পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭િ૦૨ করিতে পারেন কি না তাহ সজ্জনেরাই বিবেচনা করিবেন । দিনকাল বদলাইয়াছে। তাই আজকাল জয়দেবের কবিত্ব প্রমাণের বিষয় হইয়া দাড়াইয়াছে। ইহা এক হিসাবে সুলক্ষণ বটে, কারণ ইহা দ্বার মামুষের মনের গতি বুঝিতে প্লারা যাইতেছে। লোকে এখন যে ভালবাসার রাজ্য হইতে বাস্তবটাকে একেবারে বর্জন করিবার পক্ষপাতী হইয়াছে, তাহাতে এক কালে ষে সুফল ফলিবে, সে বিষয়ে আশা করা অসঙ্গত হইবে না। কিন্তু আদর্শের দিকে দৃষ্টি রাখিলেই যে বাস্তবকে একেবারে তাড়াইয়া দিতে পার। যাইবে তাহ সম্ভব নয় এবং বাস্তব-বর্জিত আদর্শ কখনও প্রতিষ্ঠা লাভ করিবে তাহাও দুরাশা মাত্র। আজকালকার অনেক সমালোচক এই কথাট। বিশ্বত হইয়া একটা ঝোকের মাথায় সমলোচনা করিতে বসেন এবং সমালোচ্য কবির মদটা খুজিয়া খুজিয়া বাহির করেন, ইহাই পরিতাপের বিষয়। হুগ্ধদশী সমালোচক জয়দেবে যে প্রভূত কবিত্বশক্তির পরিচয় পাইবেন তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। আর এক কথা, জয়দেব কিম্বা অস্তান্ত বৈষ্ণব কবির কেবল বাহ দৃষ্টিতে নির্ভর করিয়া সমালোচনা করা যে ঠিক নহে তাহা নিরপেক্ষ সমালোচক মাত্রেই বুঝিবেন। এ কথা গ্রিয়াসন প্রভৃতি সারগ্রাহী বিদেশী লোকেরাও বুঝিয়াছেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় জয়দেবের স্বদেশী অনেক সমালোচক তাহ বুঝিতে চাহেন না। যাহা হউক, এই দল যদি জয়দেবের গুঢ়ত্ব অস্বীকার করিয়াই ক্ষাস্ত হইতেন তাহা হইলে আমাদের বিশেষ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, মাঘ, ১৩১৯ আপত্তি থাকিব না, কিন্তু তাহারা যে একট। ধুয়া ধরিয়া জয়দেবের কবিংশক্তির অপলাপ করিতে প্রবৃত্ত হ’ন, ইহাতেই আমাদিগের আক্ষেপ । জয়দেবের কবিতা বহিমুখী, অস্তমুখী নহে, ইহাও জয়দেব সম্বন্ধে অনেকের আপত্তি। তাহার প্রেম দেহনিবন্ধ হৃদয়ের সহিত কোনও সম্পর্ক রাখে না, এ কথাও অনেককে বলিতে শুনিয়াছি। আমরা আজকাল দেহ বেচারার উপর বেজায় নারাজ হইয়া পড়িয়াছি, ভালবাসার রাজ্যে বস্তুতঃ তাহার যতই দাবী থাকুক, কাব্যজগতে সে দাবীদাওয়া তাহার করা চলে না, ইহাই আজকালকার নজীর। আমরা এই মৃতের সম্পূর্ণ পক্ষপাতী ন হইলেও এ কথা বলিতে কুষ্ঠিত নহি যে, ভালবাসায় যে অস্তমুখী বৃত্তি তাহাই কাব্যজগতে শোভা পাইবার যোগ্য, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ; কিন্তু কোনও অস্বাভাবিক ভাবই কাব্যে শোভা পায় নৃ, এই জন্ত দেহবর্জিত ভালবাস। যাহা জগতে অস্তিত্বহীন তাহাও কাব্যে চিরস্থায়িত্বের দাবী করিতে পারে না। ভালবাসার সুখদুঃখ কেন হয় ? ষাহাকে ভালবাসি তাহাকে যদি পাইলাম, তাহার সহিত কথা কহিলাম, তাহার আসঙ্গলিপ্ত চরিতার্থ করিতে পারিলাম, তাহা হইলে ভালবাসার সুখ, আর তাহা ন হইলেই ভালবাসার দুঃখ ৷ ‘ ভালবাসার নৈরাষ্ঠের চিত্র জগতের সকল মহাকবিই আঁকিয়ছেন। সেই সকল চিত্র বিশ্লেষণ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, আসঙ্গলিঙ্গার অচরিতার্থতাই ইহার মূলে चरुश्ऊि uए१ हेशंद्र छछहे निङ्गाँवं-¢¢zप्रब्र