(૭8 শ্রুতি বলিতে যদি আমরা ঋগ্বেদাদি গ্রন্থকে, আর স্মৃতি বলিতে ধধি কেবল মন্থ পরাশর প্রভৃতিকেই বুঝি, তবে মহামতি যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে আমাদিগকেও, "শ্রুতি বা স্মৃতি যে ধৰ্ম্মের নির্ণায়ক নহে”—একবাক্যে এই কথাই বলিতে হয়। কিন্তু ময় ষে বেদ ও যে স্মৃতির উপরে বিশ্বধৰ্ম্মকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন, তাহ যে প্রকৃতপক্ষে মহর্ষি বেদব্যাসের সঙ্কলিত বেদচতুষ্টয় অথবা মম্বাদি স্মৃতি নহে, একটু বিচার করিয়। দেখিলেই, এই সিদ্ধান্ত অপরিহার্য হইয়া উঠে । প্রথমে পেদের কথা । মতু প্রভৃতি প্রাচীন ঋষিগণ যে বেদের উপরে ধৰ্ম্মধস্তকে স্থাপন করিয়াছেন দে বেদ কাহাকে বলে ? ঋগ্বেদাদি যে সে বেদ নহে, শ্রুতি ও স্মৃতি উভয়েই তার সাক্ষ্য দান করিতেছেন। অতএব এই বেদের যদি অণ্ঠ কোনও অর্থ ন। থাকে, তবে মম্বাদি স্মৃতির সার্থকত। আর থাকে না । মন্ত্রর কথা স •্য হ’লে, বেদের আর একটা কোনও অর্থ অবগুই আছে । সে অর্থটা কি ? মনু বলিতেছেন --যাহা বেদবিহিত তাহাই ধৰ্ম্ম । এস্থলে ময় যে মানবধৰ্ম্মেরই কথা বলতেছেন, ইহাও সত্য। কিন্তু সংস্কৃত ধৰ্ম্মশব্দের একটা ব্যাপকতর অর্থও আছে। ধৰ্ম্ম বলিতে, সংস্কৃতে কেবল মানুষের ধৰ্ম্মই বোঝায় না। স্বঃপদার্থমাত্রেরই একটা না একটা ধৰ্ম্ম আছে। আর এই ধৰ্ম্মের দুইটা দিকৃ। একটা তাহার স্থিতির দিকৃ, একট। তাহার গতির দিকৃ। স্থিতির দিক্ দিয়৷ ধৰ্ম্ম প্রত্যেক পদার্থের নিজস্ব গুণমাত্র বঙ্গদর্শণ [ ১২শ ৭৭, পৌষ, ১০১৯ প্রকাশিত করে। যেমন জলের ধৰ্ম্ম শৈত্য, অগ্নির ধৰ্ম্ম উত্তাপ ইত্যাদি। গতির দিক দিয়৷ ধৰ্ম্ম পদার্থের পরিণতির * ញុះবিকাশের বিধানও প্রকাশিত করে। সুতরাং পদার্থের গুণ এবং সেই গুণের বিকাশের ও পরিণতির বিধান, ধৰ্ম্ম বলিতে আমরা এই ફ્રે ૧૬ફે રિણા શાનિ I કરૂં દ્વિત્રિમ আকারে ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বত্র বিরাজ করিতেছেন। আর এই উভয় ভাবে ধৰ্ম্ম প্রত্যেক স্বঃ পদার্থের প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত রহিয়াছেন বং সেই প্রকৃতি হইতেই নিয়ত ফুটিয়া উঠিতেছেন। হিন্দু বাগকে ধৰ্ম্ম বলিয়া জানেন, তাহ। প্রত্যেক পদার্থের নিজস্ব প্রকৃতির উপরেই প্রতিষ্ঠিত,কোনও বাহিরের বিধি-নিষেধাদির উপরে প্রতিষ্ঠিত নহে। এ ধৰ্ম্মে বিধিও আছে, নিষেধও আছে! কিন্তু ইহার বিধি এবং নিষেধ উভয়ই জীবের আত্মচরিতার্থতা লাভের জন্য, তাহার নিজস্ব প্রকৃতির আদেশে এবং প্রয়োজনেই প্রচারিত হইয়াছে। জীবের আত্মচরিতীৰ্থত; লা শুই তার ধৰ্ম্ম । আর জীব যে আদর্শে স্থঃ হইয়াছে, সেই আদশটা তার মধ্যে পূর্ণ ম!এায় ফুটিয়া উঠিলেই সে আপনার প্রকৃত চরিতার্থতা লাভ করে। হিন্দু চিরদিনই এই অর্থে ধৰ্ম্ম-শব্দকে গ্রহণ করিয়াছেন। এই ধৰ্ম্মই যদি আবার বেদবিহিত হয়, তাহ হইলে প্রত্যেক পদার্থর নিজস্ব আদর্শ যে তত্ত্বকে আশ্রয় করিয়া প্রতিষ্ঠিত ও অভিব্যক্ত হয়, বেদ বলিতে তাহাকেই বুঝিতে হইবে। বেদের অন্য কোনও অর্থ করিলে, ধৰ্ম্মের সর্বজন
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।