১০ম সংখ্যা ] পড়িল। এই ভীষণ যুদ্ধে ক্ৰমে ক্রমে ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, শল্য প্রভৃতি কৌরবসেনাপতি পদে বৃত হইলেন ও একে একে প্রাণ দিলেন। উভয় পক্ষের লোক-সংক্ষয়ে তদানীন্তন মুসভ্য জগৎ নিস্তেজ হইল । দুৰ্য্যোধনও প্রাণ হারাইলেন। • দুৰ্য্যোধনের মৃত্যু ঘটলে জয়োল্লাসে বীরগণ অসাবধান হইয়। শিবিরে শয়ন করিলেন, সেই সুযোগে অশ্বথামা, কৃপ ও দ্রোণ নিশীথে তস্করের ন্যায় প্রবেশ করির সুপ্ত বীরগণকে হত্য করিলেন। দ্রৌপদীর পঞ্চপুত্রও হত হইল। সৌভাগ্যক্রমে পণ্ডিবগণ ও সাত্যকি ও কৃষ্ণ অপর স্থানে শয়ন করায় রক্ষা পাইলেন। পর দিন অশ্বথাম ভীমাৰ্জুন হস্তে পরাজিত হইলেন, কিন্তু গুরুপুত্র বলিয়াই প্রাণে রক্ষা পাইলেন। যুধিষ্ঠির জ্ঞাতিগণের ঔর্দ্ধদেহিক কাৰ্য্যাদি করাইলেন, অন্ধ জ্যেষ্ঠতাত ও জ্যেষ্ঠতাতপত্নীর এবং কুরুনারীগণের দশ। দেখিয়া আত্মীয়-বধ হেতু তিনি কাতর হইয় পড়েন। কৃষ্ণের ও ব্যাসের বাক্যে র্তাগর ঐ মোহময় নিৰ্ব্বেদ অপগত হইলে, তিনি শুভদিনে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে অভিষিক্ত হন এবং অশ্বমেধযজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। বিদুর সঞ্জয় প্রভৃতি করঙ্ক &\o মন্ত্রিত্ব পাইলেন। ভীমাদির উপর কার্ঘ্যের ভার পড়িল। প্রাণপণে র্তাহার প্রজামুরঞ্জনে ব্যাপৃত হইলেন । ধৰ্ম্মরাজের শাসন গুণে ধরায় আবার ধৰ্ম্মরাজ্য সংস্থাপিত হইল। এইরূপে অনেক বৎসর কাটিবার পর যদুবংশ সুরাদেবীর প্রভাবে আত্মকলহে ধ্বংস হটুল। শ্ৰীকৃষ্ণও ভূমুর হরণ করিয়া অন্তৰ্হিত হইলেন। যুধিষ্ঠির সেই সংবাদে ব্যথিত হইয়৷ অভিমন্ত্র্যর পুত্র পরীক্ষিৎকে রাজ্যে অভিষিক্ত করতঃ পঞ্চভ্রাতা ও দ্রৌপদীর সহিত মহাপ্রস্থান করিলেন । মহাভারতের এই মূল বৃত্তান্তে অবিশ্বাস করিবার কোন হেতু নাই। ইহার প্রতি বিশ্বাস ভারতে চিরদিন দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত। পাণ্ডবগণের চরিত্র মহনীয় এবং তাঁহাদের অবদান, অদ্ভূত। শৌর্য্য; বীৰ্য্য ও ধৰ্ম্মে পঞ্চপাণ্ডব ভারতবাসীর উপাস্ত। তাহীদের জন্ম বিবরণে ও কৰ্ম্মে যে অলৌকিকতা, তাহার কারণ বুঝিতে হইলে, মনে রাখিতে হইবে যে মহাভারত-কাহিনী তাহীদেরই বংশধর অবিচলিত প্রতাপ নরপতি জন্মেজয়ের নিকট কীৰ্ত্তিত হইয়াছিল এবং সে কাহিনীর মুখ্য উদেষ্ঠ ভক্তিপ্রাণ ভারতে মহাপুরুষদিগর চরিত্র কীৰ্ত্তন। শ্ৰীহরিচরণ গঙ্গোপাধ্যায়।
- هضمصمصeasو
করঞ্চ * ছোট গল্পের, প্রধান একটা লক্ষণ, এই যে, তাহা একদিকে যেমন সরস ও কুতুহলোঁ মূল্য ॥০ কলিকাতায় প্রধান প্রধান পুস্তকালয়ে প্রাপ্তব্য। "U দীপক হইবে, সেইরূপ অন্যদিকে অত্যন্ত হালকাও হইবে। পড়িতে কেনিও প্রকারের ক্লাস্তির উদ্রেক হইবে না। বুঝিতে ভাবনা ব্যয় করিতে হইবে না ।