পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্য } অনাদিহ, অপৌরুষেয়ত্ব প্রভৃতি ধর্মের প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। এই তত্বটী না বুঝিলে, যাহা বেদবিহিত তাঁহাই ধৰ্ম্ম, ধর্মের মন্ত্র-বর্ণিত এই লক্ষণের মর্য গ্রহণ অসম্ভব হষ্টবে। রসের রূপ ৫৬৭ এই ফোটাত্মক শব্দ কি, গুরুকৃপা হইলে, বারান্তবে তাহার আলোচনা করিতে চেষ্টা করিব । শ্ৰীবিপিনচন্দ্র পাল । = রসের-রূপ বাৎসল্য ও মাতৃমূৰ্ত্তি ভালবাসার কি কোনও অকার আছে ? সাকার-নিরাকার সম্বন্ধীর বাদবিতণ্ডায় কখনও কখনও এই প্রশ্নট। তোল হয় । অfর সচরাচর ইহাতে সা কারবাদিগণকে একরূপ নিৰ্ব্বাক্ ও নিৰ্ত্তির করিয়াই তোলে। কিন্তু প্রচলিত অর্থে একান্ত সাকারবাদী না হইয়াও, ভালবাসার কি কোন ও অfকার বা সত্য সত্যই নাই ?—এ প্রশ্নটাও বোধ হয় তোল৷ যাইতে পারে। তবে ভাললাগা-বস্তুট। নহে । একজt ঠীয় ভালবাস কতক গুলি আন্তরিক অনুভূতির একটা সাধারণ নাম। আমরা সন্তানকেও ভালবাসি ; স্ত্রী বা স্বামীকেও ভালবাসি ; বন্ধুবান্ধবদিগকেও ভালবাসি। কিন্তু এই ত্ৰিবিধ ক্ষেত্রে, ভালবাসা তিন আকারে প্রকাশিত হয়। সন্তানের প্রতি ভালবাসীকে আমরা বাৎসল্য বলি, স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি ভালবাসাকে মাধুর্য্য, আর বন্ধুবান্ধবের প্রতি ভালবাসাকে সধ্য বলিয়া থাকি। এই বাৎসল্য, মাধুর্য্য এবং সখ্য এক জাতীয় বস্তু হইলেও, ঠিক এক ধর্ণের নহে। বাৎসল্যে ও মাধুর্য্যে, মাধুর্য্যে ও সুখ্যে এবং সখ্যে ও বাৎসল্যে পরস্পরের ভেদ বিস্তর। সুতরাং ভালবাসার রূপ ব; 'আকার যদি কিছু থাকে, তাহ। এই ক্ষেত্রে তিন প্রকারেই প্রকাশিত হইবে । বাংসল্যের রূপ যাহা, মাধুর্য্যের রূপ তাহ হতে পারে না। আর সথ্যের রূপ এই দুই হইতেই ভিন্ন হইবে। আর বাৎসল্যাদির কি কোনও রূপ বাস্তবিকই নাই ? ভালবাসাট। অন্তরের বস্তু সত্য। কিন্তু বহিরে যে এই আন্তরিক ভাব সৰ্ব্বদাই নানাভাবে 1্যক্ত হইয় থাকে, ইহাও প্রত্যক্ষ কথা। এইরূপ অভিব্যক্তি ব্যতীত, আমরা যে একে অন্তকে ভালবাসি ইছা কিছুতেই জানিতে বা জানাইতে পরিতাম না। প্রথমতঃ আমরা ইহাকে ভাযায় ব্যক্ত করিয়া থাকি। সন্তানকে, পতি ব। পত্নীকে, বন্ধুবান্ধবকে আমরা যে ভাবে সম্বোধন করি, তাহার ভিতর দিয়া আমাদের এই সকল বাৎসল্যাদি প্রকাশিত হয়। কিন্তু ভাষায় অন্তরের রসাদির যে অভিব্যক্তি হয়, তাহাকে রূপ বলে না। ভাষা রসের সঙ্কেতিক চিহ্ন মাত্র ; তাহার গুণও নয়, রূপও নয়। যাদু, বাছা, অন্ধের নড়ি, যাটের ধন, এ সকল বাৎসল্য-স্বচক কথার সঙ্গে বাৎসল্য-বস্তুর কোন অপরিহার্য্য ও অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ নাই। কোনও জনক বা জননী আপনার সন্তানকে এ ভাবে সম্বোধন নাও তিন