৯ম সংখ্যt } একজন দার্শনিক যেমন জানেন কুকুরও তেমনই জানে। উইা জানিবার ও বুঝিবার শক্তি থাকিলে শব্দ-বোধ যেমন উত্তমরূপে বেদের কথা ((£సి প্রমাণিত হয়, বাকৃশক্তি থাকিলেও তেমনই প্রকাশিত হয় ; তবে ঐ বোধের পরিমাণ নুনি হইতে পারে। শ্ৰীশশধর রায় । বেদের কথা মতু ধৰ্ম্মের লক্ষণ বলিতে যাইয়া, সৰ্ব্বাদে) বেদের উল্লেখ করিয়াছেন। ধৰ্ম্মের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ এই যে, তা বেদবিহিত হওয়া চাই । এগন প্রশ্ন এই, বেদ বলিতে এখানে আমরা কি বুঝিব? আর এ প্রশ্নের উত্তরটা আপাততঃ যত সহজ বলিয়। মনে হইতে পারে, প্রকৃতপক্ষে তত সহজ ও নহে। কারণ মতু এখানে সাধারণ মানব-ধৰ্ম্মের লক্ষণই নির্দেশ করিয়াছেন, কোন ও দেশবিশেষের ব৷ সমাজবিশেষের বিশেষ ধর্মের কথা বলেন নাই। মকু এখানে যে ধর্মের কথা কহিয়াছেন, তাহ। কেবল হিন্দুরই ধৰ্ম্ম নহে, তাহা সকলেরই ধৰ্ম্ম। এ ধৰ্ম্ম-বস্তু সাৰ্ব্বজনীন ও সাৰ্ব্বভৌমিক। সুতরাং এস্থলে লেদ বলিতেও একটা সাৰ্ব্বজনীন ও সাৰ্ব্বভৌমিক বস্তুকেই বুঝিতে হইবে । না ইলে ঋষিবাক্য মিথা श्ईशो गूब ।। ফলতঃ একটু তলাইয়া দেখিলেই মন্থ ধর্থের যে কয় লক্ষণ নির্দেশ করিয়াছেন, তাঁর সকল ‘ গুলিরই মধ্যে একটা সাৰ্ব্বজনীনতা প্রত্যক্ষ করিতে পারা যায়। ধর্মের প্রথম লক্ষণ যেমন তাহা বেদবিহিত ‘y 魏 হওয়া চাই ; সেইরূপ তার দ্বিতীয় লক্ষণ এই যে, তাহা স্মৃতিসন্মত ও ও আবখ্যক আর স্মৃতি-বস্তু ও প্রকৃতপক্ষে সাৰ্ব্বভৌমিক। সকল সমাজেই স্মৃতি বলিয়৷ একটা বস্তু আছে। ইংরেজিতে এই স্মৃতিকে ট্যাডিষণ (tradition) বলে। এই ট্যাডিষণ বা স্মৃতি যেমন হিন্দুর ধৰ্ম্মে, সেইরূপ ইহুদির ধৰ্ম্মে, সেইরূপ খৃষ্টীয়ানের এবং মুসলমানের ধৰ্ম্মেও আছে। মনু, পরাশর, প্রভৃতি আমাদের স্মৃতিশাস্ত্র। লৌকিক আচার-বিচার, ক্রিয়াকৰ্ম্ম, পারিবারিক সংস্কারাদি, সামাজিক বিধিনিষেধ প্রভৃতি এ সকলই আমাদের এই সকল স্মৃতির আশ্রয়ে প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছে। অদ্যান্য সমাজে এবং অপরাপর ধর্মে ও আচারবিচার, ক্রিয়াকৰ্ম্ম, পরিবারিক সংস্কার ও সামাজিক শাসন, এ সকলই স্মৃতির উপরে প্রতিষ্ঠিত । আর স্মরণাতীত কাল হইতে যে সকল আচারানুষ্ঠানাদি প্রত্যেক সমাজে লোকপরম্পরায় চলিয়া আসিয়াছে, তাহারই নাম স্মৃতি। তাহাই ট্র্যাডিষণ (tradition of: এই স্মৃতি বা ট্যাডিষণকে আশ্রয় করিয়াই জগতের বিধি ধৰ্ম্মের নিত্য ও নৈমিত্তিক ক্রিয়াকৰ্ম্ম সকল এই
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।