয়া দেয় ; পক্ষিগণ মাটীতে বাজের আক্রমণ আশঙ্কা করিলে একরূপ এবং আকাশে ঐ আশঙ্কা করিলে অন্তরূপ ধ্বনি করত অপর পক্ষীদি গকে বিপদবার্তা জানাইয়া দেয়.–( শুধু তাহাই নহে, আর এক তৃতীয় পকার ধ্বনিও উহার করিয়া থাকে, তাহ কুকুরে বুঝে ) ; এমত অবস্থায় ইহা কি সম্ভব নহে যে, কোন বুদ্ধিমান বানর-তুল্য প্রাণী • শিকারী হিংস্র জন্তু হইতে বিপদ আশঙ্কা উপস্থিত হইলে তাহার ধ্বনি অনুকরণ করতঃ ঐরুপ অপরাপর প্রাণিগণকে বিপদের কারণ জানাইয়া দি ত ? যদি ইহা সম্ভব হয়, তবে ইহাই ত ভাষাগঠনের প্রথম সূত্রপাত বলিয়া গণ্য হইতে পারে। কণ্ঠস্বর যতই ব্যবহৃত হইতে লাগিল ততই শব্দ-উৎপাদক যন্ত্রগুলি পুষ্ট ও পূর্ণ • গঠিত হইল। এই ফল বংশাকু ক্ৰমে চলিয়৷ আসিয়াছিল। f এই পুষ্টি ও পূর্ণতা বাকু শক্তিকেও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করিয়াছিল। কিন্তু মস্তিষ্কের উন্নতির সহিত ভাষার উন্নতি যেরূপ ভাবে সংস্থষ্ট তাহাই অধিক গুরুতর কথা। ভাষার অতিশয় অনুন্নত অবস্থার

  • অর্থাৎ মানবের আদি-পুরুষ | + এক্ষণে ইহা স্বীকৃত হয় না।