বঙ্গদর্শন , ,
- \
নিমাই-চরিত্র } দশম অধ্যায় رة : رينز٪ ు: পাষণ্ডী-বিদ্বেষ ও অগ্নিপ্রকাশ ট্রন “প্রকাশে” একদল লোক বড়ই বিরক্ত হইয়া উঠিল । গভীর রাত্রিতে কীৰ্ত্তনের শব্দে তাহীদের নিদ্রার ব্যাঘাত হইত। তাহারা পথে ঘাটে মাঠে সৰ্ব্বত্র নানা কথা বলিয়। বৈষ্ণুলগণের নিন্দ করিয়া বেড়াইতে লাগিল । কেহো বলে এ গুলার কি হইল বাই। কেহো বলে রাত্রে নিদ্রা যাইতে না পাই। কেহো বলে গোসাই রুষিব ঘন ডাকে। এ গুলার সৰ্ব্বনাশ হইব এই পাকে ॥ কেহো বলে জ্ঞানযোগ এড়িয়া বিচার। পরম উদ্ধত সম সবার ব্যভার ॥ কেহো বলে কিসের কীৰ্ত্তন কে বা জানে। এত পাক করে এই শ্ৰীবাস বামনে ॥ মাগিয়া খাইতে লাগি মিলি চুরি ভাই। হরি বলি ডাক ছাড়ে যেন মহা চাই ॥ . মনে মনে ডার্কিলে কি পুণ্য নাহি হয়। রাত্রি করি ডাকিলে কি পুণ্য জনময় কেহ কেহ প্রচার করিয়া বেড়াইতে লাগিল শ্ৰীবাস পণ্ডিতকে সপরিবারে বাধিয়া লইয়া যাইবার জন্য দুইখান নৌকা বোঝাই লোক পাঠাইয়াছেন।” কিন্তু নিন্দ ভয় প্রদর্শন কিছুতেই কোনও ফল হইল না। ভক্তগণ ভক্তবৎসলের নাম করিয়া নিশ্চিন্তু হইয়া রহিলেন। নিমাই পূর্কেরই মত নিঃশঙ্ক চিত্তে নগর ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। বৈষ্ণবদ্বেষিগণ বলাবলি করিতে লাগিল"এর যে রাজাকেও ভয় করে না। রাজার লোক আসিতেছে শুনিয়াও রাজপুত্রের মত নিৰ্ভয়ে বেড়াইয়া বেড়াইতেছে।” অতি বুদ্ধিমান একজন কহিলেন “এই নির্ভয়তার ভাণ পলাইবার ফিকির বই আর কিছুই নহে।” ঐবাস-গৃহে বহিদ্বার রুদ্ধ করিয়া ভক্তগণ কীৰ্ত্তন করিতেন । অনেকে রঙ্গ দেখিবার জন্য আসিয়া রুদ্ধ দ্বার দেখিয়া ফিরিয়া যাইতে বাধ্য হইত। ইহাতেও অনেকে বৈষ্ণবগণের উপর ভয়ানক বিরক্ত হইয়া উঠিল, এবং বৈষ্ণবদিগকে অপদস্থ করিবার “ধন-রাজা নদীয়ায় কীৰ্ত্তনের কথা শুনিয়া জন্য তাহার নানারূপ উপায় জিতে