১০ম সংখ্যা ] যদি মনে করিতে হয়, তাহ হইলে স্বাক্টর পূৰ্ব্বে স্রষ্টার যে অবস্থা ছিল, এই স্বইকাৰ্য্যনিবন্ধন সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটল, এই সিদ্ধান্ত পরিহার করা অসম্ভব হয়। সুতরাং স্রষ্টার নিত্যত্ব-ধৰ্ম্ম রক্ষা করিবার জন্য সৃষ্টিকে বিশেষ কালে সংঘটিত ঘটনবিশেষরূপে ব্যাখ্যা না করিয়া অনাদিকৃত কৰ্ম্ম প্রবাহ বলিয়া ব্যাখ্যা করা আবণ্ঠক হয়। অর্থাৎ সৃষ্টিতেও নিত্যত্ব ধৰ্ম্ম আরোপ কয়িতে হয় । হিন্দু কল্প-সৃষ্ট বলিয়৷ এক প্রকারের স্বষ্টির কল্পনা করিয়াছেন। কল্পারস্তে এই স্বষ্টির স্বচন এবং কল্পাস্তে ইহার বিনাশ হয়। কিন্তু বেদ যে স্বাক্টর সহচর এবং সেই জন্যই নিত্য, তাহা এই কুল্প-সৃষ্টি নহে। কল্পারস্তে বেদের নূতন স্বষ্টি হয় না, কিন্তু সেই নিত্য বেদেরই পুনঃ প্রকাশ হয় মাত্র । আর কল্পান্তে স্থষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ষেদের বিনাশ হয় না । কেবল যে প্রয়োজনে স্থষ্টির ক্রিয়াতে বেদের বহিঃপ্রকাশ হইয়াছিল, সেই প্রয়োজন আর রহিল না বলিয়া, বেদ তাহার নিত্য আশ্রয় সৰ্ব্বজ্ঞানধার পরম চৈতন্তপুরুষের চিদাকাশেই বিরাজ করে । ७को छूछेखि ब्रिी ७३ उर्शौ शब्लङ কিয়ং পরিমাণে বিশদ্ধ করিতে পারা যায়। কোন চিত্রকর বা ভাস্কর চিত্রপটে বা মর্শ্বর-ফলকে প্রতিমূৰ্ত্তিকে অঙ্কিত, বা খোদিত করিবার পূর্কে আপনার মানসপটে ধ্যানযোগে সেই মূৰ্ত্তির একটা প্রতিকৃতি ফুটাইয়া তুলিয়া থাকে। সেই মানসী মূৰ্ত্তিটাই তার রচিত চিত্রে বা বেদের কথা الألامات ভাস্কর্য্যে প্রকট হইয়। উঠে। শিল্পীর অস্তরে এই চিত্রের বা ভাস্কর্য্যের ছিন্ন ভিন্ন অংশের বা অঙ্গের যেরূপ সমাহার ও সমাবেশ হুয়, ঠিক তাহারই আদেশে বাহিরের পটে বা প্লস্তরে সেই মূৰ্ত্তিটা ফুটিয়া উঠে। শিল্পীর মানসী মূৰ্ত্তির সঙ্গে তঁtহার চিত্রিত বা খোদিত প্রতিমূৰ্ত্তির সম্বন্ধ নিত্য। একটকে ছাড়িয়া আর একটার স্থষ্টি অসম্ভব। অথচ শিল্পী শিল্প রচনায় নিযুক্ত হইবার পূর্বেই বা সমকালেই ধানযোগে আপনার মানসী মূৰ্ত্তিটাকে সম্পূর্ণরূপেই প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। আর সেই পূর্ণ আদর্শই অল্পে অল্পে তাহার চিত্রে বা ভাস্কর্য্যে ক্রমবিকাশ প্রাপ্ত হয়। শিল্পীর অন্তরে সেই মূৰ্ত্তিটা পূর্ণভাবেই ফুটিয়া থাকে। কিন্তু চিত্রে বা প্রস্তরে তাহা উত্তরোত্তর পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। যতক্ষণ না, চিত্রট নিঃশেষভাবে অঙ্কিত হইয়াছে, ততক্ষণ সেই মানসী মূৰ্ত্তিটী চিত্রপটের বা প্রস্তরফলকের ক্রমশঃ প্রকাশিত মুৰ্ত্তি অপেক্ষা বড় হইয়া রহে, এবং প্রতিপদে সেই মানসী মূৰ্ত্তির নিকটে লইয়া গিয়াই এই বাহিরের চিত্রের বা ভাস্কর্য্যের সত্যসত্যের ও পূর্ণতঅপূর্ণতার বিচার করিতে হয়। বাহিরের চিত্র বা ভাস্কৰ্যকে বুঝিড়ে গেলে, শিল্পীর অন্তরের সেই মানসী মূৰ্ত্তিকে ধরিয়া চলিতে হইবে । বাহিরের চিত্র বা ভাস্কৰ্য্য শেষ হইবার পূৰ্ব্বে কিম্বা শেষ হইবামাত্রই যদি শিল্পী তাহাকে নষ্ট করিয়া ফেলেন, তাহাতেও তাহার মানসী মূৰ্ত্তির কোম ক্ষয় বা অপচয় হইবে না। যখন ইচ্ছা তখনই তিনি পুনরায় এই মানসী মূৰ্ত্তিকে জাগাইয়া তুলিয়া আষার
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।