১০ম সংখ্যা ] সার ফিলিপের 'গদশকে ভোরিস্ উঠিয়৷ বসিল । তার স্বামী বলিলেন,—“এ কি ভোরিস্ তুমি এখনও ঘুমাও নাই !—তা ভাল হইয়াছে।” “কেন, কোন বিশেষ খবর অাছে না কি ?”—বলিতে ভোরিসের বুক কঁাপিয়া छैठेिठ । “ই,—রাল্ফ থালে সম্বন্ধে! তোমার সঙ্গে না কি তার ছেলে বেলা হ’তে বড় ভাব—তাই খবরের কাগজে পড়ার আগে তোমাকে বলা সঙ্গত মনে করিলাম। বেচারা আজ ফ্রান্সে বেড়াইতে যাইতেছিল—ষ্টেশনে যাওয়ার পথে মোটর গাড়ী উণ্টাষ্টয়া—” “না, না—বলো না ! বাচিয়া আছে ত ?” রসের রূপ ৬২১ “বাচিয়া নাই, ভোরিসূ--বেচারার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হইয়াছে।” ফু’জনে অনেকক্ষণ কেহ কাহারে সঙ্গে কথা কহিল না। শেষে ভোরিস বলিল— “কটিার সময় এই ঘটনা হয়।" “ন’টা বাঞ্জিতে প্রায় কুড়ি মিনিটের সমুয় ! . কি ভীষণ ব্যাপার! ভাবিতেও কষ্ট হয় ।” ভোরিস্কাপিতেছিল—তার মুখে রক্তের যেন লেশমাত্র নাই—সে হঠাৎ তার স্বামীর বুকে পড়িয়া কাদিয়া উঠিল-বলিল,—“হে আমার দেবতা, আমার স্বামী, আমার প্রিয়তম, আমাকে ধরিয়া রাখ, ধরিয়া রাখ, আমাকে পথভ্রষ্ট হইতে দিও না। আমি, তোমারই ।” শ্ৰীস্থবোধচন্দ্র মজুমদার। রসের রূপ দ্বাস্ত-মূৰ্ত্তি । রূপ কথাটা লইয়া, দেখিলাম আমার কোনও কোনও নবশিক্ষিত বন্ধু একটু গোলে গড়িয়াছেন। রূপ আর আকার কি এক ? এই প্রশ্নটাই কেহ কেহ' তুলিতেছেন। এক নয় কি ? আকার কাকে বলি ? আকার আমাদের পঞ্চেস্ট্রিয়ের মধ্যে বিশেষভাবে কোন ইঞ্জিয়ের দ্বারা আমরা ধরিতে পারি, ও ধরিয়া থাকি ? মূলতঃ চক্ষুই কি আশাদের আকার-জ্ঞানের মুখ্য ইঞ্জিয় নহে? অন্ধের বস্তুর উপরে হাত বুলাইয়’, তার দৈর্ঘ্যপ্রস্থাদির জ্ঞানলাভ করিয়া থাকে বটে, আর কেবল দৈর্ঘ্যপ্রস্থাদি যদি আকারের লক্ষণ হয়, তাহা হইলে তাকে ঠিক রূপের এক পৰ্য্যায়ভুক্ত করা নাও বা যাইতে পারে। কিন্তু সে অবস্থাতেও, চক্ষু দিয়াই যে মুখ্যতঃ আমরা বস্তুর আকারের জ্ঞান পাইয়া থাকি, ইহা অস্বীকার করা যায় না। স্পর্শ দ্বারাও এ জ্ঞানলাভ হয় বটে, কিন্তু চক্ষুর দ্বারাও হয়, এই কথাই বলিতে হয় ; কিন্তু আমাদের দেশের মনোবিজ্ঞান শীতোষ্ণাদিকেই স্পর্শের বিশেয বিষয় বলিয়াছেন ; রূপ বলিতে যাহ। আমরা বুঝি, তাহ বিশেষভাবে চক্ষুরই বিষয়। এইজন্ত চক্ষুর অন্তর্নিহিত দৃষ্টিশক্তিকে খামাদের মনোবিজ্ঞান রূপতন্মাত্রা
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।