পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مولويN?) করিতে পারেন, অথচ তাহাতে র্তাহীদের অন্তরের বাৎসল্যের অভাবও বোঝাইবে ন, আর সে রসের ক্ষত্তির কোনও বিশেষ ব্যাঘাতও জন্মিবে না । যেমন ভাষায় মনের ভাল ব্যক্ত হয়, সেইরূপ বাহিরের আচার-আচরণেও অন্তরের ভাব প্রকাশিত হয়। স্বামীপুত্রের সেবার , ভিতর দিয়৷ সন্তানবতী সতীর মাধুর্য্য ও বাংলুল্য আপনার চরিতীৰ্থত অন্বেষণ করিয়! থাকে। এই সকল সেবা-যত্বের ভিতর দিয়াও র্তাহীদের অন্তরের ভাব প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই সকল সেবা যত্নের সঙ্গেও বাৎসল্যের বা মাধুর্য্যের কোনও নিত্য ও অপরিহার্য্য অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধ নাই। কোনও বিশেষ কারণে এই সেবা-যত্ন করা অসন্তল বা অপ্রার্থনীয় হইতেও বা পারে। কিন্তু এই সেবঃ-যত্নের অভাব সৰ্ব্বত্রই যে অন্তরের রসের অভাব বা এ সেবা-যত্বের তাল্পত যে সে রসের লঘুত্ব বুঝাইবেই বুঝাইবে, এমন বলা যায় না। সুতরাং ভাষায় রসবিশেষের যে অভিব্যক্তি হয়, তাহ যেমন সে রসের রূপ নহে, সেইরূপ আমাদের আচারআচরণে তাহার যে বহিঃপ্রকাশ হইয়া থাকে, তাহাকেও সে রসের রূপ বলা যায় न ! ভাষাতে বা আচার-আচরণে রসের যে প্রকাশ হয়, তাহা সৰ্ব্বত্র এক নহে। আমরা যে কথায় বাৎসল্য প্রকাশ করি, ইংরেজ ঠিক সে কথা ব্যবহার করেন না। আমাদের দেশে প্রাচীনের পত্র ব্যবহারে অনেক সময় পুত্রকে “প্রাণভূল্যেধু” বলিয়। সম্বোধন করিতেন। ইংরেজি বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, পৌষ, ১৩১৯ ভাষায় এইরূপ সম্বোধন অতিশয়োক্তি বলিয়াই গণ্য হইবেন ইংরেজ-সমাজে ইহা শিষ্ট প্রয়োগ বলিয়া বিবেচিত হইবে কি না সন্দেহ। অন্যপক্ষে আমাদের দেশে পত্নীকে সকলের সমক্ষে প্রথম যৌবনে ডালিং ( Darling ) il fUgtā (Dear)–RțgfķR বা প্রিয়তম বলিয়। ডাকা, আর বয়োবৃদ্ধিতে ক্রমে প্রেম যখন পরিপকত প্রাপ্ত হইয়া “স্নেহসারে” স্থিতি করে, তখন তাহকে ম৷ (Mother ) বলিয়া সম্বোধন করা, কখনওই শিষ্ট প্রয়োগ বলিয়া পরিগণিত হইবে না। দাম্পত্য সম্বন্ধের অন্তরালে যে মাধুর্য্য রস বিদ্যমান থাকে আমরা এই সকল কথায় সে রসকে ব্যক্ত করি না। আমরা এই ক্ষেয়ে যে সকল কথা ব্যবহার করি, ইংরেজ বা জার্মাণ, কফ্রি বা জুলু সে কথা ব। তার অনুরূপ অন্য কোন কথা ব্যবহার করেন না । আর এ পার্থক্য যে সামান্য তাহাও নয়। আমাদের অন্তরের } ভাব যখনই ভাষায় ব্যক্ত হয়, তখনই আমাদের নিজেদের সভ্যতার ও সাধনীর, নিজেদের পারিবারিক জীবনের ও সমাজ গঠনের তারো অনেকগুলি বিশেষ বিশেষ ভাব ব৷ আদর্শ তার সঙ্গে মিশিয়া যায়। এই কারণে অন্তরের ভাবটা শুদ্ধ ও অমিশ্র হইলেও, বাহিরের প্রকাশটাতে আশেপাশের অনেক বস্তু মিশিয়া থাকে। আর এরূপ মিশ্রণ হয় বলিয়াই, ভাষায় বা আচার-আচরণে একই মানবীয় রসের যে অভিধ্যক্তি হয়, তাহাতির ভিন্ন দেশে, ভিন্ন ভিন্ন সমাজে বিভিন্ন আকার ধারণ করিয়া থাকে। সুতরাং ভাষায় বা আগর-আচরণে রস