(ఆసి খানেই, আমার মনে হয়, বেদকে কেন ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে, তাহার নিগুঢ় মৰ্ম্মট ধরিতে १jiतु शृॉझ । বেদকে যে অর্থে শ্রীতি বলা হইয়াছে ঠিক সেই অর্থেই যে শব্দ বলাও হইয়াছে ; এমন মনে হয় না। যাহা শোনা যায় তাহাই শব্দ, সত্য। কিন্তু এ শব্দ ধ্বস্তাত্মক। ধ্বনি বিশেষকে আশ্রয় করিয়া এই শব্দের প্রতিষ্ঠা ও প্রকাশ হয়। প্রাকৃত জনে শব্দ বলিতে ইহাই বুঝিয়া থাকে। কিন্তু এই ধবষ্ঠাত্মক শব্দ নিত্যবস্তু নহে। অন্য-পক্ষে বেদকে সৰ্ব্বদা নিত্য বলিয়াই প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে। ধ্বস্তাত্মক শব্দের এই নিত্যত্ব-ধৰ্ম্ম নাই। এই শব্দ ভিন্ন ভিন্ন কণ্ঠে বিভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়। ধ্বন্তাত্মক শব্দ আকাশে উৎপন্ন হইয়া ক্ষণকাল পরে সেই আকাশেই আবার বিলীন হইয়া যায়। ইহার উৎপত্তি ও বিলয় আছে। বেদ অপরিবর্তনীয়, অনাদিকাল হইতে একই ভাবে, নিজ স্বরূপে স্থিতি করিতেছে। বেদ অনাদি, ইহার উৎপত্তি কখনও হয় নাই। বেদ অনন্ত, ইহার বিলয় কখনও হইবে না। ধান্তাত্মক শব্দ পুরুষের কণ্ঠকে আশ্রয় করিয়া উৎপন্ন হয় । পুরুষ ইহার কর্তা। বেদ অপৌরুষের। সুতরাং বেদের এই সকল লোক-প্রসিদ্ধ লক্ষণার সঙ্গে ধ্বস্তাত্মক শব্দের সঙ্গতি নাই। প্রাকৃতজনে শব্দ বলিতে যাহা বুঝে, সেই অর্থে, বেদকে শব্দ বলা যাইতে পারে না। এখানে শব্দের আর কোনও একটা অর্থ না থাকিলে বেদের শব্দ নাম নিরর্থক হইয়া পড়ে । কিন্তু আমরা যদিও যাহা শোনা যায় शत्रण¥नै { ১২শ বৰ্ণ, পৌষ, ১৩১৯ তাহাকেই শব্দ বলিয়া জানি, তত্ত্বদশী ঋষিগণ এই ইঞ্জিয়গ্রাহ ধ্বস্তাত্মক শব্দ ব্যতীত, আর একজাতীয় শব্দের কথাও বলিয়াছেন । “সে শব্দ কানে শোন; যায় না, তাহা ধ্বস্তাত্মক নহে। সে শব্দ অতীন্দ্রিয়, কেবল বুদ্ধিগ্ৰাহ মাত্র। সে শব্দ “স্ফোটাত্মক।” আর এই অতীন্দ্রিয় স্ফোটায়ুক শব্দতত্ত্বকে লক্ষ্য করিয়াষ্ট বেদের আর এক নাম শব্দ হইয়াছে। এই স্ফোটাত্মক শব্দই স্থষ্টি-মূল। ইহাই জগদ্বীজ নাম ও রূপ। বেদান্তবাদী ইহাকেই মায়। বলিয়াছেন । “কিং পুনস্তত্ব কৰ্ম্ম যং প্রাগুপত্তেরীশ্বরজ্ঞানস্য বিষয়ে ভবতি ?” “সেই কৰ্ম্ম কি, যাহা স্বষ্টির পূৰ্ব্বে ঈশ্বরের জ্ঞানের বিষয়ীভূত হইয়াছিল ?” পুৰ্ব্বপক্ষের এই প্রশ্নের উত্তরে ভাষ্যকার বলিয়াছিলেন তাহ নাম ও রূপ, ব্রহ্ম হইতে ভিন্নও নহে, অভিন্নও নহে – অব্যক্ত কিন্তু বাক্ত হইবার জন্য চেষ্টত—আমরা ইহাই বলি।” বৈষ্ণবের ইহাকেই প্রকৃতি বলিয়াছেন। এই স্ফোটাত্মক শব্দই গ্রীকদিগের লগস ( Logos ), ইহাই খৃষ্টিয়ানের বাইবেলগ্রষ্ট্রোক্ত বাক্য বা Word. In the beginning was the Word. The Word was with God. The Word was God, afto ইলিয়। আমাদের শাস্ত্রোক্ত এই স্ফোট-শব্দতত্ত্বকেই ব্যক্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। এই স্ফোস্টশব্দতত্ত্বকে লক্ষ্য করিয়াই বেদকে শব্দ ও ব্রহ্ম বলা হইয়াছে। " এই স্ফোট-তত্ত্বের উপরেই বেদে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।