পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা : তৃণ ধরিয়া উদ্ধার লাভের আশা করে মুকুন্দ দেইরূপ দিল্লীবর্দী করিয়৷ এই মহাদায় হইতে উদার-লাভের চেষ্টা করিল। কিন্তু কিস্তীতে ক্রিস্তীতে টাকা দিতে না পারলে কিস্তীবনী করিয়া ফল কি? প্রথম কিস্তীতেই সে কিস্তী খেলাপ করিল। আদালত হুকুম দিলেন, মুকুন্দের সম্পত্তি নিলাম করিয়৷ উত্তমর্ণের ঋণ পরিশোধ হইবে । বাসগৃহের অৰ্দ্ধাংশ ভিন্ন মুকুন্দের অন্য কোন সম্পত্তি ছিল না, সুতরাং তাহাই নিলাম হইয় গেল ! মুরারির শ্বশুরের নামে সে অংশ খরিদ হইল। কয়েক দিন পরে নিলাম খরিদারের উকীল মুকুন্দকে বাড়ী হইতে উঠিয়া * যাইবার জন্য এক ‘মুটিশ দিলেন। মুকুন্দ দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া স্ত্রী পুল্ল কন্যাদের সঙ্গে . লইয়। পৈত্রিক বাস্তুভিটা পরিত্যাগ করিল। —দুই ক্রোশ দূরে সনাতনপুরে মুকুন্দের মহাভারতের ঐতিহাসিকত や〉 শ্বশুরবাড়ী ; মুকুন্দের স্ত্রী ভিন্ন তাহার খণ্ডরের অন্য পুত্র কন্যা ছিল না। মুকুন্দ” সপরিবারে তাহার একমাত্র অবলম্বন গরু দুটি লইয়৷ শ্বশুরালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করিল। মুকুন্দ এখন শ্বশুরালয়েই সপরিবারে বাস করিতেছে। সে সনাতনপুরে কয়েক জন দোকানদারের দোকানে ঠিক মুহুরীর কাজ করে, এবং অবসর কালে গোরুর বিচালি কাটে ও জীব মাখে। আর, বৎসুরের ভিতর অন্ততঃ একবারও মুরারীকে দেখিয়া আসে, ঘরের একটু ঘি, চাষের কিছু আলু, গোট কত নারিকেলের নাড় ভাইয়ের জন্য বহিয়া লইয়া যায়, তবে পরিমাণ বড় অল্প, তা হ’লে কি হয় মুরারি যে এ সব বড় ভাল বাসে ! মুরারির স্ত্রী জিনিষের ‘ছিরি দেখিয়া ঠোঁট ফুলাইয়া তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে, আর স্বামীর প্রতি খুব সতর্ক দৃষ্টি রাখে। পাছে তার মন নরম হয়, সৰ্ব্বনাশ, তা হইলে কি আর রক্ষা আছে ? ঐদীনেন্দ্রকুমার রায়। মহাভারতের ঐতিহাসিকত নমোহন্ত তে ব্যাস বিশালবুদ্ধে! ফুল্লারবিদায়ত পত্রনেত্র। যেন ত্বয়া ভারততৈগপূর্ণঃ প্রজালিতে জ্ঞানময়ঃ প্রদীপঃ ॥ হে বেদব্যাস ! আপনাকে প্রণাম করি। আপনার বুদ্ধি বিশাল । পদ্মপত্রের ষ্ঠায় বিস্তৃত। আপনিই মহাভারতরূপ তৈলপুর্ণ, জ্ঞানময় প্রদীপ জালিয়াছেন। t আপনার নেত্র মুখবন্ধ সত্যসত্যই মহাভারত ভারতের জ্ঞানময় অপূৰ্ব্ব প্ৰদীপ। ভারতের গৌরবরবি অস্তমিত। গাঢ় মোহনিশা সমাগত। এই ঘন অজ্ঞানতিমিরে মহাভারত এখনও উজ্জ্বল জ্ঞানপ্রদীপরূপে ভারতের অতীত গৌরব প্রকাশ করিতেছে। কি কবিত্বে, কি দার্শনিকতায়, কি ভূগোলরূপে, কি ধৰ্ম্ম সংহিতাভাবে, কি ইতিহাসাংশে মহাভারত